সেই কবে আদর্শ লিপিতে পড়েছিলাম- ‘লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে।’ এটা এ
অঞ্চলে গরিব জনতার জন্য বড়ই আনন্দের বুলি। লেখা পড়া এখন গাড়ি, ঘোড়া অর্জনের
মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। এই দেখুন ১৯২৩ সালের আগে এ অঞ্চলে ১টি
বিশ্ববিদ্যালয়ও ছিল না। কিন্তু আজ এ সংখ্যাটি তিন সংখ্যা ছুই ছুই করছে
অর্থাৎ ১০০ এর কাছে পৌঁছেছে। শিক্ষার হারও বেড়েছে অনেকগুণ কিন্তু এই
শিক্ষা শুধুই গাড়ি ঘোড়া অর্জনের মাধ্যম সেজেছে। মানুষের নৈতিকতা, মানবতা,
শিষ্টাচার ভদ্রতা একত্রে ডুবতে বসেছে। আর ধর্মজ্ঞান অর্জন শূন্যের কোঠায়
পৌঁছেছে। যেখানে প্রতিযোগিতা শুধুই অর্থের সেখানে ধর্ম স্থান পায় কোথায়?
ধর্ম সিলেবাস থেকে একদম উধাও। নীতিটা হলো- বর্তমানের পৃথিবীটা ভোগ না করে
অদৃশ্য ভবিষ্যৎ নিয়ে কে ভাবে! ফলে যা হবার তাই হয়েছে। নিজেদের ইতিহাস,
ঐতিহ্য, মূল্যবোধ সব গোল্লায় গিয়েছে। সত্যিকারে শিক্ষানীতি আজও তৈরি হয়নি।
কে তৈরি করবে? সবতো ইহুদী-নাছারাদের শিক্ষা। নিজস্ব সম্পদ হারিয়ে পর দ্বারে
ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বিদ্যানরা সব হাজির। মুসলমান বিশ্বকে আলোকিত করল। আজ
তারাই নিজের গৃহ ছেড়ে আলোর সন্ধানে মূর্খদের কাছে। নৈতিকতা, মানবতা কোথায়
পাবে?
দৈনিক আল-ইহসান----১৬/১২
দৈনিক আল-ইহসান----১৬/১২