Translate

সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১২

আমাদের শিক্ষার হার বাড়ছে কিন্তু মনুষত্ব্যের আকার ছোট হয়ে আসছে

সেই কবে আদর্শ লিপিতে পড়েছিলাম- ‘লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে।’ এটা এ অঞ্চলে গরিব জনতার জন্য বড়ই আনন্দের বুলি। লেখা পড়া এখন গাড়ি, ঘোড়া অর্জনের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। এই দেখুন ১৯২৩ সালের আগে এ অঞ্চলে ১টি বিশ্ববিদ্যালয়ও ছিল না। কিন্তু আজ এ সংখ্যাটি তিন সংখ্যা ছুই ছুই করছে অর্থাৎ ১০০ এর কাছে পৌঁছেছে। শিক্ষার হারও বেড়েছে অনেকগুণ কিন্তু এই শিক্ষা শুধুই গাড়ি ঘোড়া অর্জনের মাধ্যম সেজেছে। মানুষের নৈতিকতা, মানবতা, শিষ্টাচার ভদ্রতা একত্রে ডুবতে বসেছে। আর ধর্মজ্ঞান অর্জন শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। যেখানে প্রতিযোগিতা শুধুই অর্থের সেখানে ধর্ম স্থান পায় কোথায়? ধর্ম সিলেবাস থেকে একদম উধাও। নীতিটা হলো- বর্তমানের পৃথিবীটা ভোগ না করে অদৃশ্য ভবিষ্যৎ নিয়ে কে ভাবে! ফলে যা হবার তাই হয়েছে। নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ সব গোল্লায় গিয়েছে। সত্যিকারে শিক্ষানীতি আজও তৈরি হয়নি। কে তৈরি করবে? সবতো ইহুদী-নাছারাদের শিক্ষা। নিজস্ব সম্পদ হারিয়ে পর দ্বারে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বিদ্যানরা সব হাজির। মুসলমান বিশ্বকে আলোকিত করল। আজ তারাই নিজের গৃহ ছেড়ে আলোর সন্ধানে মূর্খদের কাছে। নৈতিকতা, মানবতা কোথায় পাবে?


 




 দৈনিক আল-ইহসান----১৬/১২

বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১২

"হরতাল" ‘কাইল কাম র্কতারি নাই; আইজ ঘরে খাওন নাই’

ষাটোর্ধ্ব দিনমজুর অলি মিয়া। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলবে। বর্তমানে রাজধানীর লালবাগের শহীদ নগরের ৬নং গলিতে একটি খুপড়ি ঘরে বৃদ্ধা স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থেকে দিনমজুরের কাজ করেন।
ছয় সন্তানের জনক অলি মিয়ার ছেলেরা বৃদ্ধ মাতা-পিতার খোঁজখবর রাখেন সামান্যই। শেষ বয়সে জীবন বাঁচানোর তাগিদে তাই রোজ কোদাল-খুন্তি নিয়ে শ্রম বিক্রির হাটে ছুটেন সামান্য রোজগারের আশায়।
গতকাল ইয়াওমুল খামীসি বা বৃহস্পতিবার আঠার দলের দেশব্যাপী হরতালের দিনেও প্রতিদিনকার মতোই শীতের সকালে এসেছিলেন আজিমপুর মোড়ের ‘কামলার হাটে’। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হরতাল সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়ে আজিমপুর মোড়ে আসে। এসময় পুলিশের সঙ্গে পিকেটারদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পিকেটাররা এসময় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পিকেটারদের ছোঁড়া একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয় হতভাগ্য দিনমজুর অলির পায়ে। তার দুটি পা জখম হয়।
এসময় অলি মিয়ার সঙ্গে কাজ করা শ্রমিকরা পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে হাসপাতালে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়। তারা অলি মিয়াকে বলে, হাসপাতালে গেলে তোমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যেতে পারে। এই ভয়ে অলি মিয়া বহুকষ্টে দুই পথচারীর সহযোগিতায় রক্তাক্ত শরীর নিয়েই বাড়িতে পৌঁছায়।
পরে অলি মিয়ার ছোট ছেলে জোর করে সকাল ১০টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অলি মিয়া বলেন, ‘‘গতকাইল (বুধবার) ঠিক মতো কাম করতারি নাই। আইজ ঘরে কোনো খাওন নাই। পেটে তো আর হরতাল মানে না, তাই আইছিলাম খাওনের যোগাড় করবার লাইগ্যা।’’

জেগে ওঠো বাংলাদেশ এই অসহায় মানুষের জন্য..............................।।

বৃহস্পতিবার, ২ আগস্ট, ২০১২

" মিয়ানমারে এখন চলছে প্রকাশ্যে মুসলিম হত্যা "

মিয়ানমারে এখন চলছে প্রকাশ্যে মুসলিম হত্যা ।
এবার দেখবেন অং সান সূচীকে আরেকবার শান্তিতে নোবেল দেয়া হবে পাশাপাশি জাতিসংঘ মুসলিমদের terrorist ঘোষণা করবে officially. আর মিডিয়ায় দেখানো হবে ইরাকের মুসলিমরা ইরাকে অবস্থানরত নিরীহ আমেরিকান সৈন্যদের আক্রমন করছে । অমুসলিমরা সেটা দেখে দেখে তাদের বাচ্চাদের শেখাবে the muslims are terrorist.তখন যদি বাচ্চাটা প্রশ্ন করে ইরাকে আমেরিকান সৈন্যরা এত ভয়ানক অস্ত্র নিয়ে
কি করে ? অভিভাবকটি বলবে "মুসলিমরা যাতে তোমার কোনো ক্ষতি না করতে পারে তাই ওদের সাথে যুদ্ধ করে ।"
আর এভাবেই গড়ে ওঠে দেশে দেশে রোহিঙ্গা রাখাইন সম্প্রদায় । তারা জানতেও পারে না মানবতার মানে । কারণ তাদের কাছে মুসলমান মানেই সন্ত্রাস । আর সন্ত্রাসদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই ।
হায়রে ঘুমন্ত বিশ্ববাসী কবে সজাগ হবি ।

রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১২

ধূমপান ছাড়ার ১৩টি উপায়ঃ-

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ধূমপানের কুফল হিসেবে ফুসফুসের ক্যান্সার, হার্টের রক্তনালী সরু হয়ে হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি বৃদ্ধি, মস্তিস্কে রক্ত চলাচলে বাধা, যৌন ক্ষমতা হ্রাসসহ নানা ক্ষতিকর দিক রয়েছে ধূমপানের। অনেকেই ধূমপান নামক এই ঘাতককে চিরতরে নির্বাসনে দিতে চান কিন্তু নানা কারণে ধূমপান আর ছাড়া হয় না। বিশেষজ্ঞগণ ধূমপানের আসক্তি থেকে নিজেকে রক্ষার ১৩টি উপায় বলে দিয়েছেন। এসব অনুসরণ করলে অবশ্যই ধূমপান ছাড়া সম্ভব।

এই ১৩টি উপায় হচ্ছেঃ-
১. প্রথমে সিদ্ধান্ত- নিন কেন ধূমপান ছাড়া আপনার জন্য জরুরী। অর্থাৎ কি কারণে ধূমপান ছাড়তে চান। যেমন ক্যান্সার ও হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি কামাতে।
২. কোন ধরনের থেরাপি বা মেডিকেশন ছাড়া ধূমপান ছাড়া ঠিকনয়। কারণ সিগারেটের নিকোটিনের ওপর ব্রেইন অনেক ক্ষেত্রে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ছেড়ে দিলেই নানা উপসর্গ শুরু হয়। তাই সিগারেটের বিকল্প থেরাপির কথা চিন্তা করতে হবে।
৩. নিকোটিনের বিকল্প গাম, লজেন্স ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।
৪. নিকোটিনের বিকল্প ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
৫. একা একা ধূমপান না ছেড়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্য (যদি ধূমপায়ী থাকেন), বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের উৎসাহিত করে একসঙ্গে ধূমপান ত্যাগের ঘোষণা দিন।
৬. মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে হালকা ম্যাসাজ নিন।
৭. অ্যালকোহল পরিহার করুন।
৮. মনোযোগ অন্যদিকে নিতে ঘর পরিষ্ক্ষার করতে চেষ্টা করুন।
৯. ধূমপান ত্যাগের জন্য বার বার চেষ্টা করুন। একবার ছেড়ে দিলে দ্বিতীয় বার আর ধূমপান করবেন না।
১০. নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
১১. প্রচুর পরিমাণ সবুজ শাক-সবজি ও রঙিন ফলমুল খান।
১২. ধূমপান বন্ধ করে যে আর্থিক সাশ্রয় আপনার হবে তার একটা অংশ হালকা বিনোদনে ব্যয় করুন।
১৩. আর ধূমপান ছাড়ুন বন্ধু-বান্ধব বা প্রেমিককে খুশী করার জন্য নয়, বরং আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্যই এটা করেছেন। এমন জোরালো অবস্থান নিন।

রবিবার, ১৫ জুলাই, ২০১২

চালক নিজের জীবন দিয়ে বাঁচালেন ৪০ বাসযাত্রীর জীবন!


সনজিত কর্মকার, সংবাদদাতা
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চুয়াডাঙ্গা: নিজের জীবন দিয়ে ৪০ বাসযাত্রীকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে দিলেন চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের চালক রমজান আলী (৫৫)।

শনিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা-ঢাকা মহাসড়কের কালামপুর-ধামড়ার মাঝামাঝি স্মৃতিপাড়া এলাকায় চলন্ত গাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি।

এর পর সে অবস্থাতেই গাড়িকে রাস্তার পাশে নিয়ে নিজে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। বেঁচে যায় ৪০ বাসযাত্রীর জীবন।

এবিষয়ে গাড়ির যাত্রীরা বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলা অবস্থায় গাড়ির চালক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মৃত্যুর আগ মুর্হূত পর্যন্ত তিনি নিজের সিটে বসে প্রাণপণ চেষ্টা করে গাড়ীটি নিয়ন্ত্রণে নেন। এর পরই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।

চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স কাউন্টার বাংলানিউজকে জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার যাত্রীবাহী নৈশকোচটি চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

কোচের সুপারভাইজার রনি বাংলানিউজকে জানান, গাড়িটি প্রায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে কালামপুর-ধামড়ার মাঝামাঝি স্মৃতিপাড়া পৌঁছালে চালক রমজান আলী হৃদরোগে আক্রান্ত হন।

তখন রাত ৩টা। একটু জোরে খিঁচুনি দিয়ে ওঠার পরই তিনি নিজের সিটে লুটিয়ে পড়েন। তার পরও তিনি প্রাণপণ চেষ্টা করে গাড়িটি নিরাপদে নেন।

চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের সত্ত্বাধিকারী মজিবুল হক খোকন বাংলানিউজকে বলেন, ‘গাড়িটি ডোবায় নামার আগে রয়েছে বড় বড় দুটি গাছ। গাড়িটি কীভাবে ওই গাছ ভেদ করে তার ভেতর দিয়ে অক্ষত অবস্থায় ডোবায় নামলো তা বিশ্বাস করতে পারছিনা।’
সংগ্রহীত ঃ
http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=d0a27f33a78bfba1f1b7272640024b6b&nttl=14072012126402

শুক্রবার, ১৩ জুলাই, ২০১২

দাঁড়ী ও টুপিকে অপমান করল একুশে টিভি ETV

24/12/2011 সন্ধ্যা 6:30 মিনিটে একুশে টিভি একটি অনুষ্টান প্রচার করে, অনুষ্টানটিতে এবার খেলার নামে নবীর সুন্নত দাড়ী ও টুপিকে অপমান করল একুশে টিভি, অর্থাৎ তাদের কাছে দাড়ী, টুপি ও পঞ্জাবী পরা লোক মানেই রাজাকার, মুসলিম প্রধান দেশ বাংলাদেশ, সুতরাং মুসলমানের ইজ্জত নিয়ে খেলার অধিকার কে দিয়েছে একুশে টিভিকে? যারা আসল রাজাকার তাদের শাস্তি হতে পারে জেল, জরিমানা এমন কি মৃত্যু দন্ডও, কিন্তু একজন মুসলিম হয়ে শাস্তি স্বরুপ আরেকজন মুসলিমের দাড়ী কখনো কামিয়ে দিতে পারেনা।
ভাবতেই অবাক লাগে, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের মুসলমানদের বিরুদ্ধে এ কোন ষড়যন্ত্র? বাংলাদেশে কার এজেন্ডা হিসেবে কাজ করতেছে আওয়ামী লীগ ও একুশে টেলিভিশনের মত কিছু মিডিয়া? আজ দেশের মুসলমানদের কাছে এই প্রশ্ন আমাদের ا

একুশে টিভি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্শণ করছি, আপনাদের প্রতি স্ববিনয় অনুরোধ দাঁড়ি, টুপি ও পঞ্জাবী এই প্রতিকি পোশাক শুধু রাজাকারের নয়, এটা তারও অনেক আগে থেকেই প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতিকি সুন্নাত ا হীন উদ্দেশ্য প্রনুদীত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাৎ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।অন্যথায় মুসলমানেরা আপনাদের ও আপনাদের চ্যানেলকে বর্জন করতে বাধ্য হবে।

সাধারন জনগনের কিছু মান্তব্যঃ-

ফাজলামোর কিংবা বেয়াদবির একটা সীমা থাকা দরকার । এই ধরনের ন্যাক্কারজনক অনুষ্ঠান উপস্থাপন, অংশগ্রহন, প্রযোজনাকারী ও পরিবেশনায় নিয়োজিত সকলের কঠিনতর স্বাস্তি হওয়া উচিত............

 এ ধরনের অত্যাচার কীভাবে সহ্য করা যায়। এজন্য কী এই চ্যানেল এর বিরুদ্বে মাললা হয় নাই?


পুরো পৃথিবীর মিডিয়া যখন ব্যস্ত ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে তখন একুশের টিভির এমন উদ্যগ মানে হলো তারা পশ্চীমা মিডিয়ার দালাল।
আবার এমনও হতে পারে এই প্রডিউসার নিজেকে মডার্ন দেখানোর জন্য এসব করছে অথবা তথাকথিত মুক্ত চিন্তার অধীকারি।

 একুশে টিভি নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করে তাই তাকে পছন্দ করি। কিন্তু আজকে যেভাবে দাড়ি , টুপিকে অপমান করল তাকে মনে কষ্ট পেলাম কারন আমি মুসলমান। আর এই দাড়ি. টুপি লোকজনই কিন্তু এই মেয়েটার জানাযা নামায পড়াবে তখন কি হবে? আমি এই পোষাকের জন্য মুসলমান হতে চাই, রাজাকার হতে চাই। কিনতু এই মডেল কন্যা তার পোষাকের জন্য কি হতে চায়। দৃ:খের বিষয় যারা খেলাটায় অংশ নিল তাদের মাথায় কি কোন বিবেক জ্ঞান বুদ্ধি ছিল না যে কি হব্ছে।

 ভাবতেই অবাক লাগে, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের মুসলমানদের বিরুদ্ধে এ কোন ষড়যন্ত্র? খেলার নামে নবীর সুন্নত দাড়ী ও টুপিকে অপমান করল একুশে টিভি,থাই আমি etvকে  বর্জন করলাম।


বর্তমান যুগটি হচ্ছে প্রতারনার যোগ ! পুর্বের যুগে এমন ছিলনা; বরং বেদাত পন্থিরাও আল্লাহ আল্লাহ জপত ! ভুল ত্রুটি থাকা সত্তেও তাদের মদ্ধে কিছু না কিছু দিনি নিশানা পাওয়া যেত; কিন্তু আজকালের বেদাত পন্থিরা প্রতারনা, ফাসেকি সহ নানা প্রকার কবিরা গুনাহের সাথে জড়িত ! টাকা অর্জন করার নতুন নতুন কৌশ ল অবলম্বন করে থাকে ! এরুপ এক বেদাতি পিরের ঘটনা !
এক গ্রিহবধু ঐ পিরের মুরিদ ছিল ! একদিন পির সাহেব মেহমান হিসাবে মুরিদের বারিতে উপস্থিত হল ! মুরিদ নিজ পিরের মেহমানদারির জন্ন খাওয়ার আয়জন করল ! শব ইন্তেজাম সমাপ্ত হওয়ার পর মুরিদ দস্তরখানে সবকিছু পেশ করলে পির সাহেব দস্তরখানের সামনে বসে বসে ভাবতে লাগল যে, কিভাবে মুরিদের সনখা বাড়ান যায় ! তাই সে আকস্মিক ভাবে ভন্ডামির লাটি নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ল! এদিক সেদিক দৌড়া দৌড়ি করতে লাগল ! মাজে মাজে মাটিতে আঘাত করে আর বলে খবিস ! এখান থেকে দূর হয়ে যা ! এক পর্জায়ে সে হাপাতে হাপাতে মুরিদের ঘরে প্রবেশ করল ! মুরিদ মহিলা নিজ পিরের এমন অবস্থা দেখে খুব পেরেশান হয়ে জিজ্ঞাসা করল, বাবা! কি হয়েছে আপনার? ঊ ত্তরে পির সাহেব বলল, কাবা ঘরে কুকুর ডুকেছে; তাকে বের করে দিলাম ! মুরিদ মহিলা মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল আজকে পির সাহেবকে এক্টু পরিক্ষা করব ! গ্রিহবদু ছিল খুবই চালাক ! তাই সে পির সাহেবের সামনে ভাত রাখল ! পির সাহেব ভাতের প্লেট সামনে নিয়ে বসে রইল অনেক্ষন এভাবে কেটে জাওয়ার পর মুরিদ মহিলা জিজ্ঞাসা করল, কি হয়েছে মিয়া সাহেব! ভাত খাচ্ছেন'না কেন? পির সাহেব তাকে উত্তর দিল, তরকারি নাদিলে ভাত খাব কিকরে? মুরিদ মহিলা বলল, আপ্নিনা এতক্ষন শুদূর কা'বা শরিফের ভেতর থেকে কুকুর তাড়াচ্ছিলেন আর এখন সাম্নের প্লেটে ভাতের নিচে পুতে রাখা তর্কারি দেখতে পাচ্ছেন'না ! পির সাহেব মুরিদ মহিলার চতুরতা বুজতে পেরে অত্তন্ত লজ্জিত হল এবং বাকি জীবনে এমন আর করবেনা বলে প্রতিজ্ঞা করল
%
%
%
দি, ব্র. আমি কোন পিরের মুরিদ নই, হক্কানি [সত্তিকারের]পিরদের বিরুদিও নই, তবে যারা ভন্ড তাদের বিরুদিতা করতেই হবে
 
ভন্ড পীরের কিছু video clips , যাতে তার চরম বেদবী শুনুন, কত বড় বেয়াদব।

http://www.youtube.com/watch?v=OHad2zINQFA
http://www.youtube.com/watch?v=PQP-Vjvwdy0&feature=BFa&list=PLF8B68B156EB8D81A&index=106


বুধবার, ১১ জুলাই, ২০১২

দেখার কেউ নাই

দেখার কেউ নাই :( :(

আজকাল বন বিভাগের কর্মকর্তারা বন রক্ষা বাদ দিয়ে গাছ বিক্রির ব্যাবসায় নেমে গেছে , রক্ষকই যখন ভক্ষক তো অন্যরা কি করবে ??

হায়রে দেশ!!!! 

মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১২

মুসলিম দেশে অমুসলিম নিতি। আবার ও হিজাব নিষিদ্ধ।

চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজে হিজাব পরে ক্লাস ও ওয়ার্ডে যেতে ছাত্রীদের নিষেধ করছে কলেজ প্রশাসন।ইনস্টিটিউটের চতুর্থ ব্যাচের ছাত্রী নাজমুন্নাহার বলেন, "আমরা হিজাব পরে ক্লাস করতে চাই। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে ড্রেস কোড অনুযায়ী পোশাক পরতে হবে।" তিনি বলেন, "হিজাব পরে ক্লাস করতে না পারলে আমরা ভর্তি বাতিল করে চলে যাব। কিন্তু প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না।"

 হিজাব নিষিদ্ধকারী মহিলাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি অবিলম্বে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সরকার দেয়ার ব্যবস্থা করবে বলে আমরা বাংলাদেশের মুসলমানরা মনে করি। নতুবা আমাদের ঈমান, আমাদের ইসলাম, আমাদের হিজাবকে আমরা কিভাবে রক্ষা করতে হবে সেটা আমরা দেখিয়ে দেব, ইনশাআল্লাহ।


একজন তথাকথিত আধুনিক মেয়ে প্রতিদিন ঘর হতে বের হওয়ার সময় আয়না দেখে এটা বুঝার জন্য যে, মানুষ তাকে যেভাবে দেখতে চায় সে সেভাবে সেজেছে কিনা......
অপরদিকে একজন সত্যিকার মুসলিমাহ ঘর হতে বের হওয়ার সময় আয়না দেখে এটা বুঝার জন্য যে,আল্লাহ তাকে যেভাবে দেখতে চায় সে সেভাবে সেজেছে কিনা......

 একজন পুরুষ কোর্ট-প্যান্ট-মোজা-জুতা সবই পরেন; আবার টাই দিয়ে বাকীটাও ঢেকে ফেলেন, আর একজন বোন পিঠের বিরাট অংশ খোলা রাখবেন, বুকের ওড়নাটা গলায় পেচিয়ে আধুনিকা সাজবেন-এটা মার্জিত রুচির পরিচায়ক নয়। অনেক অপরাধী বোরকাকে অপরাধের জন্য আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করতেই পারেন, এজন্য বোরকাকে দায়ী করা কি ঠিক হবে? তাই বিতর্ক বা কুটতর্কে না জড়িয়ে আল্লাহর একটা বিধান মানার চেষ্টা করি, না পারলে অন্তত যারা মানছেন তাদের সম্মান করতে শিখি।

 হিজাব পরিহিতা বোনদের দেখে তোমাদের আসলে চুলকানি অনেক বেড়ে গেছে। এ যে এক কঠিক রোগের আলামত। অতিসত্বর সত্যের মলম লাগাও,মলম লাগাও বিবেক ও যুক্তির।নাহয় কিন্তু পচন ঠেকাতে পারবা না।

 পশ্চিমাদের থেকে হাওলাদ করা অর্ধনগ্ন নারীর ড্রেসকে স্টাইল বানাবা আমাদের নারীরা হিজাব করলে (এটাই মুসলিম নারীদের স্টাইল)তোমাদের গা চুলকায় ক্যান?

 “হে নবি, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে , কন্যাদেরকে ও মুমিন নারীদেরকে বল, ‘তারা যেন তাদের জিলবাবের কিছু অংশ নিজদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (সুরা আহযাব-৫৯) 

মুসলিম দেশে অমুসলিম নিতি... বাংলাদেশেও হিজাব নিষিদ্ধ!!

সোমবার, ২ জুলাই, ২০১২

চীনের তৈরি কৃত্রিম ডিম ঢুকছে বাংলাদেশে যা মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর



Watch Fake Eggs Made in China  

আরও ভিডিও দেখুন click

ব্যবসায়ী ভাইয়েরা আমাদের অন্তত সুস্থ ভাবে বাঁচতে দিন। অনেকে এটাকে হক্স বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট মর্নিং নিউজ এজেন্সি সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ইয়াঙ্গুনসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সীমান্তের চোরাপথে চীন থেকে কৃত্রিম ডিম পাচার হয়ে আসছে। যা দেখতে অবিকল হাঁস মুরগির ডিমের মতো। , ‘২০০৪ সাল থেকেই তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম ডিম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘দ্য ইন্টারনেট জার্নাল অফ টক্সোকোলজি’তে কৃত্রিম ডিম সম্পর্কে বিশ্লেষণধর্মী তথ্য প্রকাশ হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃত্রিম ডিমে কোনো খাদ্যগুন ও প্রোটিন নেই। বরং তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। কিভাবে তৈরি হয় কৃত্রিম ডিম ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত প্রস্তুতপ্রনালীতে দেখা যায়, কুসুম ও সাদা অংশের সমন্বয়ে কৃত্রিম ডিম তৈরি করতে প্লাস্টিকের ছাঁচ ব্যবহৃত হয়। তবে তার আগে কুসম তৈরি করা হয় বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে। সরাসরি ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ও কালারিং ডাই দিয়ে লাল বা গাঢ় হলুদ রংয়ের কুসুম তৈরি করা হয়। তার ওপর অতি পাতলা স্বচ্ছ রাসায়নিকের আবরণ তৈরি করা হয়। যাতে কুসুম ও সাদা অংশ এক না হয়ে যায়। সাদা অংশ তৈরিতে ব্যবহার হয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রিজিন জিলাটিন ও এলাম। প্লাস্টিকের ছঁচ ডিমের সাদা অংশ তৈরি করে তার মাঝখানে ডিমের কুসুম তৈরি করা হয়। শেষ ধাপে ডিমের উপরের শক্ত খোলস তৈরিতে করা হয়। এর জন্য ব্যবহার করা হয় ওয়াক্স এর মিশনখানে ব্যবহার করা হয় প্যারাফিন, বেনজয়িক এসিড, বেকিং পাউডার, ক্যালসিয়াম কার্বাইড। সাদা অংশকে ওয়াক্সের দ্রবণে কিছুক্ষণ নাড়ানো চাড়ানো হয়। বাইরে থেকে স্বল্প তাপ প্রয়োগ করা হয়। এতেই তৈরি হয়ে যায় হুবহু ডিমের মতো দেখতে একটি বস্তু।
আসল ডিম থেকে নকল ডিম আলাদা করার উপায়ঃ
- কৃত্রিম অনেক বেশি ভঙ্গুর। অল্প চাপে ভেঙ্গে যায়।
- এ ডিম সিদ্ধ করলে এর কুসুম বর্ণহীন হয়ে যায়। ভাঙ্গার পর আসল ডিমের মতো কুসুম এক জায়গায় না থেকে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
-কৃত্রিম ডিম আকারে আসল ডিমের তুলনায় সামান্য বড় এবং এর খোলস মসৃণ।
ইন্টারনেট-এর বিভিন্ন সাইট থেকে আরো জানা যায়, চীনে তৈরী হওয়া এসব কৃত্রিম বা নকল ডিম এক কথায় বিষাক্ত। কৃত্রিম ডিম তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রেসিন, জিলেটিন মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন এ ধরনের ডিম খেলে স্নায়ুতন্ত্র ও কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফুসফুসের ক্যান্সারসহ জটিল রোগের কারণ।


দেখুন রাসায়নিক কিভাবে তৈরি করা হয়...।।
একটি ভিডিও ক্লিপস ...।।
  http://www.youtube.com/watch?v=T55tz4qwFMo&feature=related

Fake Eggs Made in China  


আসল ও fake ডিম...।
watch the video clips....

good & fake egg

সৌরশক্তিচালিত মোটরসাইকেল উদ্ভাবন করেছে মাগুরার ক্ষুদে বিজ্ঞানী "জুবায়ের"

ট্রাফিক আইন সহায়ক, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব নতুন ধরনের মোটরসাইকেল উদ্ভাবন করেছেন মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকার যুবক জুবায়ের হোসেন। জ্বালানি তেলের বদলে তাঁর মোটরসাইকেলটি চলবে সৌরশক্তি ও বাতাসের সাহায্যে। জুবায়ের তাঁর উদ্ভাবিত মোটরসাইকেলের নাম দিয়েছেন ডিজিটাল ইজি সাইকেল। এটি এমন একটি স্বয়ংক্রিয় যৌথ সার্কিটের মাধ্যমে পরিচালিত, যার ফলে মোটরসাইকেলটি একটি বিশেষ ধরনের হেলমেট ছাড়া স্টার্ট নেবে না। যা মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধ করবে এবং ট্রাফিক আইনের সহায়ক হবে। এটির ডিজাইন করা হয়েছে অনেকটা জাপানি হোন্ডা ফিফটি সিসি মোটরসাইকেলের মতো। তেলে না চলায় মোটরসাইকেলে কোনো ধোঁয়া হয় না। এটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। এতে কোনো শব্দ হয় না, যার ফলে এটি পরিবেশবান্ধব।

মোটরসাইকেলটির দুই পায়ে দুটি ব্রেক আছে। এ ছাড়া সাইকেলটিতে বৈদ্যুতিক এক্সেলেটর স্থাপন করা হয়েছে। এটিতে কোনো গিয়ার দেওয়া হয়নি। গোটা সাইকেলে ১২ ভোল্টের তিনটি ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি ব্যবহৃত হয় মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন-শক্তি হিসেবে ব্যবহৃত মোটরটি চলতে, অপরটি ব্যবহৃত হয় হর্ন, বাল্ব, সিগন্যাল দেওয়ার জন্য। সাইকেলের সামনের দিকে হেডলাইট এলাকায় ছোট আকৃতির বৈদ্যুতিক ফ্যানের আকারে তিনটি পাখা আছে। মোটরসাইকেলটি চললে পাখা তিনটি সজোরে ঘুরতে থাকে। যার বাতাস থেকে তৈরি হয় শক্তি। মোটরসাইকেলের প্রতিটি ব্যাটারিই সচল হয় এটির সঙ্গে সংযুক্ত সৌর প্যানেল ও সামনের দিকে থাকা পাখার ঘূর্ণায়মান বাতাস থেকে পাওয়া শক্তি ও জমা হওয়া চার্জ থেকে। সব ব্যাটারির সঙ্গেই সামনের দিকে থাকা পাখা ও সৌর প্যানেলের সংযোগ দেওয়া আছে। মোটরসাইকেলটিতে একটি গিয়ার বক্সের মাধ্যমে বিশেষ ধরনের একটি সার্কিট সংযুক্ত আছে। যার ফলে যখনই মোটরসাইকেলটিতে চলন্ত অবস্থায় ব্রেক করা হয় কিংবা ঝাকি তৈরি হয় তখন ওই সার্কিটের সঙ্গে সংযুক্ত পেনিয়ামে ঘর্ষণ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ তৈরি হয়, যা তারের মাধ্যমে ব্যাটারিতে চার্জ হিসেবে জমা হয়।

মোটরসাইকেলটিতে কোনো প্রচলিত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়নি। এক হর্স পাওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডিসি ভোল্টের মোটরকে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই মোটরের সঙ্গে চেইনের মাধ্যমে চাকার সংযোগ আছে। মোটরটি চলে ব্যাটারির শক্তিতে। যেহেতু ট্রাফিক আইন অনুযায়ী মোটরসাইকেলে দুজন চড়া আইনসংগত, সেহেতু জুবায়েরের মোটরসাইকেলটিতে সর্বোচ্চ দুজনই চড়তে পারবে। এজন্য মোটরসাইকেলটিতে এমন একটি স্বয়ংক্রিয় সুইচ যুক্ত করা আছে, যা প্রাপ্তবয়স্ক দুজনের অতিরিক্ত ব্যক্তি চড়লেই ওই সুইচটির মাধ্যমে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাবে।
এ ছাড়া এটি চালানোর জন্যে মোটরসাইকেলের সঙ্গে জুবায়েরের নিজের তৈরি একটি বিশেষ ধরনের হেলমেট নিতে হবে। এ হেলমেটে এমন একটি সার্কিট দেওয়া আছে, যার ফলে হেলমেটটি নিয়ে মোটরসাইকেলে না উঠলে স্টার্ট নেবে না। কোনো কারণে হেলমেটটি অকার্যকর হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে রিমোটের মাধ্যমে এটি স্টার্ট করা যাবে। এ রিমোটটি একইভাবে জুবায়ের তাঁর নিজস্ব কারিগরি মেধায় তৈরি করেছেন।

প্রায় প্রতিদিনই জুবায়েরকে এই মোটরসাইকেলযোগে শহর ও বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে দেখা গেছে। তাঁর মোটরসাইকেলটি কোথাও থামলে সব সময় উৎসুক মানুষ এটি ঘিরে ভিড় করে। প্রত্যেকেই তাঁর এ উদ্ভাবনকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
জুবায়ের জানান, ঢাকার একটি ওয়ার্কশপে চাকরি করা অবস্থায় ২০০০ সালে সৌর ও বায়ু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের মোটরসাইকেল তৈরির পরিকল্পনা তিনি মাথায় নেন। দীর্ঘদিন চেষ্টার পর গত বছর তিনি এটি তৈরি করতে সক্ষম হন। এটি তৈরিতে মোট খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। তবে ব্যাপক উৎপাদনে গেলে এটির খরচ অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব বলে তিনি দাবি করেন। এজন্য তিনি সরকারি কিংবা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আশা করেন। জুবায়ের জানান, তাঁর এ প্রযুক্তি নিয়ে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক জিয়াউর রহমানের কাছে গিয়েছিলেন। তিনি এটি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে গাড়ির ওজন কমানো, ডিজাইনে নতুনত্ব আনা ও গতি কিছুটা বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। [খবর: কালের কন্ঠের]

জুবায়েরকে আমাদের অভিনন্দন। সেই সাথে সরকার, বুয়েট, প্রগতি, এটলাস বাংলাদেশ, ওয়ালটন, মেশিন টুলস ফ্যাক্টরী সবার কাছে আহবান, ছোট দেখে হেলা করবেন না। এই বিশাল সৃষ্টিকে জনকল্যানে কাজে লাগান।

শুক্রবার, ২৯ জুন, ২০১২

শিশুরাও আক্রান্ত, মাসে ৩ কোটি টাকার পর্নো ডাউনলোড

ঢাকা: দনিয়ার এ.কে স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রিয়াজ উদ্দিন (১৩)। ক’দিন আগে স্কুল থেকে বাসায় ফিরে কিছু একটা লুকাতে চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। ধরা পড়ে যায় মায়ের হাতে।

লুকানো জিনিসটি আর কিছু না, ছোট একটা মেমোরী কার্ড এবং একটা কার্ড রিডার। কিন্তু এর ভেতরে রয়েছে ভয়ংকর রুচি বিবর্জিত বেশ কিছু ভিডিও দৃশ্য এবং স্থির চিত্র। এক রিয়াজ উদ্দিনই নয়, এ রকম আরো অনেক শিশু, কিশোর, যুবক আক্রান্ত হচ্ছে পর্নোগ্রাফির ভয়ংকর থাবায়।

তারা বিভিন্ন সাইবার ক্যাফেতে অশালীন ভিডিও দেখে। অনেকে মেমোরি কার্ডে তা ডাউনলোড করে নিয়ে নেয়। পরে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে মোবাইল ফোনে দেখে। এক্ষেত্রে তারা কার্ড রিডার ব্যবহার করে।

অনেকে আবার ইন্টারনেট সুবিধা সম্বলিত মোবাইল সেট ব্যবহার করে সরাসরি পর্নো সাইটগুলোতে প্রবেশ করছে। সেখান থেকে ডাউনলোড করে তা বন্ধুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে। ঘরের কম্পিউটারে বসে লুকিয়ে লুকিয়ে এসব দেখছে ও ডাউনলোড করে নেয় অনেকে।

এ বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে রিয়াজউদ্দিনের বাবা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা যত দিনে জানতে পেরেছি তত দিনে সে খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে বেশ মিশতে শুরু করেছে। এ টুকুন ছেলে কিছু বুঝতে শেখার আগেই এভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে ভাবলে গা শিউরে উঠে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, ‘কিছু দিন আগে এ বিষয়ে একটি গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে শুধু ঢাকাতেই শহরের বিভিন্ন সাইবার ক্যাফে থেকে প্রতি মাসে ৩ কোটি টাকার পর্নোগ্র্যাফি ডাউনলোড করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শিশু, কিশোর ও তরুণ-তরুণীরা। যাদের বড় একটা অংশ স্কুলগামী শিক্ষার্থী।’

তিনি বলেন, ‘ফার্মগেট, গুলিস্তান, নীলক্ষেত, ধানমন্ডির সাতমসজিদ, যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ, শ্যামলী, গুলশানসহ বেশ কয়েকটি জোনে এ ডাউনলোড সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। আক্রান্তদের অধিকাংশ মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান।

ধনী পরিবারের ছেলেরা বেশির ভাগ নিজেদের ঘরে বসে কম্পিউটারে কিংবা মোবাইলে এসব করছে। অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, একদিকে শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন, অন্যদিকে পিছনে বসে মোবাইলে এসব দেখছে ছাত্ররা।’ 

রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর, ফার্মগেট, যাত্রাবাড়ীর কয়েকটি সাইবার ক্যাফেতে ব্যবহৃত কম্পিউটারের ব্রাউজিং লিস্ট (বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশের তালিকা) থেকে দেখা যায়, সাইবার ক্যাফেতে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাদের ৯৫-৯৭ শতাংশের বেশি পর্নো সাইটগুলো ব্রাউজ করেন।

সাইবার ক্যাফেতে বসে পর্নোসাইটে প্রবেশের প্রবণতা বেশি হওয়ার কারণ এখানকার কম্পিউটারগুলো ছোট ছোট খুপরির মধ্যে বসানো। কম্পিউটার বুথে দরজা লাগিয়ে কিংবা দেওয়ালের দিকে মুখ ঘুরিয়ে বিশেষ কৌশলে এ খুপরিগুলো তৈরি করা হয়। বিকৃত মানসিকতা এবং অতিমুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে এ ধরণের খুপরি তৈরি করে রেখেছে ক্যাফে মালিকরা।

ব্যাঙের ছাতার মত শহরের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে এসব সাইবার ক্যাফে। সাইবার ক্যাফে ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সূত্রে জানা যায়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে আনুমানিক ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ সাইবার ক্যাফে রয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের হিসেবের বাইরেও বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানসহ অসংখ্য সাইবার ক্যাফে গড়ে উঠেছে।

সাইবার ক্যাফের ডিজাইন সর্ম্পকে সাইবার ক্যাফে ওর্নাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক এ. এম কামাল উদ্দিন সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাইবার ক্যাফে নির্মাণের ক্ষেত্রে কম্পিউটার বুথের দেওয়ালে উচ্চতা ৪ ফিটের বেশি হতে পারবে না। এটি খোলা দরজার এবং খোলা মেলা হতে হবে।’

ছোট ছোট স্কুল শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার নারী-পুরুষরা আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভয়ংকর ব্যাধিতে। জড়িয়ে পড়ছেন নানা ধরণের অপরাধে।

অধ্যাপক আমানুল্লাহ বলেন, ‘পর্নোগ্রাফিতে আক্রান্তদের সাইকোলজি কোমায় (মানসিকতার চুড়ান্ত বিকৃতি) চলে যায়। এই পর্নোগ্রাফিতে মানসিক অসুস্থতা শুরু হয়ে এটি ব্যক্তিত্বের মধ্যে অসুস্থতা সৃষ্টি করে। ফলে আক্রান্তরা স্বাভাবিক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে মিশতে পারে না, তাড়াতাড়ি লেখাপড়া ছেড়ে দেয়, কমবয়সে বিয়ে করে ফেলে।’

তিনি বলেন, ‘গত কয়েক মাসে যেসব খুনের ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে অল্প বয়সীরা জড়িত। তাদের এ অপরাধ প্রবণতার পেছনের কারণ খুঁজলে দেখা যায়, তারা কোন না কোনভাবে পর্নোগ্রাফিতে আক্রান্ত। দেখা যায়, বিকৃত মানসিকতার কারণে এরা খুন, ধর্ষণ, লাশ টুকরা করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের বিকৃত অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।

এরা ভবিষ্যতে পরিবার গড়ে তোলার বিষয়ে যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে কিংবা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। বিবাহ বহির্ভূত সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে। আইসিডিডিআরবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় দেখা যায়, শহরগুলোতে ৫০ শতাংশ ছেলে মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই বিবাহ বর্হিভূত কাজে জড়িয়ে পড়ে।

শুধু ইন্টারনেট কিংবা মোবাইল দুনিয়াতেই নয়- রাস্তাঘাট, হাটবাজার থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই চলছে পর্নোগ্র্যাফির রমরমা বাণিজ্য।

রাজধানীর ফার্মগেট ফুটওভার ব্রিজ থেকে নামতেই ছোট ছোট টুল টেবিলে করে পর্নো সিডি-ভিসিডি বিক্রি করা হচ্ছে। এসব বিক্রেতাদের মধ্যে বেশিরভাগ আবার শিশু বিক্রেতা।

ঔষধ বিক্রিতে পর্যন্ত অশালীন ছবি প্রদর্শনী ও অশালীন কথোপকথন এর ব্যবহার করে আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে। রাজধানীর ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের সামনে, বিআরটিসি কাউন্টারের পাশে, গুলিস্তান আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেটের পাশে ঔষধ বিক্রিতে এ বিকৃত চর্চার ঘটনা প্রায় নিয়মিত।

এ ধরনের ঘটনা রাজধানীসহ সারা দেশের অসংখ্য জায়গায় নানান কৌশলে ঘটে চলেছে।

এদিকে বন্ধ হচ্ছে না সাইবার ক্রাইম। সাইবার অপরাধী ও পর্নোসন্ত্রাসীরা কৌশলে কিংবা ফাঁদে ফেলে ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে এবং মোবাইলে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সিডি ভিসিডি বানিয়ে বিক্রি করছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গোপন ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে এটি করা হচ্ছে। এ নিয়ে কিছু দিন বেশ শোরগোল শোনা গেলেও এ অপরাধ বন্ধ হয় নি।

অথচ পর্নোগ্র্যাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ পাশ হওয়ার পর এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।

এ আইনে বলা আছে, যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোন অশ্লীল বই, সাময়িকী, ভাস্কর্য, কল্পমূর্তি, মূর্তি, কাটুর্ন বা লিফলেট, অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য যাহা চলচ্চিত্র, ভিডিও চিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থির চিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোন উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যাহার কোন শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই তার সবই পনোর্গ্র্যাফি। এসব পর্নোগ্রাফি উৎপাদন, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ, বহন, সরবরাহ, ক্রয়, বিক্রয়, ধারণ বা প্রদর্শন করা যাবে না।

যারা এই আইন মানবে না তাদের ২ বছর থেকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড ভোগ করতে হবে।

কিন্তু এ আইনের প্রয়োগ না হওয়ায় দেদারছে আইন লঙ্গন করে চলছে এক শ্রেণীর মুনাফা লোভী। চোখের সামনে পর্নো আইনের এ রকম লঙ্গন হয়ে চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অজানা কারণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ক্রীয় থাকছে।

রাস্তার উপর গণউপদ্রব সৃষ্টিকারী প্রকাশ্য পর্নো সন্ত্রাসসহ সবধরণের পর্নোগ্র্যাফি কিংবা বিকৃত রুচির উপাদানে ভরা ওয়েবসাইটগুলোর ডোমেইন বন্ধ করা শুধু একটা স্বিদ্ধান্ত আর আন্তরিকতার ব্যাপার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা, ভুক্তভোগীদের দাবিও তাই।

আমানুল্লাহ বলেন, ‘পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর মাধ্যমে এ সন্ত্রাস বন্ধ করা সম্ভব নয়। আইনে প্রয়োগের সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্র থাকতে হবে। নইলে এখনকার মত আটকে দুই একদিনের মাথায় বেরিয়ে চলে আসবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি পরিবার ও সামাজিকভাবে সবাইকে সচেতন হতে হবে। পাঠ্যবইয়ে এসর্ম্পকে সচেতন করার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

কোকাকোলা-পেপসিতে অ্যালকোহল! হারাম থেকে বিরত থাকুন।

কোকাকোলা-পেপসিতে অ্যালকোহল!

ঢাকা: বিশ্বেজুড়ে তুমুল জনপ্রিয় কোমলপানীয় কোকাকোলা ও পেপসিতে অ্যালকোহল থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্যারিসভিত্তিক ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কনজাম্পশন তাদের সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছে।

গত বুধবার ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল ওই গবেষণা প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বিশ্বে সর্বাধিক বিক্রিত কোমল পানীয় কোকাকোলা এবং পেপসিসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অর্ধেকেরও বেশি কোলায় অ্যালকোহল রয়েছে। তবে পরিমাণটা সামান্য।

ফ্রান্সের ‘৬০ মিলিয়ন কনজিউমার’ সাময়িকীতে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি লিটার পানীয়তে অ্যালকোহলের পরিমাণ ১০ মিলিগ্রাম। শতকরা হিসাবে যা ০.০০১ শতাংশ।

উল্লেখ্য, কোমলপানীয়ের সস্তা সংস্করণের বাজারে শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি কোকাকোলা এবং পেপসি তাদের পানীয়কে অ্যালকোহল মুক্ত বলে দাবি করে থাকে। কিন্তু নতুন এই গবেষণা প্রতিবেদনের কারণে কোক-পেপসিতে অ্যালকোহল না থাকার দাবি এখন বড় এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লো।

গবেষণায় এসব কোমল পানীয়তে অ্যালকোহলের মাত্রা খুবই সামান্য বলে প্রতীয়মান হলেও লাখ লাখ মুসলমান ভোক্তা যারা প্রতিদিন কোকাকোলা বা পেপসির মতো কোমলপানীয় পান করে। এদুটি পানীয়তে অ্যালকোহলের উপস্থিতি এবার তাদের ভাবিয়ে তুলবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মানুভূতির কারণে কো-পেপসির বাজারটি এখন হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইসলাম ধর্মে অ্যালোকহল পান নিষিদ্ধ বা হারাম । কেউ না জেনে খেলে তওবা করুন ও বর্জন করুন এসব।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=78bd5307b3895a477d6d3e7fd157fd39&nttl=28062012122715

খবরটি সবাই শেয়ার করুন

বৃহস্পতিবার, ২৮ জুন, ২০১২

লালপুর মাদক ব্যবসায়ীদের প্রধান রুট: পুলিশ হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা

আকতার হোসেন অপূর্ব, নাটোর প্রতিনিধি

 নাটোরের লালপুরে বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় ও পুলিশের সহযোগিতায় মাদক ব্যবসা জমজমাট ভাবে চলছে। মাদক ব্যাবসার প্রধান রুট হিসেবে পরিচিত এই লালপুর। সীমান- এলাকা পার্শ্ববর্তী হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিল, গাঁজা ও হিরোইন লালপুরসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলা, জেলা ও রাজধানী ঢাকা শহরে ছড়িয়ে পড়ছে। মাদক নেশায় জড়িয়ে পড়ছে কিশোর কিশোরী, যুবক সহ বিভিন্ন পেশার চাকুরীজীবীরা।
উপজেলার পশ্চিমে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলা,দক্ষিণে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামাড়া ও দৌলতপুর উপজেলা, পূর্বে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা অবসি’ত। পশ্চিম দক্ষিণ কোনে ভারতের জলঙ্গী বর্ডার অবসি’ত হওয়ায় প্রতিদিন নদী পথে ও সড়ক পথে হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিল, গাঁজা, হিরোইন আসে এই রুটে। মাদক ব্যাবসার প্রধান রুট হিসেবে সারা দেশে লালপুর উপজেলা পরিচিত। লালপুর থেকে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, পাইভেট কার সহ বিভিন্ন যান-বাহনে দেশের বিভিন্ন উপজেলা, জেলা সহ রাজধানী ঢাকা শহরে ছড়িয়ে পড়ছে। লালপুর উপজেলার তিলকপুর, কাজীপাড়া, লক্ষীপুর, নুরুল্লাপুর, নবীনগর, দক্ষীণ লালপুর, উত্তর লালপুর, ডেবরপাড়া, দুড়দুড়ীয়া, বিলমাড়ীয়া, মাধবপুর, গৌরীপুর, পালিদেহা, পুরাতন ঈশ্বরদী সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে পুলিশের সহযোগিতায় ফেন্সিডিল গাঁজা হিরোইনের ব্যাবসা জমজমাট ভাবে চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত ২০১০সালের ৮ নভেম্বর তিলকপুর আনসার ও ভিডিপি ক্লাবের উদ্দ্যোগে গৌরীপুর স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ছিদ্দিকুর রহমান ও রাজশাহী র‌্যাব- ৫ এর উপ- অধিনায়ক মেজর আনোয়ার সহ পাবনার  পুলিশ সুপার ( পিপিএম ) জাহাঙ্গীর আলম মাতুব্বর , নাটোর সহকারী পুলিশ সুপার নাসিরুল ইসলাম স’ানীয় পুলিশ প্রসাশন  উপসি’তে   মাদক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় । মাদক বিরোধী সমাবেশের পর তৎকালীন লালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলামকে মাদক ব্যাবসায়ীদের সহোযগিতা করার কারনে শাসি- হিসেবে রাজশাহী পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয় । লালপুর কে মাদক মুক্ত করার লক্ষ্যে বর্তমান লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মতিয়ার রহমান কে  নিয়োজিত করেন।
তিনি প্রথম দিকে লালপুর থানা মাদকের বিরুদ্ধে সাড়াসী অভিযান ও লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহমানকে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদলতে মাদক ব্যাবসায়ীদের ৩-৬ মাসের জেল ও আর্থিক জরিমানা করলে মাদক ব্যবসায়ীরা সাময়িক ব্যবসা বন্ধ রাখে। বর্তমান লালপুর থানায় নামে মাত্র মাদক বিরোধী  অভিযান চালিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের গ্রেফতার করা হলেও প্রকৃত মাদক সম্রাটরা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। মাদক সম্রাট তিলকপুর গ্রামের মমিন মন্ডলের পুত্র আহাদুল, মৃতঃ মুজি সরদারের পুত্র রফিকুল ওরফে রফিজুল,মৃত আঃ সাত্তারের ২নং- ছেলে আকতার হোসেন, কাজীপাড়া গ্রামের মৃত
সিরাজুল ইসলামের পুত্র আসাদুজ্জামান শিল্পী, লক্ষীপুর গ্রামের আজগর আলী ভাঙ্গনের পুত্র জিয়াউর রহমান জিয়া, নবীনগর গ্রামের রবিউল ইসলাম ওরফে ফেন্সি রবি , দক্ষীণ লালপুর গ্রামের খোরশেদ এর পুত্র আজিম,বাকনা গ্রামের জানু শেখের পুত্র ঈদ্রিস আলী , পুরাতন ঈশ্বরদীর (ভাদুর বটতলা) মৃত হাজের আলী পুত্র হাবিবর রহমান, মৃত হারু প্রাঃ পুত্র রাজা সহ অনেকে নামে মাদক মামলা সহ বিভিন্ন প্রকার মামলা থাকা সর্ত্তেও পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাদক ব্যাবসায়ীদের নিকট থেকে লালপুর থানা পুলিশ মোটা অংকের মাশুয়ারা হাতিয়ে তাদরকে মাদক ব্যাবসায় উৎসাহ দিচ্ছেন। পুলিেেশর সঙ্গে মাদক ব্যাবসায়ীদের সখ্যতার কারণে সাধারণ মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারাচ্ছে।
এলাকাবাসীর মতে থানা পুলিশের অবহেলায় মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে ফেন্সিডিল, গাঁজা ও হিরোইন ব্যবসা করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে। মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে কিশোর, কিশোরী, যুবক সহ বিভিন্ন পেশার চাকুরী জীবিরা। মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। অপর দিকে এলকাবাসীরা বলেন, প্রতিদিন শত শত মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার যোগে মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের রোষানলে পড়ে স্কুল ও মাধ্যমিক স্কুল এবং কলেজে পড়-য়া ছাত্রীরা। সচেতন মহলের দাবী, পুলিশ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা দোষী পুলিশ সদস্য ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গোপনে ও প্রকাশে তদন-  করে শাসি-র ব্যবস’া এবং মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস’া গ্রহনের দাবী জানান। এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদক ব্যবসায়ী বলেন, ভাই আপনারা পত্রিকায় আমাদের বিরুদ্ধে লিখলে আমাদেরই লাভ। কারণ পুলিশ আমাদের প্রতি চাপ সৃষ্টি করলে ছোট খাটো মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ব্যবসা বন্ধ করে দেয়। ফলে আমরা মাদক সেবনকারীদের কাছে চড়া দামে বিক্রয় করতে পারি।
এ ব্যপারে লালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিয়ার রহমান  বলেন, মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যপারে নাটোর পুলিশ সুপার কাইয়ুমজ্জামান বলেন,মাদক ব্যবসা সর্ম্পকে আমি জানি।সঠিক তথ্য পেলে প্রয়োজনে আমি নিজে অভিযানে যাব।
বাংলাদেশ পুলিশ রাজশাহী রেঞ্জ এর ডিআইজি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, লালপুরে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব। কোন পুলিশ সদস্য যদি মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করে থাকে তবে তদন- সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুই-তৃতীয়াংশ অপরাধের সঙ্গে মাদকই দায়ী



ক্যাপশন যুক্ত করুন



ক্যাপশন যুক্ত করুন
 সামাজিক শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তার জন্য মাদক হুমকিস্বরূপ। পরিসংখ্যান নিলে দেখা যাবে, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ অপরাধের সঙ্গে মাদকের রয়েছে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ যোগসূত্র।
মাদকবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মোহাম্মদ আলী সভায় সভাপতিত্ব করেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনকে অধিকতর সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনবল বৃদ্ধি, নতুন অফিস স্থাপন, যানবাহন ও সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমদ।
সভায় মাদকবিরোধী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এর আগে প্রেসক্লাব এলাকায় একটি মাদকবিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।


বুধবার, ২৭ জুন, ২০১২

মুক্তিযোদ্ধারা কি এই দিনটির জন্য যুদ্ধ করেছিল??? হায়রে দেশ,

ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।। :(
আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও হরতাল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নেতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলে। বৈদেশিক বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়।

একটু ভেবে দেখবেন কি? মানুষকে সচেতন করুন!
আপনি না করলে কে করবে?

ধন্যবাদ।



 খাবার অপচয় করার আগে ভাবুন আপনি কি করছেন?? 
নিজে সতর্ক হওন , অন্য কে সতর্ক করুন।


একটু ভাবুন ত !!!!!
দেশের রাক্ষক যদি বক্ষক হয় , তাহলে দেশ কোথায় যাবে???
এরা কি মানুষ ???????


আমাদের সবার মানবতা এখন কোথায় ? আমরা সবাই কি একটু চেষ্টা করলে পারি না আমাদের দেশ থেকে এই অমানবতা প্রতিরধ করতে ? আমি যখনই এ ধরনের মানুষ দেখি চোখে পানি এসে যায় , যতটা পারি এদের সাহায্য করার চেষ্টা করি , হতে পারে এটাই আমার সারাদিনের সব থেকে ভাল কাজ , আপনি কি আপনার মানবতা বজায় রাখছেন ? আপনার বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন উত্তর পেয়ে যাবেন সাথে সাথে.........
 সামান্য নিজ স্বার্থের জন্য যারা মানুষ খুন করতে পারে , তারা কিভাবে মানব সেবা করবে ????
জাতির কাছে প্রশ্ন রইল..................... 



বুধবার, ২০ জুন, ২০১২

প্রতারণার আরও অভিযোগ ডাচ-বাংলা গ্রাহকদের। অনিয়ম বেরে চলেছে ।

 বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম থেকে নেওয়া।।
সাইদ আরমান, সিনিয়র ইকোনমিক করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গ্রাহকদের অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে। গ্রাহকরা ই-মেইল ও ফোনে ব্যাংকটির বিরুদ্ধে নতুন নতুন অভিযোগ জানাচ্ছেন।

রোববার বাংলানিউজে ‘গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা তুলে নিচ্ছে ডাচ-বাংলা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর এ নিয়ে ব্যাংকপাড়া এবং এর গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। রোববার এবং সোমবার অনেক গ্রাহক আমাদের ফোন করে এবং ই-মেইলে তাদের ভোগান্তির কথা জানান। এ নিয়ে সোমবার বাংলানিউজে প্রকাশিত হয় ‘গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন ডাচ-বাংলার বিরুদ্ধে’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনের পরও গ্রাহকদের অভিযোগ অব্যাহত থাকে।

ব্যাংকটির গ্রাহকদের অভিযোগগুলো তুলে ধরা হলো বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য।

 গ্রাহকরা জানান, তাদের হিসাব থেকে অঘোষিত চার্জ কেটে নেওয়া হচ্ছে। যেসব চার্জ ধার্য করার কথা হিসাব খোলার সময় গ্রাহকদের বলা হয়নি, এখন সেরকম চার্জ ধার্য করে হিসাব থেকে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোনো নোটিশ ছাড়াই গ্রাহকের হিসাব থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে নিচ্ছে ব্যাংকটি। টাকা আয়ের এই অভিনব কৌশলে হতাশ ডাচ-বাংলার গ্রাহকরা।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এটিএম নেটওয়ার্ক ফিও আদায় শুরু করেছে ব্যাংকটি। প্রত্যেক গ্রাহকের হিসাব থেকে ২৩০ টাকা করে কেটে নেওয়া হয়েছে ফি হিসেবে। বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা বিবেচনা করে হিসাব করলে দেখা যায়, এতে প্রায় ৫০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। অথচ হিসাব খোলার সময় এমন ফি নেওয়ার কথা গ্রাহকদের ঘুনাক্ষরেও বলেনি কর্তৃপক্ষ।
হুমায়ুন কবির জুয়েল নামের একজন গ্রাহক জানান, যেখানে অন্য সকল ব্যাংক এটিএম ও নেটওয়ার্কিং খাতে কোনো চার্জ নেয় না সেখানে ডাচ-বাংলা নিচ্ছে ২৩০ টাকা করে চার্জ। তিনি আরও বলেন, এটিএম কার্ডের চার্জ যেখানে সকল ব্যাংকে ২০০-৩৪৫ টাকার মধ্যে সেখানে ডাচ-বাংলার চার্জ ৪৬০ টাকা।

ডাচ-বাংলার অনিয়ম শুধু এখানেই থেমে নেই। এর গ্রাহকরা জানান, এটিএম বুথে লেনদেন করতে গেলে যদি বাড়তি তথ্য চাওয়া হয়, তার জন্য গ্রাহককে তিন টাকা দিতে হয়। অন্য কোনো ব্যাংকের ক্ষেত্রে এমন নিয়ম নেই। এমনকি ডাচ-বাংলা ব্যাংক শুরুর দিকে এই চার্জ নিতো না।

তথ্য মতে, প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক গ্রাহক ডাচ-বাংলার বুথে লেনদেন করছেন। তারা সবাই অবশ্য ব্যালেন্স তথ্য নিচ্ছেন না। কিন্তু তারা সবাই যদি তিন টাকা করে ব্যালেন্স তথ্য নেন, তবে ব্যাংকের প্রতিদিন আয় হবে তিন লাখ টাকা। মাসিক হিসেবে প্রায় কোটি টাকা। আর বছরে গড়াচ্ছে প্রায় ১২ কোটি টাকা। আর এর অর্ধেক গ্রাহকও যদি নেন তবেও আয় ৬ কোটি টাকা।  গ্রাহকদের দাবি, এই আয় নিয়ম বহিভূর্ত।

এদিকে, ডাচ-বাংলা কার্ড নবায়ন ফি হিসেবে গ্রাহকদের কাছ থেকে বছরে ৪৬০ টাকা করে নিচ্ছে। এটিও অন্য ব্যাংকগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। অধিকাংশ ব্যাংকের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ তিনশ টাকা থেকে সাড়ে তিনশ টাকার মধ্যে।

জানা গেছে, বর্তমানে এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২৩ লাখ ৫০ হাজার। আর শাখার সংখ্যা প্রায় ১২১। আর এটিএম বুথের সংখ্যা ২ হাজার ৭৯টি।
হাবিবুর রহমান নামে একজন গ্রাহক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ``অনেক ধৈর্য্ ধরেছি। এটিএম বুথ, নেটওয়ার্ক সার্ভিস, ছেঁড়া টাকা এসব নিয়ে সার্ভিস চার্জ মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু আর নয়।``
রিপন কবির নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ``আমরা কীভাবে ২ হাজার টাকা ডিপোজিট রাখবো, ডিবিবিএল কি তা বোঝে না? যদি এমনটাই করা হবে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে হিসাব খোলার জন্য ক্যাম্পেইন কেন করা হলো?``
আমজাদ হোসেন শাহেদ নামে একজন স্যালারি অ্যাকাউন্ট হোল্ডার তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেন, ``এখন কি করবো আমি বুঝতে পারছি না।``
মাসুদুল হক মাসুদ নামের একজন গ্রাহক বলেন, “আমার অ্যাকাউন্টে ১৫০০ টাকা আছে। আমার প্রয়োজন ১০০০ টাকা তুলে নেওয়া। অথচ আমি তা তুলতে পারবো না। এটা কী মেনে নেওয়া যায়!”
সুমন প্রামাণিক লিখেছেন- মাত্র ১০০ টাকায় হিসাব খুলিয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংক এখন ২,০০০ টাকা রাখা বাধ্যতামূলক করে কোটি কোটি টাকা আয় করতে চাইছে যা বড় ধরনের অন্যায়। আপনি যদি ২,০০০ টাকা না রাখেন তাহলে ৬ মাসের মধ্যে আপনার হিসাব বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার টাকা ব্যাংক নিয়ে নেবে। এখাতেও তারা কোটি কোটি টাকা আয় করবে।
যখন ওরা নতুন ব্রাঞ্চ খোলে তখন যাকে পায় তাকেই মাত্র ১০০ টাকা জমা`র মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলায়। এখন সবার কাছ থেকে ২০০০ টাকা বাধ্যতামূলক আদায় করছে। স্বল্প আয়ের মানুষ, ছাত্র, গৃহিনী, ক্ষুদে চাকুরীজীবীদের পক্ষে কোনক্রমেই এতো টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে রাখা সম্ভব নয়।

আসুন আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আমরা যারা ক্ষুদ্র সঞ্চয়ী তাদের বাঁচান। ২,০০০ টাকা অ্যাকাউন্টে ফেলে রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব না।
মোহসিন মাহমুদ লিখেছেন, “অ্যাকাউন্ট করলাম ৫ বছর হয়ে গেছে, চেক বই এখনো পেলাম না। চেক বইয়ের জন্য গেলে, একবার এইখানে, একবার ওইখানে ঘুরতে হয়, আজব ! আবার চেক বইয়ের জন্য টাকাও কাটে ! আমরা যারা ছাত্র, আমাদের অ্যাকাউন্টে আর কতো টাকা থাকে ! তার মধ্যে যদি ২ হাজার টাকা রেখে দেয়, তাহলে আর অ্যাকাউন্ট রাখার কি দরকার! তাই ১ তারিখের আগেই অ্যাকাউন্ট বাতিল। ৫০০ টাকা ভিক্ষা দেবো DBBL কে।।”
রনি হোসেন লিখেছেন, “আমদের নিজেদেরকেই এগুলো প্রতিহত করতে হবে। কারণ এগুলো দেখার মত আমদের দেশে কেউ নেই। আসুন আমরা সবাই ডাচ বাংলাকে `না` বলি। একমত হলে লাইক দিন.........।
রনির এই লাইক আবেদনে সাড়া দেন অনেক পাঠক।

অন্যদিকে বাংলানিউজে প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদন নিয়ে এর পাঠক এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গ্রাহকরা বাংলানিউজের এই সাহসী ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, বাংলানিউজে এমন জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের পরও অন্য পত্রিকা এবং টেলিভিশনগুলো কেন নীবর। তারা কি বিজ্ঞাপনের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।

প্রতিবেদন বিষয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য চাওয়া হলে তারা প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলবেন না বলে জানিয়ে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১২
এসএআর/সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর মাহমুদ মেনন, হেড অব নিউজ- menon@banglanews24.com; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর
jewel_mazhar@yahoo.com


মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১২

আসসালামুয়ালাইকুম , প্রিয় মুসলিম ভাই-বোন গন আপনাদের সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি.....!! ভণ্ড পীর চিনে রাখুন

আসসালামুয়ালাইকুম , প্রিয় মুসলিম ভাই-বোন গন আপনাদের সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি.....!!

দেওয়ানবাগী ভণ্ড পীর (চিনে রাখুন , জেনে রাখুন এবং প্রচার করুন ইসলামের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টিকারী এক ভণ্ড পীরের কাহিনী ) নিয়ে লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরধ করছি সবাইকে ।

আলোচনার স্বার্থে আমি সংক্ষিপ্ত ভাবে তাদের বিভিন্ন বইয়ে পাওয়া কিছু কথা এখানে ধারাবাহিক ভাবে প্রথমে তুলে ধরছি ।

১. "'দেওয়ানবাগী স্বপ্নে দেখেন ঢাকা এবং ফরিদপুরের মধ্যবর্তী স্থানে এক বিশাল বাগানে ময়লার স্তূপের উপর বিবস্ত্র অবস্থায় নবীজীর প্রাণহীন দেহ পড়ে আছে। মাথা দণি দিকে, পা উত্তর দিকে প্রসারিত। বাম পা হাঁটুতে ভাঁজ হয়ে খাড়া আছে। আমি উদ্ধারের জন্য পেরেশান হয়ে গেলাম। তাঁর বাম পায়ের হাঁটুতে আমার ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করার সাথে সাথে দেহে প্রাণ ফিরে এল। এবং তিনি আমাকে বললেন, ''হে ধর্মের পুনর্জীবনদানকারী, ইতিপূর্বে আমার ধর্ম পাঁচবার পুনর্জীবন লাভ করেছে।"
( সূত্র: রাসূল কি সত্যিই গরিব ছিলেন-দেওয়ানবাগ থেকে প্রকাশিত )

২. "একদিন ফজরের পর মোরাকাবারত অবস্থায় আমার তন্দ্রা এসে যায়। আমি তখন নিজেকে লুঙ্গি-গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় রওজা শরীফের নিকট দেখতে পাই। দেখি রওজা শরীফের উপর শুকনা পাতা এবং আগাছা জমে প্রায় এক ফুট পুরু হয়ে আছে। আমি আরো ল্য করলাম, রওজা শরীফে শায়িত মহামানবের মাথা মোবারক পূর্ব দিকে এবং মুখমণ্ডল দণি দিকে ফিরানো। এ অবস্থা দেখে আমি আফসোস করতে লাগলাম। এমন সময় পাতার নীচ থেকে উঠে এসে এ মহামানব বসলেন। তার বুক পর্যন্ত পাতার উপর বের হয়ে পড়ে। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনি দয়া করে আমার রওজা পরিষ্কার করে দেবেন না ? আমি বললাম, জী, দেব। তিনি বললেন, তাহলে দিন না। এভাবে বারবার তিনবার বলায় আমি এক একটা করে পাতা পরিষ্কার করে দেই। এরপর আমার তন্দ্রা ভেঙে যায়।"
( সূত্র: রাসূল কি সত্যিই গরিব ছিলেন-দেওয়ানবাগ থেকে প্রকাশিত )

৩. "দেওয়ানবাগী এবং তার মুরীদদের মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ্, সমস্ত নবী, রাসূল (সা), ফেরেস্তা, দেওয়ানবাগী ও তার মুর্শিদ চন্দ্রপাড়ার মৃত আবুল ফজলসহ সমস্ত ওলি আওলিয়া, এক বিশাল ময়দানে সমবেত হয়ে সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়ানবাগীকে মোহাম্মাদী ইসলামের প্রচারক নির্বাচিত করা হয়।
অত:পর আল্লাহ সবাইকে নিয়ে এক মিছিল বের করে। মোহাম্মাদী ইসলামের চারটি পতাকা চারজনের_ যথাক্রমে আল্লাহ, রাসূল (সা), দেওয়ানবাগী এবং তার পীরের হাতে ছিল। আল্লাহ, দেওয়ানবাগী ও তার পীর প্রথম সারিতে ছিলেন। বাকিরা সবাই পিছনের সারিতে। আল্লাহ নিজেই স্লোগান দিয়েছিলেন_ ''মোহাম্মাদী ইসলামের আলো_ ঘরে ঘরে জ্বালো।"
(সূত্র: সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগী পত্রিকা- ১২/০৩/৯৯ )

৪. "অন্তর্দৃষ্টি খোলা এক আশেক দেখতে ছিলেন এই অনুষ্ঠান রাহমাতুলি্লল আলামীন তাশরীফ নিয়েছেন। এবং রাব্বুল আলামীন দয়া করে তাশরীফ নিয়েছেন। রাব্বুল আলামীন এসে একটা নির্দেশ করেছেন যে, এ বিশ্ব আশেকে রাসূল (সা সম্মেলনে যত আশেকে রাসূল অংশগ্রহণ করেছেন রাব্বুল আলামীন ফেরেস্তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন সমস্ত আশেকে রাসূলদের তালিকা তৈরী করতে। এই তালিকা অনুযায়ী তারা বেহেস্তে চলে যাবে। এটা কি আমাদের জন্য বুলন্দ নসীব নয় কি ? যারা গত বিশ্ব আশেকে রাসূল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের জন্য কি এটা চরম পাওয়া নয় ?"
(সূত্র: মাসিক আত্মার বাণী, নভেম্বর : ১৯৯৯ )

৫. দেওয়ানবাগীর এক পা-চাটা চাকর বলে (নাম মাওলানা আহমাদুল্লাহ যুক্তিবাদী,)
"আমি স্বপ্নে দেখলাম হযরত ইব্রাহীম (আ) নির্মিত মক্কার কাবা ঘর এবং স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা) বাবে রহমতে হাজির হয়েছেন। আমাকে উদ্দেশ্য করে নবী করীম (সা) বলছেন_''তুমি যে ধারণা করছ যে, শাহ্ দেওয়ানবাগী হজ্জ করেননি আসলে এটা ভুল। আমি স্বয়ং আল্লাহর নবী মোহাম্মাদ (সা) তার সাথে আছি এবং সর্বণ থাকি। আর কাবা ঘরও তার সামনে উপস্থিত আছে। আমার মোহাম্মাদী ইসলাম শাহ্ দেওয়ানবাগী প্রচার করতেছেন।
আমি যুক্তি খণ্ডনে যাবো না । শুধু আপনাদের উপর বিষয়গুলো ছেড়ে দিলাম । কতো বড় ভণ্ড হলে এরকম বলতে পারে । একটা কথাও কোরআন হাদীস কিংবা ইজমা কিয়াসের ভিত্তিতে নয় । সব মনগড়া ।

ভণ্ড পীরের একটা লোমহর্ষক তথ্য :
"তথাকথিত ছুফী সম্রাট দেওয়ানবাগী পীর জাল দলিলের মাধ্যমে জোর পূর্বক কয়েক কোটি টাকার জমি দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জমির প্রকৃত মালিক আব্দুল গফুর। গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার ছেলে মহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের পিছনে ১৪২/১ দক্ষিণ কমলাপুরে ৮০ শতাংশ ভূমি ক্রয় করে। জমিটি ক্রয়ের পর থেকেই তথাকথিত পীর দেওয়ানবাগী তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখলের পাঁয়তারা করে আসছিল। ভন্ডপীর দেওয়ানবাগীর সন্ত্রাসী বাহিনী গত ২০০২ সালে রাতের অন্ধকারে বাড়ির ভাড়াটিয়াদের জোর পূর্বক বের করে জমিটি দখল করে নেয়। ভূমি অফিসের কিছু অসাধু অফিসারে সাথে অবৈধ লেনদেন করে তিনি কাগজপত্র তৈরি করেন। জমি দখলের বিরুদ্ধে জজ কোর্টে মামলা করলে কোর্ট গত ২০০৩ সালে স্থগিতাদেশ প্রদান করে। উল্লেখ্য যে দেয়ানবাগী ও তার সন্ত্রাসীচক্র উক্ত বাড়িতে বর্তমানে উটের খামার করে। এখন নিয়মিত শতাধিক সন্ত্রাসী সেখানে অবস্থান করে। তার সন্ত্রাসী বাহিনী মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য নিয়মিত মোবাইলে হুমকি দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে মতিঝিল থানায় একাধিক জিডি করা হয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, উক্ত জমির উপর আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরেও গত ১৪ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রীকে সমাধি করা হয়। তার পালিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তিনি মতিঝিল ও আরামবাগ এলাকায় একাধিক বাড়ি দখল করে নিয়েছেন। তাই জমি ফেরত পেতে জমির প্রকৃত মালিক আব্দুল গফুর প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।" ( দৈনিক সংগ্রাম )

সহজ-সরল মানুষ গুলোকে বিভিন্নভাবে ধোঁকা দিয়ে ধর্মের নামে বেবসা করে যাচ্ছে এই ভণ্ড পীর । নাচ-গান- গাজার আসর সহ দরবারে বিভিন্ন বিদা’ত-শিরিক কর্ম করে যাচ্ছে যা এই ভণ্ড এবং তার অনুসারীরা । ভুল ইসলামী শিক্ষার মাধ্যমে ধর্মপ্রান মুসলমানের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারনা করে যাচ্ছে এই ভণ্ড ।
আসুন আমরা সঠিক ইসলাম সম্পর্কে সঠিকভাবে সঠিক দীনি আলেম থেকে জানার চেষ্টা করি এবং এই বিবর্জিত ভণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি । মহান আল্লাহ এমন ভণ্ড পীর দের থেকে আমাদের হেফাযত করে সঠিক ইসলাম জানার তওফিক দান করুন.......!!

লেখাটি আপনার নিকটতম বন্ধুরদের কাছে শেয়ার করুন । (COLLECTED)

●●মিয়ানমারে নির্বিচারে চলছে মুসলিম নিধন, আওয়াজ তুলুন●● দৈনিক প্রথম আলো বর্জন করুন ।

মুসলিম ভাই বোনেরা আর কত দিন চুপ থাকবেন ??? শেয়ার করে ঝড় তুলে দেন

●●মিয়ানমারে নির্বিচারে চলছে মুসলিম নিধন, আওয়াজ তুলুন●●

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা অহিংসতার কথা বলে! তাদের তো এরকম করার কথা না?
’৯০ এর দশকের শুরুতেই সেখানে মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু হলে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
রয়টার্স জানায়, ২৯শে মে রাখাইন প্রদেশের তাংগোকে শহরে বৌদ্ধদের হামলায় ১০ মুসলিম নিহত হয়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দোয়া মহফিলে আরও এক মুসলমানকে গুলি করে হত্যার পর এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বলে সূত্র দাবি করেছে। বৌদ্ধরা মুসলমানদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালালে আগুন দেয়া হচ্ছে। এতে মৃতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত হতে পারে তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেনি সূত্রটি। আকিয়াবের রাসেদং নামের এক গ্রামের ৪৭ পরিবারে সদস্যদের মেরে ফেলা হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্র দাবি করেছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক লোক মারা গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। আহতের সংখ্যা কয়েকশ’ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাতে মংডু, নয়াপাড়া , বুছিদং এলাকায় কারফিউ জারি করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপরও বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির মতো গোলাগুলি হয়েছে বলে খবর এসেছে।

ইসলাম আর মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে সকল কাফির মুশরিক ই একই হিংস্র চেতনা লালন করে, তার প্রমান দিচ্ছে রাখাইন-মগ বৌদ্ধরা! কোথায় জনাবা সূচী? তার শান্তির বাণী? - এই দাঙ্গা বন্ধ করুন!
আমার মুসলমান ভাই-মা-বোন আর নিষ্পাপ শিশুদের রক্তে আপনার মিয়ানমার ভিজে গেছে। বন্ধ করুন এই হত্যাযজ্ঞ!! আপনাদের বৌদ্ধদের অহিংসা নীতির আড়ালে লুকিয়ে থাকা হিংস্রতার দাঁতাল ভয়াল রূপটি বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচিত হয়ে গেছে! - বাংলাদেশের মুসলিমগন! যে যেখানে আছেন, বার্মাবাসী রোহিঙ্গা মুসলিম ভাই-বোনদের পাশে দাড়ান! আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এবং ইন্টারনেটের প্রতিটি সেক্টরে মিয়ানমারে মুসলিম হত্যাযজ্ঞের ঘটনাগুলো তুলে ধরুন!

আল্লাহ আমাদের মুসলিম ভাই বোনদের হেফাযত করুন, নিরাপদ ও শান্তি ফিরিয়ে আনুন

[বি:দ্র: প্রথম আলো মূল ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে রিপোর্ট করেছে-" মিয়ানমারে মুসলিমদের হামলায় ৪জন নিহত (http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-06-10/news/264574)" । চিন্তা করুন , মিয়ানমারে মুসলিমদের উপর এমন হত্যাযজ্ঞের ঘটনা প্রথম আলোর সম্পাদকের চোখে পড়েনি । অথচ আমাদের সময়.কম সহ বাংলাদেশের ও বিদেশের সকল রিপোর্টে বলেছে, এ ধাঙ্গায় ১৭জন মুসলমান নিহত হয়েছে(http://www.amadershomoy2.com/content/2012/06/10/news0297.htm)।
আর প্রথম আলো বলছে, "মুসলিমদের হামলায় ৪জন নিহত"।
এর আগেও সম্পাদক (মতিউর রহমান) ইসলাম সম্পর্কে কুটুক্তি করার অপরাধে বায়তুল মোকারম মসজিদের খতিবের (মরহুম মাওলানা উবায়দুল হক,আল্লাহ উনাকে জান্নাত নছিব করুন) কাছে (আল্লাহ'র দরবারে) এমন ক্ষমা অযোগ্য অপরাধ আর না করার শর্তে তওবা করে , কিন্তু তারপরও প্রথম আলো একের পর এক সুপরিকল্পিতভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করে যাচ্ছে , আমরা তাদের এমন ইসলাম বিরোধী কর্মের নিন্দা জানাই]

আপনি যদি মুসলিম পরিবারের সন্তান হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই এই পোষ্টটি সবার সাথে শেয়ার করবেন ।
Apne Jodi Musolman Porebar er Sontan Hoea Thaken, Tahole Obossoy ey Post te Sobar Sathe Share Korben.

সোমবার, ১৮ জুন, ২০১২

সাংবাদিকতা করে কোটিপতি মুন্নি সাহা ।

আমার কাছে একটি বিষয় খুব খারাপ লাগে তা হলো বাতির নিচে অন্ধকার। বাতি যখন তার আলো সব দিকে ছড়িয়ে পরে ঠিত তখনই দেখি তার নিচে অন্ধকারে আচ্চন্ন। যদি ইলেকট্রিক টিউব লাইটগুলোতে এখন এই ধারণাটি পাল্টিয়েছে। তবে মূল ধারা কিন্তু এখনো সমাজের চোখে রয়ে গেছে।
সমাজ উন্নয়ন আর পরবর্তনের বিপ্লব ঘটিয়েছে নারী পুরুষের অংশগ্রহণে। নজরুলের মতে জগতের অর্ধেক করেছে এই নারী আর অর্ধেক নর। কথাটি নজরুল পরবতীতে সময়ে নারীদের ব্যাপক উৎসাহ দিয়ে চলেছে।
নারীদের অন্যন্য পেশার মতো সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। নারীদের মূল ধারার সাংবাদিকতার বর্তমান কালে উল্লেখযোগ্য কিছু মুখের মধ্যে এটিএন নিউজের মুন্নি সাহা অনেকটাই আলোচিত আর পরিচিত একটি নাম।
২০০১ পরবর্তী জোট-সরকারের আমলে অনেকটা বাঘিনী কন্যার ভুমিকায় ছিল মুন্নি সাহা। মুন্নির অল্প সময়ে সাহসিকতা আর রিপোর্টং দেখে অনেক নারীই অনুপ্রাণিত হয়েছিল এই পেশাকে গ্রহণ করতে। আর সেই সময়ে এটিএন বাংলায় মুন্নির রির্পোট মানুষ অধির আগ্রহে শুনতে চাইতো। অনেকই বলতো এই দেখো বাঘিনী কন্যা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরকে কেমন তুলোধুনা করে দিলো তার প্রশ্নে।
আবার অনেক সময় দেখা যায় অগ্নি গর্ভে থেকে নিউজ উদ্ধার। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের সময় মুন্নি সাহা পিলখানায় যা দেখিয়েছিলেন তা সবাই মনে রেখেছে। পরবর্তীতে তা বিতর্ক জন্মিয়েছে।সাংবাদিকতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে কারও অন্যায় বা ক্ষতি না করে সত্য উদ্ধার করে পাঠক/দর্শককে জানিয়ে দেয়া। আমার মনে হয় সেই জ্ঞানটি প্রত্যেক ব্যক্তির ই আছে।
মাহফুজের দ্বিতীয় টেলিভিশন চ্যানেল েএটিএন নিউজের বার্তা প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন মিশুক মনির। তার প্রস্থানে মুন্নি সাহা হাল ধরেন চ্যানেলটির। তারপর থেকে তিনি সবচেয়ে বেশি বির্তকের তৈরি করেন। বিভিন্ন বিষয়ে স্বাক্ষাতকার দেয়া ব্যক্তিকে হেনেস্তা করার িএকটি চেষ্টা করেন বলে অনেক মহল মনে করেন। অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে হলুদ সাংবাদিকতার।
শুধূ তাই নয় সম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকান্ড নিয়ে এটিএন নিউজ ও মুন্নি সাহার ভুমিকা ছিল নাটকীয়। একজন টিভি রিপোটার হিসেবে হঠাৎ করে কোটিপতির বনে যান মুন্নি।
একটি সূত্র জানা গেছে মুন্নি সাহার ঢাকাতে ১২ ফ্ল্যাট রয়েছে। রয়েছে কারি কারি টাকা।
তাহলে সাধারন মানুষের প্রশ্ন তৈরি হেয়েছে তিনি কিভাবে েএগুলোর মালিক হলেন।:?
যেখানে সাংবাদিকরা ঠিকমতো বেতন পায় না সেখানে তিনি কিভাবে এতো সম্পদের মালিক হলেন।?
মন্ত্রী/ এমপি আর বিদেশীদের সাথে তাল মিলিয়ে অর্থ উপার্জণ অনেকটা হলুদ সাংবাদিকতায় পরে বলে জানি কিন্তু আমি জানি না মুন্নি সাহা বিষয়টি নিয়ে কি বলবেন? নাকি তিনিও এটিএন নিউজের নাম করে চাঁদাবাজী করছেন নীরবে?
আলোচিত সাগর-রুনি হত্যাকান্ড নিয়ে মাহফুজুর রহমানের বক্তব্য যখন তোলপাড় আর এটিএন বাংলার জ.ই মামুন মাহফুজের বক্তব্য যখন অরুচিশীল বলে মন্তব্য করেন ঠিক সেই সময় মুন্নি সাহার মুখে কোন বোল ফোটেনি। তাহলে কি তিনিই মাহফুজকে হত্যা পরিকল্পনায় সহযোগিতা করেছেন>>?
নাকি মাহফুজের স্টেশনে কাজ করছেন তাই চেপে আছেন?
একজন সাংবাদিক হিসেবে যখন সবাই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার ঠিক সেই সময়ে সময়ের সাহসী বাঘিনী কণ্যা কেন নিস্তব্ধ>?

হলুদ সাংবাদিকতার অভিযোগ তুলে ফেইসবুকে একটি ট্যাগ দেয়া হয়েছে সেখানে মুন্নি সাহাকে দেখানো হয়েছে এইভাবে?

েআমরা চাই মুন্নি সাহা তার সেই সাহসীকতা সাংবাদিকতার প্রতিফলন সময়ে পরিক্রমায় আবার দেখাক। তার হলুদ সাংবাদিকতার বিষয়টি নিয়ে তিনি কিংবা উনার কোন সাগরেদ এই পোষ্টে কমেন্ট করেন।
পরিশেষে প্রত্যেক সাংবাদিককে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সংবাদ পরিবেশনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি.....

 

শনিবার, ১৯ মে, ২০১২

ধূমপান কেন হারাম? আসুন ধুমপান থেকে বিরত থাকি।


যারা ধূমপান করে তাদের যদি আপনি জিজ্ঞাসা করেন, ভাই ধূমপান কি ভাল জিনিস? সে অবশ্যই বলবে “না”। তাহলে ইসলাম কি ধূমপান সমর্থন করে? অনেকে এটার কারন হিসেবে ধূমপান করাকে ইসলামে মাকরুহ বা অপছন্দনীয় হিসেবে আখ্যায়িত করে। কিন্তু সমস্ত আলেম ও ইসলামিক স্কলাররা একমত যে ধূমপান করা সম্পূর্ণ হারাম। এমনকি একান্ত বাধ্য না হলে (যেমন- তাকে কেউ বিয়ে করছে না, কিংবা বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু উপযুক্ত ছেলে পাওয়া যাচ্ছেনা এমন পরিস্থিতি না তৈরি হলে) ধূমপানকারীকে বিয়ে করাও ইসলামে নিষিদ্ধ। (the fatwas of the Standing Committee for Scholarly Research & Issuing Fatwas)

ধূমপান কেন হারাম?

১. মুসলমানদের জন্য খাদ্যদ্রব্য দুই প্রকার। হালাল আর হারাম। এর বাহিরে কিছু নেই। আল্লাহ বলেন, “……তিনি (আল্লাহ) তাদের জন্য পবিত্র ও ভাল বস্তুকে হালাল করেদেন, আর খারাপ বস্তুকে করেন হারাম”। (সূরা আরাফঃ ১৫৭)
সিগারেট কি পবিত্র ও ভাল বস্তু? অবশ্যই এটা খারাপ বস্তু, আর উপরক্ত আয়াত দিয়ে আল্লাহ খারাপ বস্তুকে হারাম করেছেন।

২. আল্লাহ বলেন, “… এবং খাও ও পান কর, কিন্তু অপব্যয় ও অমিতাচার করোনা। কেননা, আল্লাহ অপব্যয়কারীদের ভালবাসেন না?” (সূরা আরাফঃ ৩১)
এই পৃথিবীর সবাই জানে, ধূমপান করা মানে টাকার অপচয় করা। এমন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ আছে কি যে সিগারেটকে অপচয় বলবে না? আর সকল অপচয় হারাম। ধূমপানের জন্য যে পরিমান অর্থ সারা পৃথিবীতে ব্যয় হয়, তা দিয়ে কোটি কোটি ক্ষুধার্ত ও দরিদ্র মানুষদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা যেত।

৩. সিগারেটের গন্ধ আশপাশের মানুষকে কষ্ট দেয়। এই গন্ধ যে কতটা অসহ্য তা শুধু অধূমপায়ীরাই বুঝে। ঘুম থেকে উঠার পরে একজন ধূমপায়ীর মুখে যে দুর্গন্ধ হয়, তা দুনিয়ার কোন বাজে গন্ধের সাথেও তুলনা করা যাবেনা। রাসুল (সঃ) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস রাখে সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়৷” (বুখারী)
ধূমপানকারী তার ধুমপানের দ্বারা স্ত্রী-পরিজন, বন্ধু বান্ধব ও আশে-পার্শের লোকজনকে কষ্ট দিয়ে থাকে৷ অনেকে নীরবে কষ্ট সহ্য করে মনে মনে ধূমপান কারীকে অভিশাপ দেন ৷ তাছাড়া বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে, চেইন স্মোকারদের স্ত্রীদের ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা বেশি।

৪. মহানবী (সঃ) রসুন বা পেয়াজের গন্ধ নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন কেননা এই গন্ধ অন্য মুসল্লিদের কষ্ট দেয়। আর সিগারেটের গন্ধ তো সেগুলো হতে কয়েক হাজারগুন বেশি কষ্টদায়ক।

৫. আল্লাহ বলেছেন,
“তোমরা নিজেদের হত্যা করোনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ তোমাদের প্রতি অতি দয়ালু।” (সূরা নিসাঃ২৯)
রাসুল (সঃ) বলেছেন, “তোমার প্রতি তোমার শরীরের অধিকার আছে।”

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর ১০ লাখের বেশি মানুষ মারা যায় ধূমপানের কারণে। যারা ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যায়, তাদের মধ্যে ৯০% হল ধুমপানের কারণে। এছাড়া হৃদ রোগ, গ্যাস্ট্রিক আলসারসহ অনেক জীবননাশকারি রোগ সৃষ্টি করে ধূমপান। এমনকি গর্ভবতী মায়েরা ধূমপান করলে তাদের বাচ্চাদের বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মানোর সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে। ইসলামে কখনো এভাবে নিজের বা মানুষের ক্ষতি করা সম্পূর্ণ হারাম।

৬. আল্লাহ বলেছেন, “এবং তোমরা নিজ হাতে নিজেকে ধ্বংসে পতিত করো না।” (সূরা বাকারাঃ আয়াত ১৯৫)
ধূমপান ক্যান্সার, যক্ষা প্রভৃতির মত ধ্বংসাত্মক রোগের কারণ। ধূমপান নিজে নিজেকে ধ্বংস করে দেয়।

৭. ধূমপান যে বিষপান এটা সবাই একবাক্যে স্বীকার করে। এমনকি ইউরোপে একসময় এটাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং ধূমপানকারীকে শাস্তি প্রদানও করা হত। ইসলামে সকল বিষাক্ত জিনিস ভক্ষন করা নিষিদ্ধ। রাসুল (সঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি বিষ পানে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামের আগুনের মধ্যে অনন্তকাল তাই চাটতে থাকবে। সেখানে সে চিরকাল অবস্থান করবে।” (সহিহ মুসলিম)

৮. আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জাহান্নামীদের খাদ্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন,
“এটা তাদের পুষ্টিও যোগাবেনা ক্ষুধাও নিবারণ করবে না৷” (সূরা আল-গাশিয়াহ : ৭)
ধুমপানের মধ্যে এ বৈশিষ্ট্যই রয়েছে যে তা পানকারীর পুষ্টির যোগান দেয় না, ক্ষুধাও নেভায় না৷ ধুমপানের তুলনা জাহান্নামী খাবারের সাথেই করা যায়৷

৯. বাস্তবতার আলোকে দেখা যায় এটা সমাজের ভাল মানুষের কাজ না। সমাজে যারা বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়ায় তাদের ৯৮% ভাগ ধূমপান করে থাকে৷ যারা মাদক দ্রব্য সেবন করে তাদের ৯৫% ভাগ প্রথমে ধুমপানে অভ্যস্ত হয়েছে তারপর মাদক সেবন শুরু করেছে৷

ধূমপান করা, বিক্রি করা ও তাকে উৎসাহ দেওয়া সম্পূর্ণ হারাম।

► আমার এই লেখাটি পড়ার পর অনেকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, হারাম বস্তুগুলোর নাম ধরে ধরে আল্লাহ তো বিস্তারিত ভাবে ঘোষনাই করেছেন। কুরআনে আর হাদীসে কোথাও ধূমপানকে সুস্পষ্ট ভাবে হারাম করা হয়নি। তাহলে আল্লাহ যা হারাম করেননি, তা পৃথিবীর কোন মানুষের বা স্কলারের অধিকার নেই হারাম করার।
আবার অনেকে ভাবতে পারেন, পৃথিবীর কোন দেশ বা গবেষক বা কোন দেশের মাদক দব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অদ্যাবধি সিগারেটকে মাদকের তালিকায় নিয়ে আসেনি। তাহলে এটা তো মাদক বা নেশার বস্তু না।
আবার অনেকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, পূজিবাদের ধারক বাহক হয়ে তাদের স্বার্থ বাস্তবায়ন করার জন্য এই লেখার মাধ্যমে দেশের তামাক শিল্প বন্ধকরার ধান্ধাবাজি চলছে না তো!!!

প্রথমত বলতে চাই, আমি যা লিখেছি তা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্কলারদের (the Standing Committee for Scholarly Research and Issuing Fatwas, http://www.islamqa.com/ ) দেওয়া ফতোয়া থেকে লিখেছি যাদের চেয়ারম্যান বিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শায়খ আব্দুল আজিজ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে বাজ। এমনকি বর্তমান সময়ের প্রখ্যাত ইসলামিক চিন্তাবিদ ডা. জাকির নায়েকেরও এই মত। তাছাড়া শায়খ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন, ড. মুহাম্মদ আলি আল বার, শায়খ মুহাম্মদ বিন ইব্রাহীম, শায়খ আব্দুর রহমান বিন নাসির আল সাদিসহ প্রখ্যাত সকল ইসলামিক স্কলাররা ধূমপানকে হারাম হিসেবে গণ্য করেছেন।

দ্বিতীয়ত, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন সংস্থা সিগারেটকে মাদক বা নেশার বস্তু হিসেবে নিষিদ্ধ করেনি কোথাও। কিন্তু তারা যা বলবে সেটাই কি ইসলামে জায়েজ বা নাজায়েজ হয়ে যাবে? বাংলাদেশে লাইসেন্স করে মদ খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তাহলে কি এই লাইসেন্স করা মদ খাওয়া ইসলামে হালাল?

তৃতীয় কথা হল, ইসলামে দুইটা বিষয় আছে- ১. শরীয়ত, ২. ফিকাহ। শরীয়ত হল কোরআন ও হাদিস যা অপরিবর্তনীয়। আর শরীয়তের আলোকে ফিকাহ তৈরি হয়। আপনি যদি বলেন, বাসের ভিতর চলন্ত অবস্থায় নামাজ হবেনা কারন নবী (সঃ) কখনো এ বিষয়ে কিছু বলেননি। কিন্তু ফিকহবিদ কোরআন ও হাদিসের আলোকে এ বিষয়ে ফিকহ তৈরি করেছেন। হেরোইন, ইয়াবা, কোকেন তো হারাম করে কোন কোরআন, হাদিস নেই? তাহলে কি এগুলো হালাল হয়ে যাবে? আসলে ইসলাম হল সর্বসময়ের জন্য। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইসলাম একটা মূলনীতি দিয়েছে, যেগুলো কোরআন ও হাদিসে এসেছে। রাসুল (সঃ) তো তরবারি দিয়ে যুদ্ধ করতেন। তাহলে কি আমরা এখন সেই তরবারি দিয়েই যুদ্ধ করবো? না, এক্ষেত্রে আমাদের ইসলামের যে মূলনীতি- জিহাদ বা যুদ্ধ, সেটা মানতে হবে, অস্ত্রটা বড় কথা না। অনুরুপভাবে বস্তু ভক্ষন করার ক্ষেত্রেও ইসলাম একটা মূলনীতি দিয়েছে যা আমার প্রত্যেকটা পয়েন্টে উল্লেখ আছে। সুতরাং কিয়ামত পর্যন্ত সিগারেটের মত ক্ষতিকর যেই বস্তু যেই নামেই আসুক না কেন, সেটা হারাম হবেই।

চতুর্থ কথা, পুঁজিবাদরাই হারাম জিনিসকে হালাল হিসেবে চালিয়ে ব্যবসা করে ও তার ব্যপক প্রচারনা চালায়। সিগারেট সারা বিশ্বের মানুষ খায়। এটা আমাদের দেশের না শুধু। যারা মেডিক্যাল প্রফেশনের সাথে যুক্ত তারাই জানে অসংখ্য রোগের ক্ষেত্রেই তার কারনগুলোর ভিতর সিগারেট অন্যতম। আপনি কি মনে করেন, যে জিনিস ব্যক্তি বা সমাজের জন্য খারাপ, ইসলাম সেই জিনিস সমর্থন করে তা হালাল করে দিবে? ইসলামকে আপনি এমন বাজে বা হেলেফেলার কিছু মনে করবেন না। যেটা হারাম, সেটা হারাম। মানলে মানবেন, না মানলে মানবেন না। কিন্তু দয়া করে হারামের পক্ষে সাফাই গাইবেন না বা এর পক্ষে প্রচারও করেন না । জেনে বুঝে যদি নিজেকে জাহান্নামে নিয়ে যেতে চান, সেটা আপনার ব্যপার, কিন্তু অন্যকেও সাথে নিয়েন না দয়া করে।

আসলে যেসব বিষয়ে আমাদের সন্দেহ থাকে সেগুলোকে বাদ দিতে রাসুল (সঃ) স্বয়ং বলেছেন- “হালাল সুস্পষ্ট, হারাম সুস্পষ্ট। এর মাঝে রয়েছে অনেক সন্দেহ ও সাদৃশ্যের বিষয় যার ব্যাপারে অধিকাংশ মানুষেরই ধারনা নেই। যারা এসব সন্দেহ ও সাদৃশ্যের বিষয় থেকে বেঁচে থাকে, তারা নিজেদের ধর্ম ও মান রক্ষা করল। আর যে এ সন্দেহ জনক বিষয়গুলোতে লিপ্ত হল সে প্রকারান্তরে হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ল .. .. “। (বুখারী ও মুসলিম)

► দয়া করে এইটি সবাই প্রচার করুন। ইনশাআল্লাহ আপনি এর উত্তম প্রতিদান পাবেন। আর বন্ধুকে সিগারেট খাওয়ানোর আগে একটু চিন্তা করুন। রাসুল (সঃ) বলেছেন, “যে ইসলামে কোন ভাল পদ্ধতির পথনির্দেশ দিল, সে উহার সওয়াব পাবে এবং সেই পদ্ধতি অনুযায়ী যারা কাজ করবে তাদের সওয়াবও সে পাবে, তাতে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবে না। আর যে ব্যক্তি ইসলামে কোন খারাপ পদ্ধতি প্রবর্তন করবে সে উহার পাপ বহন করবে, এবং যারা সেই পদ্ধতি অনুসরণ করবে তাদের পাপও সে বহন করবে, তাতে তাদের পাপের কোন কমতি হবে না।”
(মুসলিম)

আপনি একজনকে সিগারেট খাওয়ালেন কিংবা তাকে খাওয়া শিখাইলেন। তাহলে উপরক্ত হাদিস অনুযায়ী আপনি আজীবন তার পাপ পেতে থাকবেন। আবার আপনি যদি সিগারেট হারাম, এটা প্রচার করে মানুষকে তা থেকে বিরত রাখলেন, তাহলে আজীবন তার সওয়াব পেতে থাকবেন।

যারা ধূমপান এখনো করছেন, তারা খাস দিলে আল্লাহর কাছে তওবা করে যেভাবে পারেন, এই মুহূর্তে ধূমপান ও অন্যান্য পান বন্ধ করুন। আর কাফফারা সরূপ ভাল কাজ যেমন- নামাজ বেশি বেশি করে আদায় করুন। আল্লাহ আপনাকে নিশ্চিত উত্তম প্রতিদান দিবেন। আল্লাহ বলেন,
“হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর, একেবারে বিশুদ্ধ তওবা যাতে আল্লাহ তোমাদের ক্রুটি-বিচ্যুতি মার্জনা করে দেন এবং তোমাদেরকে সেই জান্নাতে প্রবেশ করান যার পাদদেশ দিয়ে ঝরনাধারা প্রবাহিত।” (সূরা আত্ তাহরীম-আয়াত-৮) ।

মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১২

এই বৃদ্ধ চাচাকে দেখুন, অবশ্যই দেখুন এবং শেয়ার করুন। চোখের পানি ধরে রাখা কষ্ট হয়ে যায় এরকম মানুষ দেখলে।

লোকটির ছেলেমেয়ে আছে তবে তারা উনাকে দেখেন না, উনাকে খরচাপাতি দেন না, কিন্তু তাই বলে উনি ভিক্ষা করেন না, আমাদের মন্ত্রী এমপি দের মতো চুরি করেন না। উনি খেটে খান, উনি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিজের খাবার যোগার করেন। এমনকি কেউ উনাকে সাহায্য বা দয়া দাক্ষিন্য দিলেও উনি নিতে চান না। উনার মত হলো "খেটে খাবো, ভিক্ষা করবো না"

এই সাহসী, সম্মানিত মানুষটির রিক্সায় আপনি যদি কখনো যাত্রী হন তবে সামর্থ্য থাকলে তাকে প্রোয়োজনের চেয়ে কিছু বেশী টাকা দিয়ে দিবেন প্লীজ, যদিও উনি নিতে চাইবেন না তবুও দিবেন।

আর হ্যা, ছবিতে যে যাত্রীকে দেখছেন, তাকে খারাপ ভাববেন না, এরকম যাত্রী না উঠলে এই বৃদ্ধ মানুষটির আয়ের পথ থাকবে না আর।



 
[ NB:  যারা বৃদ্ধ লোকটিকে সাহায্য করার জন্য ঠিকানা খুঁজছেন, তারা ওনাকে খুঁজে পেতে পারেন বাংলামটর মোরে কিংবা মগবাজার এলাকায়। ওনার নিদৃষ্ট কোনো ঠিকানা এখনো আমাদের জানা নাই, কেউ জেনে থাকলে আমাদের জানিয়ে দিবেন আমরা সবার সাথে শেয়ার করে দেবো ]


সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১২

ছিনতাই !!! মেয়েরা সাবধান !!! নিজে সতর্ক্ব থাকি অন্যকে সতর্ক করি...।।

Important Note For Girls: কারা, কখন, কীভাবে ছিনতাই করে।
রিকশায় যাচ্ছেন, হঠাৎই পাশের মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেট কার বা ট্যাক্সিক্যাব থেকে টান অনুভব করলেন। ব্যাগ ছিনতাই করার টান। ব্যাগ তো গেলই, আপনিও হয়তো পড়ে গেলেন রাজপথে; পেছনে আসছে ধেয়ে দ্রুতবেগে বাসটি। বছর বছর ধরে এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই ধরনের ছিনতাইয়ের শিকার সব সময় নারী...


আমার এক বন্ধুর ঘটনা....

সপ্তাহ খানেক আগের ঘটনা। ঘড়ির কাঁটা রাত ১০টার কাছাকাছি হবে। মাকে চিকিৎসক দেখিয়ে ফিরছিলাম। আমাদের রিকশাটা তখন মিরপুর রোডের সিটি কলেজের সামনে। দ্রুতগতিতে সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কার আসছিল। সেটি দেখে রিকশাওয়ালাকে বললাম সাবধান হতে। রিকশার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রাইভেট কার থেকে কেউ একজন আমার ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিছু বোঝার আগেই রিকশা থেকে পড়ে যাই ব্যস্ত রাস্তার ওপর। এ সময় গাড়ি চলাচল করছে। চারপাশে মানুষও রয়েছে। পড়ে গিয়েই পেছনে ঘুরে দেখি, দ্রুতবেগে একটি বাস আসছে। বাস দেখে আর্তচিৎকার করতে থাকি। সৌভাগ্যক্রমে বাসচালক আমাকে দেখতে পেলেন এবং বাসটি থামাতে সক্ষম হলেন। তখন বাস থেকে আমার দূরত্ব মাত্র এক হাত সমান। অশেষ ধন্যবাদ সেই বাসচালককে। শারীরিকভাবে আহত হলেও মনে হয়েছে বেঁচে তো আছি। তবে পাশ দিয়ে কোনো গাড়ি গেলেই আতঙ্কিত হয়ে উঠি। ভয়ে বুকটা ঢিপঢিপ করে। এভাবে ভয় নিয়ে কত দিন চলবে?
এই অভিজ্ঞতার কথা শুনে অনেকেই বলেছেন তাঁদের কথা। কারও পরিচিত, কারও বন্ধু কিংবা কারও কাছের কেউ। একটি বিষয়ে মিল হলো, এ ছিনতাইয়ের শিকার মূলত নারীরাই হন। বিষয়টা শুধু ছিনতাইয়ে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর থেকে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এ রকম কয়েক জনের অভিজ্ঞতার কথা শোনা যাক।

মাঝে মাঝে কিছু মনে রাখতে পারি নাঃ
মোসফেয়ারা খানম
একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত
গত রমজান মাসের কথা। সকাল সাতটার দিকে আমি বাসার কাজের লোককে দিতে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলাম। রিকশা নিয়েছিলাম বাসার সামনে থেকে। আমাদের রিকশা সায়েন্স ল্যাবরেটরি পার হয়ে এলিফ্যান্ট রোডের দিকে যাচ্ছিল। এরপর আর আমার কিছু মনে নেই। যখন জ্ঞান ফেরে, তখন আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজে। আসল ঘটনা পরে জানতে পেরেছি। একটি মাইক্রোবাস থেকে একজন আমার ব্যাগ টান দেয়। আমি পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। রাস্তার এক ঝাড়ুদার ও রিকশাওয়ালা আমাকে বাসায় পৌঁছে দেন। তারপর হাসপাতাল। শরীরের একটা পাশ গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চোখে রক্ত জমে যায়। মাথায় অনেক আঘাত পাই। প্রায় দুই মাস শয্যাশায়ী ছিলাম। থানায় জিডি করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এখনো চোখে ব্যথা অনুভূত হয়। মাঝে মাঝে কিছু মনে রাখতে পারি না।

অসহায় আমরাঃ আলো কম থাকলে, ফাঁকা বা নির্জন রাস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটে। তবে কয়েক জনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, ব্যস্ত রাজপথে দিনের বেলায়ও এমন ঘটনার শিকার হন নারীরা। ব্যাগ তো চলে যায়ই সঙ্গে বিপন্ন হয়ে পড়ে জীবন। অনেকেই অভিযোগ করেছেন পুলিশের কাছে। কোনো প্রতিকার হয়নি। ধরা পড়েনি অপরাধী। ছাত্রী, কর্মজীবী নারী বা সাধারণ গৃহিণীও বাইরে বের হলে একটি ব্যাগ নেন। তাতে হয়তো মুঠোফোনসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকে। তাহলে একটি ব্যাগই কি জীবনের গতি থামিয়ে দেবে?

একটা দেশের সব জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা সম্ভব নয়। আমাদেরকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাস্তায় কারও বিপদ দেখলে পাশ কাটিয়ে চলে গেলে ছিনতাইকারীদের উৎসাহ দেওয়া হবে। একে অপরকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের কে প্রতিবাদী হতে হবে; তাহলেই সমাজ থেকে সকল অন্যায়-অবিচার দূর হবে।

রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১২

নিখোঁজ ইলিয়াস ।। -জিম্মি সারা দেশ।। কোটি কোটি টাকা লস।। দুর্ভোগে সারা দেশের মানুষ।। ।।


ইলিয়াসের খোঁজ মেলেনি, আজ ও কাল হরতাল। মানুষ হরতাল চায় না। এটা রাজনৈতিক দলগুলোকে বহুবার জানানো হলেও তাদের কর্ণপাত হয়নি। যখন যে দল ক্ষমতায় যায় তখন সে দলই হরতালের বিরুদ্ধে বলে। কিন্তু ওই বিরোধী দল যখন ক্ষমতায় যায় তখন তারাও হরতালের  বিরুদ্ধে বলে। কিন্তু কেউ কথা রাখে না। এসব মন্তব্য খোদ পাঠকদের। পাঠক ইমরান হোসেন জানালেন, গুম একজন আর জিম্মি পুরো দেশ ও দেশের মানুষ। আহা কী সুন্দর দেশ, কী সুন্দর বিচার!
বিএনপি জানায়, বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে ফেরত পায়নি তারা। প্রতিবাদে আজ রোববার ও কাল সোমবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। গতকাল শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ইলিয়াস আলীকে ফেরত দিতে বিএনপির চার দিনের বেঁধে দেয়া সময় গতকাল শেষ হয়। তবে এ সময়ের মধ্যে ইলিয়াস আলীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২৪ এপ্রিল তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির নিখোঁজ হওয়া সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস আলীকে ফেরত দিতে শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। এর আগে ২২, ২৩ ও ২৪ এপ্রিল দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি। ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর বনানী থেকে নিখোঁজ হন। বিএনপির অভিযোগ, সরকারই ইলিয়াসকে গুম করেছে।
হরতাল সম্পর্কে পাঠক মন্তব্য
মো.  নুরুজ্জামান : দেশটাকে হরতালের হাত থেকে বাঁচান।
রুহুল আমিন রুবেল : গুম মানি না, আন্দোলন চলব।
জাহাঙ্গীর হোসেন :  হরতাল দিক আর যাই করুক বিএনপি প্রয়োজনে সরকারি মন্ত্রী-এমপিদের জবাই করে হত্যা করুক তাতে আমাদের কিছুই হবে না। কিন্তু আমরা দেশের সাধারণ জনগণ কোনো দলের হরতালের কারণে যদি একজনও মারা যাই বা কাজের অভাবে পরিবারের ছেলেসন্তানসহ না খেয়ে উপবাস করতে হয়, যাদের কারণে এরকম হবে তাদের গলায় জুতার মালা দিয়ে কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রতিবাদ করা হবে।
ফরহাদ : বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনকে গুম করে হত্যা করে। সেই চট্টগ্রামেই ২১ ট্রাক অস্ত্র আনে, আপনাদের আগামী দিনের নেতার বাড়ি বগুড়ায়, ১০ ট্রাক গুলি ধরা পড়ল, ৬৪ জেলায় একযোগে বোমা ফাটল। ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য শিক্ষককে খুন করা হয়। এখন বলুন কোনো গ্যারান্টি আছে বা দেবেন কী আপনারা ক্ষমতায় গেলে আজকে যে বিষয়গুলো নিয়ে অতি উৎসাহে লাগাতার হরতাল করার জন্য উৎসাহী, আপনারা সেই অপরাধ হতে দেবেন না। বিএনপি আজ পর্যন্ত কোনো সমাবেশে ঘোষণা দেয়নি আমরা আজ যে বিষয়গুলো নিয়ে আন্দোলন করছি ক্ষমতায় গেলে তা হতে দেব না বা করব না।
কামরুল : দাও দাও যত দিন যত মাস ইচ্ছা দাও। সাধারণ জনগণ মরলে তোমাদের কী।
ফরহাদ : বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যিনি বহিষ্কার হয়ে বিএনপির নেতা হয়েছেন এবং তার জন্য বিএনপি দেশকে অস্থিতিশিল করবে তা মোটেই উচিত নয়।
মনু : হরতালই বিএনপির শেষ ভরসা।
মো. কাওসার আলী :  আল্লাহ আমরা আমাদের ইলিয়াস আলীকে চাই যে কোনো কিছুর বিনিময়ে। তাই বিএনপিকে বলছি, বিএনপির সব সিনিয়র নেতাকে মাঠে থাকতে হবে এবং খালেদা জিয়াকে স্বয়ং মাঠে থাকতে হবে। তা না হলে ধিক এ হরতাল।
রিংকু : দেশটাকে হরতালের হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে হবে, আমরা সবাই দলবদ্ধ হব। ১৮ দল দেশকে অস্থিতিশীল করবে তা মোটেই উচিত নয়।
স্বগতা : ব্যক্তির চেয়ে দল ও দেশ অনেক বড়। তাই শুধু ইলিয়াস আলীকে ইস্যু করে হরতাল না দিয়ে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে হরতাল ঘোষণা করা উচিত।
মো. লোকমান হোসেন :  কেউ জনগণের জন্য আন্দোলন করে না, সবাই ক্ষমতার জন্যই আন্দোলন করে। সবই প্রতিহিংসার রাজনীতি করে।
ইফতেখার : আমি ইলিয়াসকে নিয়ে তেমন একটা চিন্তিত নই, কারণ তারা রাজনীতির নামে অনেক অর্থবিত্ত বানিয়েছে। তার অবর্তমানে আপনজন শোক ব্যতিত তার বিধবা স্ত্রী, সন্তান ভালো জীবনযাপন করবেন। তবে তার ড্রাইভার তো ওইরকম অর্থবিত্তের মালিক না, একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটি হারিয়েছে, ওই পরিবারের কথা ভাবলে খুব খারাপ লাগে। ব্যতিত সাগর-রুনি কিংবা সুরঞ্জিতের বীর ড্রাইভার আজমের কথা ভেবে। কারণ এ অখ্যাত মানুষগুলোই প্রকৃত মানুষ। আর যাদের নিয়ে দেশে অযথা হইচই পড়ছে, ওরা তো স্বীয় কর্মের আপন ঘাতক মাত্র।
এএফ কাশেমি : দেশের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে নেতা বড়!!!(?) কী বিচিত্র এ দেশ! বলি একটা করি একটা।
শফিক  পাকুন্দিয়া : বিএনপির হরতাল চাই না, বিকল্প কর্মসূচি দিন।
সাদ্দামুল আনোয়ার খান ইভান : একজন ইলিয়াসের জন্য সারা দেশের মানুষকে কষ্ট দেয়া অমানুষের কাজ।
ইফতেখার : আওয়ামী লীগের নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হলো, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া সিলেটের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছোড়া অসংখ্য গ্রেনেডের হামলায় শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও বর্তমান রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২২ জন নিহত হলেন। তারপর কী হলো? বিএনপি এক ইলিয়াস আলীর জন্য যেভাবে দেশ অচল করে দিল, তার ছিটেফোঁটাও তো আওয়ামী লীগ তখন করতে পারল না। সম্ভবত তারা কেউই ইলিয়াস আলীর মতো তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন না! ইলিয়াস আলী উদ্ধারে সরকারের ব্যর্থতা ক্ষমার অযোগ্য, তবে মানুষ মারার হরতাল সমর্থন করি না।
Bookmark and Share    

শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১২

‘চোখ বন্ধ কর, গহনা পরাবো’-বলেই স্ত্রীর কব্জি কেটে ফেলল স্বামী



তিন বছর আগে জুঁইয়ের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার নুরজাহানপুর গ্রামের বাসিন্দা বাতেন মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিকের সঙ্গে বিয়ে হয়। তখন জুই মাত্র এসএসসি পাশ করেছে। বিয়ের পরপরই রফিক সাফ জানিয়ে দেয় আর লেখাপাড়া করা যাবে না । এর কিছুদিন পরই রফিক চলে যায় আবুধাবি। জুঁইয়ের বাবা ইউসুফ মিয়া একজন তাঁতশ্রমিক। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে জুঁইয়ের ছেলেবেলা থেকেই লেখা পড়ার করার স্বপ্ন। মেয়ের লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহের কথা জানতেন ইউসুফ মিয়া। আর্থিক দৈন্যদশার মধ্যেও মেয়ের পড়াশোনার খরচ যুগিয়েছেন তিনি।

স্বামীর সংসারে এসে লেখাপড়ার নেশায় জুঁই নরসিংদী সরকারি কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হয় মানবিক বিভাগে। বর্তমানে সে শেষ বর্ষের ছাত্রী। অশিক্ষিত রফিক স্ত্রীর কলেজে ভর্তির সংবাদ শুনেই মারাত্মক ক্ষিপ্ত হয়। রফিকের আত্নীয় স্বজনও বিষয়টি ভালচোখে দেখেননি। টেস্ট পরীক্ষার আগে রফিক তার শ্বাশুড়ি পারভীন বেগমকে জানিয়ে দেয় টেস্ট পরীক্ষা অংশ গ্রহণ করলে জুঁইকে পুড়িয়ে হত্যা করা হবে। এতো প্রতিকূলতার মধ্যেও টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নেয় জুঁই। স্বামী যখন তাকে মানা করতো আর পড়াশোনা করা যাবে না তখন জুই স্বামীকে বলতো, তুমি ভয় পেয়ো না। মেয়েদের স্বামী একজনই। আমি এইচএসসি পর্যন্ত পড়বো। তবুও মন গলেনি পাষণ্ড রফিকের।

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জুঁইকে তার ননদ নাইমা জানায়, তোমার স্বামী বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও কসমেটিকস পাঠিয়েছে। তুমি বাসায় এসে নিয়ে যাও। ননদের স্বামী সেনাবাহিনীর কর্পোরাল মো. শফিকুল ইসলামও অনুরূপ সংবাদ জুঁইকে দেয়।

১ ডিসেম্বর জুঁই নরসিংদী থেকে স্বামীর পাঠানো জিনিসপত্র নিতে জিয়া কলোনীর ননদের বাসায় যায়। তিন দিন অতিবাহিত হলেও জুঁইকে কোন জিনিসপত্র দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে সে ননদের কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আর একদিন পরই তোমার জিনিসপত্র দিয়ে দিবো।

৪ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠে দেখি বিছানার সামনে রফিক দাঁড়ানো। জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কখন আসছো। উত্তরে রফিক বলে, এইতো কিছুক্ষণ আগে আবুধাবি থেকে আসলাম। তোমার সঙ্গে একা কথা আছে বলে রফিক তাকে একটি কক্ষে নিয়ে যায়।'

অনেক দিন পর স্বামীকে দেখে আনন্দে ভরে উঠে জুঁইয়ের মন। চরম আবেগে পাশের কক্ষে দুইজনে গিয়ে বসে। এ সময় নাইমা ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামসহ পরিবারের অন্য কক্ষে ছিল। রফিক কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়। রফিক জুঁইকে বলে তুমি তাহলে ঠিকই পরীক্ষা দিয়েছো। চোখ বন্ধ করো, তোমাকে এমন পুরস্কার দিবো, যা তুমি কখনো কল্পনা করতে পারবে না। স্বামীর এমন মধুর কথা শুনে আবেগে জুঁই চোখ বন্ধ করে ফেলে। এ সুযোগে ওড়না দিয়ে জুইয়ের দুই চোখ টাইট করে বেঁধে ফেলে রফিক। স্কচটেপ দিয়ে বন্ধ করে দেয় মুখ। এরপর রফিক জুঁইকে বলে, তুমি ডান হাত লম্বা করো। জুই ডান হাত লম্বা করার সঙ্গে সঙ্গে ধারাল চাপাতি দিয়ে কোপ দেয় রফিক। এক কোপেই জুঁইয়ের কব্জি হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মুখে স্কচটেপ থাকায় জুঁই চিত্কার করতে পারেনি। মেঝে ভেসে যায় রক্তে। রক্তাক্ত জুঁইকে ঐ কক্ষের বারান্দায় ফেলে রাখে রফিক। কিছুক্ষণ পর ননদ ও তার স্বামী এসে রক্ত পরিস্কার করে। জুঁইকে পরে উত্তরার একটি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় তারা। সেখানে ডাক্তার ডান হাতে কবজি কিভাবে কেটেছে জুঁইয়ের কাছে জানতে চাইলে সে পুরো ঘটনা প্রকাশ করে। এ সময় ননদ ও তার স্বামী দ্রুত হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। জুইকে ডাক্তার দ্রুত পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ রকম আর কত ঘটনা ঘটবে এ বাংলায় ?????? এ রাকি কখন মানুষ হবে না ??? এরা কি আজীবনই পশু হয়ে অত্ত্যাচার করবে ?????


আর হতে দেওয়া যায় না এ মন...। সবাই গর্জে ওঠি...। নারী নিরযাতন কে না বলি...। সবাই এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাই...। এবং রফিকের উচিৎ বিচার চাই...............।।

শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১২

।। The Ghost Nebula ।।


পৃথিবী থেকে ২২০০ আলোকবর্ষ দূরে গোলাকার ও গ্রহ সদৃশ এই planetary nebula-টি সর্পধারী তারকামণ্ডলে (Constellation of Ophiuchus) অবস্থিত। এই নেবুলাটির অন্যনাম NGC 6369। ১৮৩৪ সালে বৃটিশ জ্যোতির্বিদ Sir John Frederick William Herschel প্রথম Milky Way গ্যালাক্সিতে এই নেবুলাটির সন্ধান পান। এই নেবুলাটির কেন্দ্রের কাছাকাছি রয়েছে একটি নতুন সাদা বামন (white dwarf) নক্ষত্র।যেটি থেকে নির্গত হচ্ছে শক্তিশালী অতিবেগুনী রশ্মি! এই নেবুলার প্রধান চাকতিটির ব্যাস প্রায় এক আলোকবর্ষ। যেটি ক্রমাগত বিকিরণ করছে আয়োনাইজড oxygen, hydrogen এবং nitrogen গ্যাস। এই Ghost Nebula-কে ডাকা হয় One of the Largest Spheres of the Milky Way নামে

বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১২

ক্রিকেটারদের বেতন বন্ধের হুমকি দিচ্ছেন কামাল !


পাকিস্তানে ক্রিকেটারদের পাঠানোর জন্য সবরকম প্রচেষ্টাই চালাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল। যদিও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেন সিরিজ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যাপারে জোর করবে না ক্রিকেট বোর্ড।
“প্রত্যেক ক্রিকেটারেরেই নিজের সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার রয়েছে। তারা পাকিস্তানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। এক্ষেত্রে তাদের আমরা জোর করে পাকিস্তানে পাঠাবো না”।

কিন্তু জাতীয় দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যাপারে প্রচেষ্টার কমতি নেই বিসিবি প্রেসিডেন্ট কামালের। কোনো ক্রিকেটার পাকিস্তানে না গেলে তাকে বোর্ডের সাথে করা কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন কামাল। সম্প্রতি বোর্ডের সাথে এক বছর মেয়াদী চুক্তি হয়েছে ক্রিকেটারদের। কোন ক্রিকেটার পাকিস্তানে না গেলে তার বেতন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন কামাল !

নিরাপত্তা ইস্যুতে যখন কেউই পাকিস্তানে খেলতে যেতে চাইছে না তখন সবাইকে অবাক করে দিয়ে বোর্ডের কারো সাথে আলোচনা না করেই পাকিস্তান সফরের তারিখ চূড়ান্ত করে এসেছেন বিসিবি প্রধান কামাল। ব্যাক্তিগত স্বার্থের খাতিরেই কামাল এমনটি করেছেন তা সকলেরই জানা। কামালের এমন সিদ্ধান্তে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে খুশির বন্যা বয়ে গেলেও বিসিবির কর্মকর্তারা বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।


লোটাস কামাল এখন যেসব ক্রিকেটার পাকিস্তান যাবে না তাদের বেতন বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। লোকটা আইসিসির সভাপতির পদের জন্য দেশের ক্রিকেটারদের আগুনের সামনে ঠেলে দিতেও পিছপা হচ্ছেন না, তার দরকার আইসিসির সভাপতির ঐ চেয়ার। সবার নিজ নিজ মতামত আছে, আপনি জোর করে কাউকে পাঠাতে পারেন না।এই কামাল সেই কামাল যে সাকিবকে পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করেছিল,যে তামিমকে নিজ হাতে বাদ দিয়েছিল,মুসফিককে সবার সামনে শাসিয়েছেন। এইসব টাকালোভী শয়তানকে অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি, তাহলে দেশের ক্রিকেটের আরও ভালো হবে। যারা একমত প্লিজ লাইক দিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করুন।।

মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১২

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঘড়ী Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA

পবিত্র মক্কা নগরীতে বসানো হয়েছে অভূতপূর্ব এক ঘড়ি। এটি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘড়ি। এমনকি লন্ডনের বিগবেনের চেয়েও ৫ গুণ বড়। সারা বিশ্বের মুসলমানদের নতুন একটি সময় উপহার দেয়ার জন্য মক্কার সর্বোচ্চ ভবন আবরাজ আল-বাইত কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয়েছে এটি।

আর তা দেখা যাবে ৩০ কিলোমিটার দূর থেকেও। সৌদি আরব আশা করছে, চতুর্মুখী এ নতুন ঘড়ি মক্কাকে গ্রিনিচ মান সময়ের বিকল্প সময় প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।

এসপিএ জানিয়েছে, সৌদি আরবের সর্বোচ্চ এ ভবনটির উচ্চতা হবে ৬০১ মিটার (১৯৮৩ ফিট), এর ফলে তাইওয়ানের ৫০৯ মিটার উচু তাইপে ১০১কে ছাড়িয়ে এ ভবনটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।

তবে এটি থেকে দুবাইয়ে নির্মিত বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ খলিফা (৮২৮ মিটার)’র উচ্চতা অনেক বেশি। ২৫০ জন উচ্চ প্রশিক্ষিত মুসলিম কর্মী ঘড়িটির ফ্রেমের কাজ করেছেন।

লন্ডনের বিখ্যাত বিগবেন ঘড়ির ব্যাসের চেয়ে এ ঘড়িটির ব্যাস ছয়গুণ বড়। এর সামনে আরবি হরফে লেখা থাকবে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’, এর নিচে স্থাপন করা হচ্ছে ২০ লাখ উজ্জ্বল আলোর বাতি।
 

 Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA
Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA
Saudi Arabia will test what it is billing as the world’s largest clock in the holy city of Mecca during the Muslim fasting month of Ramadan, the official news agency reported Tuesday.
World's Largest Clock - Abraj al-Bait  Clocks
The four-faced clock tower will top a massive skyscraper that when completed will be around 1,970 feet (600 meters) tall, the second tallest in the world after Dubai’s Burj Khalifa.
Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA
The clock will dwarf London’s Big Ben, once the largest four-faced clock in the world, with dials more than five times greater in area.
The around 130 foot (40 meter) diameter Saudi clock dials are also bigger than the current world champion at the Cevahir Mall clock in Istanbul, which has a 36 meter face set in the transparent roof of the shopping complex.
Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA
Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA
Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA
Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA
Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...