Translate

শুক্রবার, ২৯ জুন, ২০১২

শিশুরাও আক্রান্ত, মাসে ৩ কোটি টাকার পর্নো ডাউনলোড

ঢাকা: দনিয়ার এ.কে স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রিয়াজ উদ্দিন (১৩)। ক’দিন আগে স্কুল থেকে বাসায় ফিরে কিছু একটা লুকাতে চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। ধরা পড়ে যায় মায়ের হাতে।

লুকানো জিনিসটি আর কিছু না, ছোট একটা মেমোরী কার্ড এবং একটা কার্ড রিডার। কিন্তু এর ভেতরে রয়েছে ভয়ংকর রুচি বিবর্জিত বেশ কিছু ভিডিও দৃশ্য এবং স্থির চিত্র। এক রিয়াজ উদ্দিনই নয়, এ রকম আরো অনেক শিশু, কিশোর, যুবক আক্রান্ত হচ্ছে পর্নোগ্রাফির ভয়ংকর থাবায়।

তারা বিভিন্ন সাইবার ক্যাফেতে অশালীন ভিডিও দেখে। অনেকে মেমোরি কার্ডে তা ডাউনলোড করে নিয়ে নেয়। পরে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে মোবাইল ফোনে দেখে। এক্ষেত্রে তারা কার্ড রিডার ব্যবহার করে।

অনেকে আবার ইন্টারনেট সুবিধা সম্বলিত মোবাইল সেট ব্যবহার করে সরাসরি পর্নো সাইটগুলোতে প্রবেশ করছে। সেখান থেকে ডাউনলোড করে তা বন্ধুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে। ঘরের কম্পিউটারে বসে লুকিয়ে লুকিয়ে এসব দেখছে ও ডাউনলোড করে নেয় অনেকে।

এ বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে রিয়াজউদ্দিনের বাবা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা যত দিনে জানতে পেরেছি তত দিনে সে খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে বেশ মিশতে শুরু করেছে। এ টুকুন ছেলে কিছু বুঝতে শেখার আগেই এভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে ভাবলে গা শিউরে উঠে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. আমানুল্লাহ ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, ‘কিছু দিন আগে এ বিষয়ে একটি গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে শুধু ঢাকাতেই শহরের বিভিন্ন সাইবার ক্যাফে থেকে প্রতি মাসে ৩ কোটি টাকার পর্নোগ্র্যাফি ডাউনলোড করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শিশু, কিশোর ও তরুণ-তরুণীরা। যাদের বড় একটা অংশ স্কুলগামী শিক্ষার্থী।’

তিনি বলেন, ‘ফার্মগেট, গুলিস্তান, নীলক্ষেত, ধানমন্ডির সাতমসজিদ, যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ, শ্যামলী, গুলশানসহ বেশ কয়েকটি জোনে এ ডাউনলোড সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। আক্রান্তদের অধিকাংশ মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান।

ধনী পরিবারের ছেলেরা বেশির ভাগ নিজেদের ঘরে বসে কম্পিউটারে কিংবা মোবাইলে এসব করছে। অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, একদিকে শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন, অন্যদিকে পিছনে বসে মোবাইলে এসব দেখছে ছাত্ররা।’ 

রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর, ফার্মগেট, যাত্রাবাড়ীর কয়েকটি সাইবার ক্যাফেতে ব্যবহৃত কম্পিউটারের ব্রাউজিং লিস্ট (বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশের তালিকা) থেকে দেখা যায়, সাইবার ক্যাফেতে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাদের ৯৫-৯৭ শতাংশের বেশি পর্নো সাইটগুলো ব্রাউজ করেন।

সাইবার ক্যাফেতে বসে পর্নোসাইটে প্রবেশের প্রবণতা বেশি হওয়ার কারণ এখানকার কম্পিউটারগুলো ছোট ছোট খুপরির মধ্যে বসানো। কম্পিউটার বুথে দরজা লাগিয়ে কিংবা দেওয়ালের দিকে মুখ ঘুরিয়ে বিশেষ কৌশলে এ খুপরিগুলো তৈরি করা হয়। বিকৃত মানসিকতা এবং অতিমুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে এ ধরণের খুপরি তৈরি করে রেখেছে ক্যাফে মালিকরা।

ব্যাঙের ছাতার মত শহরের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে এসব সাইবার ক্যাফে। সাইবার ক্যাফে ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সূত্রে জানা যায়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে আনুমানিক ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ সাইবার ক্যাফে রয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের হিসেবের বাইরেও বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানসহ অসংখ্য সাইবার ক্যাফে গড়ে উঠেছে।

সাইবার ক্যাফের ডিজাইন সর্ম্পকে সাইবার ক্যাফে ওর্নাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক এ. এম কামাল উদ্দিন সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাইবার ক্যাফে নির্মাণের ক্ষেত্রে কম্পিউটার বুথের দেওয়ালে উচ্চতা ৪ ফিটের বেশি হতে পারবে না। এটি খোলা দরজার এবং খোলা মেলা হতে হবে।’

ছোট ছোট স্কুল শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার নারী-পুরুষরা আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভয়ংকর ব্যাধিতে। জড়িয়ে পড়ছেন নানা ধরণের অপরাধে।

অধ্যাপক আমানুল্লাহ বলেন, ‘পর্নোগ্রাফিতে আক্রান্তদের সাইকোলজি কোমায় (মানসিকতার চুড়ান্ত বিকৃতি) চলে যায়। এই পর্নোগ্রাফিতে মানসিক অসুস্থতা শুরু হয়ে এটি ব্যক্তিত্বের মধ্যে অসুস্থতা সৃষ্টি করে। ফলে আক্রান্তরা স্বাভাবিক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে মিশতে পারে না, তাড়াতাড়ি লেখাপড়া ছেড়ে দেয়, কমবয়সে বিয়ে করে ফেলে।’

তিনি বলেন, ‘গত কয়েক মাসে যেসব খুনের ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে অল্প বয়সীরা জড়িত। তাদের এ অপরাধ প্রবণতার পেছনের কারণ খুঁজলে দেখা যায়, তারা কোন না কোনভাবে পর্নোগ্রাফিতে আক্রান্ত। দেখা যায়, বিকৃত মানসিকতার কারণে এরা খুন, ধর্ষণ, লাশ টুকরা করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের বিকৃত অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।

এরা ভবিষ্যতে পরিবার গড়ে তোলার বিষয়ে যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে কিংবা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। বিবাহ বহির্ভূত সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে। আইসিডিডিআরবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় দেখা যায়, শহরগুলোতে ৫০ শতাংশ ছেলে মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই বিবাহ বর্হিভূত কাজে জড়িয়ে পড়ে।

শুধু ইন্টারনেট কিংবা মোবাইল দুনিয়াতেই নয়- রাস্তাঘাট, হাটবাজার থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই চলছে পর্নোগ্র্যাফির রমরমা বাণিজ্য।

রাজধানীর ফার্মগেট ফুটওভার ব্রিজ থেকে নামতেই ছোট ছোট টুল টেবিলে করে পর্নো সিডি-ভিসিডি বিক্রি করা হচ্ছে। এসব বিক্রেতাদের মধ্যে বেশিরভাগ আবার শিশু বিক্রেতা।

ঔষধ বিক্রিতে পর্যন্ত অশালীন ছবি প্রদর্শনী ও অশালীন কথোপকথন এর ব্যবহার করে আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে। রাজধানীর ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের সামনে, বিআরটিসি কাউন্টারের পাশে, গুলিস্তান আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেটের পাশে ঔষধ বিক্রিতে এ বিকৃত চর্চার ঘটনা প্রায় নিয়মিত।

এ ধরনের ঘটনা রাজধানীসহ সারা দেশের অসংখ্য জায়গায় নানান কৌশলে ঘটে চলেছে।

এদিকে বন্ধ হচ্ছে না সাইবার ক্রাইম। সাইবার অপরাধী ও পর্নোসন্ত্রাসীরা কৌশলে কিংবা ফাঁদে ফেলে ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে এবং মোবাইলে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সিডি ভিসিডি বানিয়ে বিক্রি করছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গোপন ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে এটি করা হচ্ছে। এ নিয়ে কিছু দিন বেশ শোরগোল শোনা গেলেও এ অপরাধ বন্ধ হয় নি।

অথচ পর্নোগ্র্যাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ পাশ হওয়ার পর এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।

এ আইনে বলা আছে, যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোন অশ্লীল বই, সাময়িকী, ভাস্কর্য, কল্পমূর্তি, মূর্তি, কাটুর্ন বা লিফলেট, অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য যাহা চলচ্চিত্র, ভিডিও চিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থির চিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোন উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যাহার কোন শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই তার সবই পনোর্গ্র্যাফি। এসব পর্নোগ্রাফি উৎপাদন, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ, বহন, সরবরাহ, ক্রয়, বিক্রয়, ধারণ বা প্রদর্শন করা যাবে না।

যারা এই আইন মানবে না তাদের ২ বছর থেকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড ভোগ করতে হবে।

কিন্তু এ আইনের প্রয়োগ না হওয়ায় দেদারছে আইন লঙ্গন করে চলছে এক শ্রেণীর মুনাফা লোভী। চোখের সামনে পর্নো আইনের এ রকম লঙ্গন হয়ে চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অজানা কারণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ক্রীয় থাকছে।

রাস্তার উপর গণউপদ্রব সৃষ্টিকারী প্রকাশ্য পর্নো সন্ত্রাসসহ সবধরণের পর্নোগ্র্যাফি কিংবা বিকৃত রুচির উপাদানে ভরা ওয়েবসাইটগুলোর ডোমেইন বন্ধ করা শুধু একটা স্বিদ্ধান্ত আর আন্তরিকতার ব্যাপার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা, ভুক্তভোগীদের দাবিও তাই।

আমানুল্লাহ বলেন, ‘পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর মাধ্যমে এ সন্ত্রাস বন্ধ করা সম্ভব নয়। আইনে প্রয়োগের সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্র থাকতে হবে। নইলে এখনকার মত আটকে দুই একদিনের মাথায় বেরিয়ে চলে আসবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি পরিবার ও সামাজিকভাবে সবাইকে সচেতন হতে হবে। পাঠ্যবইয়ে এসর্ম্পকে সচেতন করার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

কোকাকোলা-পেপসিতে অ্যালকোহল! হারাম থেকে বিরত থাকুন।

কোকাকোলা-পেপসিতে অ্যালকোহল!

ঢাকা: বিশ্বেজুড়ে তুমুল জনপ্রিয় কোমলপানীয় কোকাকোলা ও পেপসিতে অ্যালকোহল থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্যারিসভিত্তিক ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কনজাম্পশন তাদের সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছে।

গত বুধবার ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল ওই গবেষণা প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বিশ্বে সর্বাধিক বিক্রিত কোমল পানীয় কোকাকোলা এবং পেপসিসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অর্ধেকেরও বেশি কোলায় অ্যালকোহল রয়েছে। তবে পরিমাণটা সামান্য।

ফ্রান্সের ‘৬০ মিলিয়ন কনজিউমার’ সাময়িকীতে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি লিটার পানীয়তে অ্যালকোহলের পরিমাণ ১০ মিলিগ্রাম। শতকরা হিসাবে যা ০.০০১ শতাংশ।

উল্লেখ্য, কোমলপানীয়ের সস্তা সংস্করণের বাজারে শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি কোকাকোলা এবং পেপসি তাদের পানীয়কে অ্যালকোহল মুক্ত বলে দাবি করে থাকে। কিন্তু নতুন এই গবেষণা প্রতিবেদনের কারণে কোক-পেপসিতে অ্যালকোহল না থাকার দাবি এখন বড় এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লো।

গবেষণায় এসব কোমল পানীয়তে অ্যালকোহলের মাত্রা খুবই সামান্য বলে প্রতীয়মান হলেও লাখ লাখ মুসলমান ভোক্তা যারা প্রতিদিন কোকাকোলা বা পেপসির মতো কোমলপানীয় পান করে। এদুটি পানীয়তে অ্যালকোহলের উপস্থিতি এবার তাদের ভাবিয়ে তুলবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মানুভূতির কারণে কো-পেপসির বাজারটি এখন হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইসলাম ধর্মে অ্যালোকহল পান নিষিদ্ধ বা হারাম । কেউ না জেনে খেলে তওবা করুন ও বর্জন করুন এসব।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=78bd5307b3895a477d6d3e7fd157fd39&nttl=28062012122715

খবরটি সবাই শেয়ার করুন

বৃহস্পতিবার, ২৮ জুন, ২০১২

লালপুর মাদক ব্যবসায়ীদের প্রধান রুট: পুলিশ হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা

আকতার হোসেন অপূর্ব, নাটোর প্রতিনিধি

 নাটোরের লালপুরে বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় ও পুলিশের সহযোগিতায় মাদক ব্যবসা জমজমাট ভাবে চলছে। মাদক ব্যাবসার প্রধান রুট হিসেবে পরিচিত এই লালপুর। সীমান- এলাকা পার্শ্ববর্তী হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিল, গাঁজা ও হিরোইন লালপুরসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলা, জেলা ও রাজধানী ঢাকা শহরে ছড়িয়ে পড়ছে। মাদক নেশায় জড়িয়ে পড়ছে কিশোর কিশোরী, যুবক সহ বিভিন্ন পেশার চাকুরীজীবীরা।
উপজেলার পশ্চিমে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলা,দক্ষিণে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামাড়া ও দৌলতপুর উপজেলা, পূর্বে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা অবসি’ত। পশ্চিম দক্ষিণ কোনে ভারতের জলঙ্গী বর্ডার অবসি’ত হওয়ায় প্রতিদিন নদী পথে ও সড়ক পথে হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিল, গাঁজা, হিরোইন আসে এই রুটে। মাদক ব্যাবসার প্রধান রুট হিসেবে সারা দেশে লালপুর উপজেলা পরিচিত। লালপুর থেকে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, পাইভেট কার সহ বিভিন্ন যান-বাহনে দেশের বিভিন্ন উপজেলা, জেলা সহ রাজধানী ঢাকা শহরে ছড়িয়ে পড়ছে। লালপুর উপজেলার তিলকপুর, কাজীপাড়া, লক্ষীপুর, নুরুল্লাপুর, নবীনগর, দক্ষীণ লালপুর, উত্তর লালপুর, ডেবরপাড়া, দুড়দুড়ীয়া, বিলমাড়ীয়া, মাধবপুর, গৌরীপুর, পালিদেহা, পুরাতন ঈশ্বরদী সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে পুলিশের সহযোগিতায় ফেন্সিডিল গাঁজা হিরোইনের ব্যাবসা জমজমাট ভাবে চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত ২০১০সালের ৮ নভেম্বর তিলকপুর আনসার ও ভিডিপি ক্লাবের উদ্দ্যোগে গৌরীপুর স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ছিদ্দিকুর রহমান ও রাজশাহী র‌্যাব- ৫ এর উপ- অধিনায়ক মেজর আনোয়ার সহ পাবনার  পুলিশ সুপার ( পিপিএম ) জাহাঙ্গীর আলম মাতুব্বর , নাটোর সহকারী পুলিশ সুপার নাসিরুল ইসলাম স’ানীয় পুলিশ প্রসাশন  উপসি’তে   মাদক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় । মাদক বিরোধী সমাবেশের পর তৎকালীন লালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলামকে মাদক ব্যাবসায়ীদের সহোযগিতা করার কারনে শাসি- হিসেবে রাজশাহী পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয় । লালপুর কে মাদক মুক্ত করার লক্ষ্যে বর্তমান লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মতিয়ার রহমান কে  নিয়োজিত করেন।
তিনি প্রথম দিকে লালপুর থানা মাদকের বিরুদ্ধে সাড়াসী অভিযান ও লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহমানকে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদলতে মাদক ব্যাবসায়ীদের ৩-৬ মাসের জেল ও আর্থিক জরিমানা করলে মাদক ব্যবসায়ীরা সাময়িক ব্যবসা বন্ধ রাখে। বর্তমান লালপুর থানায় নামে মাত্র মাদক বিরোধী  অভিযান চালিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের গ্রেফতার করা হলেও প্রকৃত মাদক সম্রাটরা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। মাদক সম্রাট তিলকপুর গ্রামের মমিন মন্ডলের পুত্র আহাদুল, মৃতঃ মুজি সরদারের পুত্র রফিকুল ওরফে রফিজুল,মৃত আঃ সাত্তারের ২নং- ছেলে আকতার হোসেন, কাজীপাড়া গ্রামের মৃত
সিরাজুল ইসলামের পুত্র আসাদুজ্জামান শিল্পী, লক্ষীপুর গ্রামের আজগর আলী ভাঙ্গনের পুত্র জিয়াউর রহমান জিয়া, নবীনগর গ্রামের রবিউল ইসলাম ওরফে ফেন্সি রবি , দক্ষীণ লালপুর গ্রামের খোরশেদ এর পুত্র আজিম,বাকনা গ্রামের জানু শেখের পুত্র ঈদ্রিস আলী , পুরাতন ঈশ্বরদীর (ভাদুর বটতলা) মৃত হাজের আলী পুত্র হাবিবর রহমান, মৃত হারু প্রাঃ পুত্র রাজা সহ অনেকে নামে মাদক মামলা সহ বিভিন্ন প্রকার মামলা থাকা সর্ত্তেও পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাদক ব্যাবসায়ীদের নিকট থেকে লালপুর থানা পুলিশ মোটা অংকের মাশুয়ারা হাতিয়ে তাদরকে মাদক ব্যাবসায় উৎসাহ দিচ্ছেন। পুলিেেশর সঙ্গে মাদক ব্যাবসায়ীদের সখ্যতার কারণে সাধারণ মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারাচ্ছে।
এলাকাবাসীর মতে থানা পুলিশের অবহেলায় মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে ফেন্সিডিল, গাঁজা ও হিরোইন ব্যবসা করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে। মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে কিশোর, কিশোরী, যুবক সহ বিভিন্ন পেশার চাকুরী জীবিরা। মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। অপর দিকে এলকাবাসীরা বলেন, প্রতিদিন শত শত মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার যোগে মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের রোষানলে পড়ে স্কুল ও মাধ্যমিক স্কুল এবং কলেজে পড়-য়া ছাত্রীরা। সচেতন মহলের দাবী, পুলিশ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা দোষী পুলিশ সদস্য ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গোপনে ও প্রকাশে তদন-  করে শাসি-র ব্যবস’া এবং মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস’া গ্রহনের দাবী জানান। এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদক ব্যবসায়ী বলেন, ভাই আপনারা পত্রিকায় আমাদের বিরুদ্ধে লিখলে আমাদেরই লাভ। কারণ পুলিশ আমাদের প্রতি চাপ সৃষ্টি করলে ছোট খাটো মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ব্যবসা বন্ধ করে দেয়। ফলে আমরা মাদক সেবনকারীদের কাছে চড়া দামে বিক্রয় করতে পারি।
এ ব্যপারে লালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিয়ার রহমান  বলেন, মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যপারে নাটোর পুলিশ সুপার কাইয়ুমজ্জামান বলেন,মাদক ব্যবসা সর্ম্পকে আমি জানি।সঠিক তথ্য পেলে প্রয়োজনে আমি নিজে অভিযানে যাব।
বাংলাদেশ পুলিশ রাজশাহী রেঞ্জ এর ডিআইজি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, লালপুরে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব। কোন পুলিশ সদস্য যদি মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করে থাকে তবে তদন- সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুই-তৃতীয়াংশ অপরাধের সঙ্গে মাদকই দায়ী



ক্যাপশন যুক্ত করুন



ক্যাপশন যুক্ত করুন
 সামাজিক শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তার জন্য মাদক হুমকিস্বরূপ। পরিসংখ্যান নিলে দেখা যাবে, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ অপরাধের সঙ্গে মাদকের রয়েছে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ যোগসূত্র।
মাদকবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মোহাম্মদ আলী সভায় সভাপতিত্ব করেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনকে অধিকতর সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জনবল বৃদ্ধি, নতুন অফিস স্থাপন, যানবাহন ও সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমদ।
সভায় মাদকবিরোধী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এর আগে প্রেসক্লাব এলাকায় একটি মাদকবিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।


বুধবার, ২৭ জুন, ২০১২

মুক্তিযোদ্ধারা কি এই দিনটির জন্য যুদ্ধ করেছিল??? হায়রে দেশ,

ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।। :(
আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও হরতাল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নেতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলে। বৈদেশিক বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়।

একটু ভেবে দেখবেন কি? মানুষকে সচেতন করুন!
আপনি না করলে কে করবে?

ধন্যবাদ।



 খাবার অপচয় করার আগে ভাবুন আপনি কি করছেন?? 
নিজে সতর্ক হওন , অন্য কে সতর্ক করুন।


একটু ভাবুন ত !!!!!
দেশের রাক্ষক যদি বক্ষক হয় , তাহলে দেশ কোথায় যাবে???
এরা কি মানুষ ???????


আমাদের সবার মানবতা এখন কোথায় ? আমরা সবাই কি একটু চেষ্টা করলে পারি না আমাদের দেশ থেকে এই অমানবতা প্রতিরধ করতে ? আমি যখনই এ ধরনের মানুষ দেখি চোখে পানি এসে যায় , যতটা পারি এদের সাহায্য করার চেষ্টা করি , হতে পারে এটাই আমার সারাদিনের সব থেকে ভাল কাজ , আপনি কি আপনার মানবতা বজায় রাখছেন ? আপনার বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন উত্তর পেয়ে যাবেন সাথে সাথে.........
 সামান্য নিজ স্বার্থের জন্য যারা মানুষ খুন করতে পারে , তারা কিভাবে মানব সেবা করবে ????
জাতির কাছে প্রশ্ন রইল..................... 



বুধবার, ২০ জুন, ২০১২

প্রতারণার আরও অভিযোগ ডাচ-বাংলা গ্রাহকদের। অনিয়ম বেরে চলেছে ।

 বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম থেকে নেওয়া।।
সাইদ আরমান, সিনিয়র ইকোনমিক করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গ্রাহকদের অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে। গ্রাহকরা ই-মেইল ও ফোনে ব্যাংকটির বিরুদ্ধে নতুন নতুন অভিযোগ জানাচ্ছেন।

রোববার বাংলানিউজে ‘গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা তুলে নিচ্ছে ডাচ-বাংলা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর এ নিয়ে ব্যাংকপাড়া এবং এর গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। রোববার এবং সোমবার অনেক গ্রাহক আমাদের ফোন করে এবং ই-মেইলে তাদের ভোগান্তির কথা জানান। এ নিয়ে সোমবার বাংলানিউজে প্রকাশিত হয় ‘গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন ডাচ-বাংলার বিরুদ্ধে’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনের পরও গ্রাহকদের অভিযোগ অব্যাহত থাকে।

ব্যাংকটির গ্রাহকদের অভিযোগগুলো তুলে ধরা হলো বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য।

 গ্রাহকরা জানান, তাদের হিসাব থেকে অঘোষিত চার্জ কেটে নেওয়া হচ্ছে। যেসব চার্জ ধার্য করার কথা হিসাব খোলার সময় গ্রাহকদের বলা হয়নি, এখন সেরকম চার্জ ধার্য করে হিসাব থেকে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোনো নোটিশ ছাড়াই গ্রাহকের হিসাব থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে নিচ্ছে ব্যাংকটি। টাকা আয়ের এই অভিনব কৌশলে হতাশ ডাচ-বাংলার গ্রাহকরা।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এটিএম নেটওয়ার্ক ফিও আদায় শুরু করেছে ব্যাংকটি। প্রত্যেক গ্রাহকের হিসাব থেকে ২৩০ টাকা করে কেটে নেওয়া হয়েছে ফি হিসেবে। বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা বিবেচনা করে হিসাব করলে দেখা যায়, এতে প্রায় ৫০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। অথচ হিসাব খোলার সময় এমন ফি নেওয়ার কথা গ্রাহকদের ঘুনাক্ষরেও বলেনি কর্তৃপক্ষ।
হুমায়ুন কবির জুয়েল নামের একজন গ্রাহক জানান, যেখানে অন্য সকল ব্যাংক এটিএম ও নেটওয়ার্কিং খাতে কোনো চার্জ নেয় না সেখানে ডাচ-বাংলা নিচ্ছে ২৩০ টাকা করে চার্জ। তিনি আরও বলেন, এটিএম কার্ডের চার্জ যেখানে সকল ব্যাংকে ২০০-৩৪৫ টাকার মধ্যে সেখানে ডাচ-বাংলার চার্জ ৪৬০ টাকা।

ডাচ-বাংলার অনিয়ম শুধু এখানেই থেমে নেই। এর গ্রাহকরা জানান, এটিএম বুথে লেনদেন করতে গেলে যদি বাড়তি তথ্য চাওয়া হয়, তার জন্য গ্রাহককে তিন টাকা দিতে হয়। অন্য কোনো ব্যাংকের ক্ষেত্রে এমন নিয়ম নেই। এমনকি ডাচ-বাংলা ব্যাংক শুরুর দিকে এই চার্জ নিতো না।

তথ্য মতে, প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক গ্রাহক ডাচ-বাংলার বুথে লেনদেন করছেন। তারা সবাই অবশ্য ব্যালেন্স তথ্য নিচ্ছেন না। কিন্তু তারা সবাই যদি তিন টাকা করে ব্যালেন্স তথ্য নেন, তবে ব্যাংকের প্রতিদিন আয় হবে তিন লাখ টাকা। মাসিক হিসেবে প্রায় কোটি টাকা। আর বছরে গড়াচ্ছে প্রায় ১২ কোটি টাকা। আর এর অর্ধেক গ্রাহকও যদি নেন তবেও আয় ৬ কোটি টাকা।  গ্রাহকদের দাবি, এই আয় নিয়ম বহিভূর্ত।

এদিকে, ডাচ-বাংলা কার্ড নবায়ন ফি হিসেবে গ্রাহকদের কাছ থেকে বছরে ৪৬০ টাকা করে নিচ্ছে। এটিও অন্য ব্যাংকগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। অধিকাংশ ব্যাংকের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ তিনশ টাকা থেকে সাড়ে তিনশ টাকার মধ্যে।

জানা গেছে, বর্তমানে এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২৩ লাখ ৫০ হাজার। আর শাখার সংখ্যা প্রায় ১২১। আর এটিএম বুথের সংখ্যা ২ হাজার ৭৯টি।
হাবিবুর রহমান নামে একজন গ্রাহক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ``অনেক ধৈর্য্ ধরেছি। এটিএম বুথ, নেটওয়ার্ক সার্ভিস, ছেঁড়া টাকা এসব নিয়ে সার্ভিস চার্জ মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু আর নয়।``
রিপন কবির নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ``আমরা কীভাবে ২ হাজার টাকা ডিপোজিট রাখবো, ডিবিবিএল কি তা বোঝে না? যদি এমনটাই করা হবে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে হিসাব খোলার জন্য ক্যাম্পেইন কেন করা হলো?``
আমজাদ হোসেন শাহেদ নামে একজন স্যালারি অ্যাকাউন্ট হোল্ডার তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেন, ``এখন কি করবো আমি বুঝতে পারছি না।``
মাসুদুল হক মাসুদ নামের একজন গ্রাহক বলেন, “আমার অ্যাকাউন্টে ১৫০০ টাকা আছে। আমার প্রয়োজন ১০০০ টাকা তুলে নেওয়া। অথচ আমি তা তুলতে পারবো না। এটা কী মেনে নেওয়া যায়!”
সুমন প্রামাণিক লিখেছেন- মাত্র ১০০ টাকায় হিসাব খুলিয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংক এখন ২,০০০ টাকা রাখা বাধ্যতামূলক করে কোটি কোটি টাকা আয় করতে চাইছে যা বড় ধরনের অন্যায়। আপনি যদি ২,০০০ টাকা না রাখেন তাহলে ৬ মাসের মধ্যে আপনার হিসাব বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার টাকা ব্যাংক নিয়ে নেবে। এখাতেও তারা কোটি কোটি টাকা আয় করবে।
যখন ওরা নতুন ব্রাঞ্চ খোলে তখন যাকে পায় তাকেই মাত্র ১০০ টাকা জমা`র মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলায়। এখন সবার কাছ থেকে ২০০০ টাকা বাধ্যতামূলক আদায় করছে। স্বল্প আয়ের মানুষ, ছাত্র, গৃহিনী, ক্ষুদে চাকুরীজীবীদের পক্ষে কোনক্রমেই এতো টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে রাখা সম্ভব নয়।

আসুন আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আমরা যারা ক্ষুদ্র সঞ্চয়ী তাদের বাঁচান। ২,০০০ টাকা অ্যাকাউন্টে ফেলে রাখা আমাদের পক্ষে সম্ভব না।
মোহসিন মাহমুদ লিখেছেন, “অ্যাকাউন্ট করলাম ৫ বছর হয়ে গেছে, চেক বই এখনো পেলাম না। চেক বইয়ের জন্য গেলে, একবার এইখানে, একবার ওইখানে ঘুরতে হয়, আজব ! আবার চেক বইয়ের জন্য টাকাও কাটে ! আমরা যারা ছাত্র, আমাদের অ্যাকাউন্টে আর কতো টাকা থাকে ! তার মধ্যে যদি ২ হাজার টাকা রেখে দেয়, তাহলে আর অ্যাকাউন্ট রাখার কি দরকার! তাই ১ তারিখের আগেই অ্যাকাউন্ট বাতিল। ৫০০ টাকা ভিক্ষা দেবো DBBL কে।।”
রনি হোসেন লিখেছেন, “আমদের নিজেদেরকেই এগুলো প্রতিহত করতে হবে। কারণ এগুলো দেখার মত আমদের দেশে কেউ নেই। আসুন আমরা সবাই ডাচ বাংলাকে `না` বলি। একমত হলে লাইক দিন.........।
রনির এই লাইক আবেদনে সাড়া দেন অনেক পাঠক।

অন্যদিকে বাংলানিউজে প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদন নিয়ে এর পাঠক এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গ্রাহকরা বাংলানিউজের এই সাহসী ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, বাংলানিউজে এমন জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের পরও অন্য পত্রিকা এবং টেলিভিশনগুলো কেন নীবর। তারা কি বিজ্ঞাপনের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।

প্রতিবেদন বিষয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য চাওয়া হলে তারা প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলবেন না বলে জানিয়ে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১২
এসএআর/সম্পাদনা: আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর মাহমুদ মেনন, হেড অব নিউজ- menon@banglanews24.com; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর
jewel_mazhar@yahoo.com


মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১২

আসসালামুয়ালাইকুম , প্রিয় মুসলিম ভাই-বোন গন আপনাদের সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি.....!! ভণ্ড পীর চিনে রাখুন

আসসালামুয়ালাইকুম , প্রিয় মুসলিম ভাই-বোন গন আপনাদের সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি.....!!

দেওয়ানবাগী ভণ্ড পীর (চিনে রাখুন , জেনে রাখুন এবং প্রচার করুন ইসলামের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টিকারী এক ভণ্ড পীরের কাহিনী ) নিয়ে লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরধ করছি সবাইকে ।

আলোচনার স্বার্থে আমি সংক্ষিপ্ত ভাবে তাদের বিভিন্ন বইয়ে পাওয়া কিছু কথা এখানে ধারাবাহিক ভাবে প্রথমে তুলে ধরছি ।

১. "'দেওয়ানবাগী স্বপ্নে দেখেন ঢাকা এবং ফরিদপুরের মধ্যবর্তী স্থানে এক বিশাল বাগানে ময়লার স্তূপের উপর বিবস্ত্র অবস্থায় নবীজীর প্রাণহীন দেহ পড়ে আছে। মাথা দণি দিকে, পা উত্তর দিকে প্রসারিত। বাম পা হাঁটুতে ভাঁজ হয়ে খাড়া আছে। আমি উদ্ধারের জন্য পেরেশান হয়ে গেলাম। তাঁর বাম পায়ের হাঁটুতে আমার ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করার সাথে সাথে দেহে প্রাণ ফিরে এল। এবং তিনি আমাকে বললেন, ''হে ধর্মের পুনর্জীবনদানকারী, ইতিপূর্বে আমার ধর্ম পাঁচবার পুনর্জীবন লাভ করেছে।"
( সূত্র: রাসূল কি সত্যিই গরিব ছিলেন-দেওয়ানবাগ থেকে প্রকাশিত )

২. "একদিন ফজরের পর মোরাকাবারত অবস্থায় আমার তন্দ্রা এসে যায়। আমি তখন নিজেকে লুঙ্গি-গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় রওজা শরীফের নিকট দেখতে পাই। দেখি রওজা শরীফের উপর শুকনা পাতা এবং আগাছা জমে প্রায় এক ফুট পুরু হয়ে আছে। আমি আরো ল্য করলাম, রওজা শরীফে শায়িত মহামানবের মাথা মোবারক পূর্ব দিকে এবং মুখমণ্ডল দণি দিকে ফিরানো। এ অবস্থা দেখে আমি আফসোস করতে লাগলাম। এমন সময় পাতার নীচ থেকে উঠে এসে এ মহামানব বসলেন। তার বুক পর্যন্ত পাতার উপর বের হয়ে পড়ে। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনি দয়া করে আমার রওজা পরিষ্কার করে দেবেন না ? আমি বললাম, জী, দেব। তিনি বললেন, তাহলে দিন না। এভাবে বারবার তিনবার বলায় আমি এক একটা করে পাতা পরিষ্কার করে দেই। এরপর আমার তন্দ্রা ভেঙে যায়।"
( সূত্র: রাসূল কি সত্যিই গরিব ছিলেন-দেওয়ানবাগ থেকে প্রকাশিত )

৩. "দেওয়ানবাগী এবং তার মুরীদদের মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ্, সমস্ত নবী, রাসূল (সা), ফেরেস্তা, দেওয়ানবাগী ও তার মুর্শিদ চন্দ্রপাড়ার মৃত আবুল ফজলসহ সমস্ত ওলি আওলিয়া, এক বিশাল ময়দানে সমবেত হয়ে সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়ানবাগীকে মোহাম্মাদী ইসলামের প্রচারক নির্বাচিত করা হয়।
অত:পর আল্লাহ সবাইকে নিয়ে এক মিছিল বের করে। মোহাম্মাদী ইসলামের চারটি পতাকা চারজনের_ যথাক্রমে আল্লাহ, রাসূল (সা), দেওয়ানবাগী এবং তার পীরের হাতে ছিল। আল্লাহ, দেওয়ানবাগী ও তার পীর প্রথম সারিতে ছিলেন। বাকিরা সবাই পিছনের সারিতে। আল্লাহ নিজেই স্লোগান দিয়েছিলেন_ ''মোহাম্মাদী ইসলামের আলো_ ঘরে ঘরে জ্বালো।"
(সূত্র: সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগী পত্রিকা- ১২/০৩/৯৯ )

৪. "অন্তর্দৃষ্টি খোলা এক আশেক দেখতে ছিলেন এই অনুষ্ঠান রাহমাতুলি্লল আলামীন তাশরীফ নিয়েছেন। এবং রাব্বুল আলামীন দয়া করে তাশরীফ নিয়েছেন। রাব্বুল আলামীন এসে একটা নির্দেশ করেছেন যে, এ বিশ্ব আশেকে রাসূল (সা সম্মেলনে যত আশেকে রাসূল অংশগ্রহণ করেছেন রাব্বুল আলামীন ফেরেস্তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন সমস্ত আশেকে রাসূলদের তালিকা তৈরী করতে। এই তালিকা অনুযায়ী তারা বেহেস্তে চলে যাবে। এটা কি আমাদের জন্য বুলন্দ নসীব নয় কি ? যারা গত বিশ্ব আশেকে রাসূল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের জন্য কি এটা চরম পাওয়া নয় ?"
(সূত্র: মাসিক আত্মার বাণী, নভেম্বর : ১৯৯৯ )

৫. দেওয়ানবাগীর এক পা-চাটা চাকর বলে (নাম মাওলানা আহমাদুল্লাহ যুক্তিবাদী,)
"আমি স্বপ্নে দেখলাম হযরত ইব্রাহীম (আ) নির্মিত মক্কার কাবা ঘর এবং স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা) বাবে রহমতে হাজির হয়েছেন। আমাকে উদ্দেশ্য করে নবী করীম (সা) বলছেন_''তুমি যে ধারণা করছ যে, শাহ্ দেওয়ানবাগী হজ্জ করেননি আসলে এটা ভুল। আমি স্বয়ং আল্লাহর নবী মোহাম্মাদ (সা) তার সাথে আছি এবং সর্বণ থাকি। আর কাবা ঘরও তার সামনে উপস্থিত আছে। আমার মোহাম্মাদী ইসলাম শাহ্ দেওয়ানবাগী প্রচার করতেছেন।
আমি যুক্তি খণ্ডনে যাবো না । শুধু আপনাদের উপর বিষয়গুলো ছেড়ে দিলাম । কতো বড় ভণ্ড হলে এরকম বলতে পারে । একটা কথাও কোরআন হাদীস কিংবা ইজমা কিয়াসের ভিত্তিতে নয় । সব মনগড়া ।

ভণ্ড পীরের একটা লোমহর্ষক তথ্য :
"তথাকথিত ছুফী সম্রাট দেওয়ানবাগী পীর জাল দলিলের মাধ্যমে জোর পূর্বক কয়েক কোটি টাকার জমি দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জমির প্রকৃত মালিক আব্দুল গফুর। গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার ছেলে মহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের পিছনে ১৪২/১ দক্ষিণ কমলাপুরে ৮০ শতাংশ ভূমি ক্রয় করে। জমিটি ক্রয়ের পর থেকেই তথাকথিত পীর দেওয়ানবাগী তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখলের পাঁয়তারা করে আসছিল। ভন্ডপীর দেওয়ানবাগীর সন্ত্রাসী বাহিনী গত ২০০২ সালে রাতের অন্ধকারে বাড়ির ভাড়াটিয়াদের জোর পূর্বক বের করে জমিটি দখল করে নেয়। ভূমি অফিসের কিছু অসাধু অফিসারে সাথে অবৈধ লেনদেন করে তিনি কাগজপত্র তৈরি করেন। জমি দখলের বিরুদ্ধে জজ কোর্টে মামলা করলে কোর্ট গত ২০০৩ সালে স্থগিতাদেশ প্রদান করে। উল্লেখ্য যে দেয়ানবাগী ও তার সন্ত্রাসীচক্র উক্ত বাড়িতে বর্তমানে উটের খামার করে। এখন নিয়মিত শতাধিক সন্ত্রাসী সেখানে অবস্থান করে। তার সন্ত্রাসী বাহিনী মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য নিয়মিত মোবাইলে হুমকি দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে মতিঝিল থানায় একাধিক জিডি করা হয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, উক্ত জমির উপর আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরেও গত ১৪ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রীকে সমাধি করা হয়। তার পালিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তিনি মতিঝিল ও আরামবাগ এলাকায় একাধিক বাড়ি দখল করে নিয়েছেন। তাই জমি ফেরত পেতে জমির প্রকৃত মালিক আব্দুল গফুর প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।" ( দৈনিক সংগ্রাম )

সহজ-সরল মানুষ গুলোকে বিভিন্নভাবে ধোঁকা দিয়ে ধর্মের নামে বেবসা করে যাচ্ছে এই ভণ্ড পীর । নাচ-গান- গাজার আসর সহ দরবারে বিভিন্ন বিদা’ত-শিরিক কর্ম করে যাচ্ছে যা এই ভণ্ড এবং তার অনুসারীরা । ভুল ইসলামী শিক্ষার মাধ্যমে ধর্মপ্রান মুসলমানের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারনা করে যাচ্ছে এই ভণ্ড ।
আসুন আমরা সঠিক ইসলাম সম্পর্কে সঠিকভাবে সঠিক দীনি আলেম থেকে জানার চেষ্টা করি এবং এই বিবর্জিত ভণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি । মহান আল্লাহ এমন ভণ্ড পীর দের থেকে আমাদের হেফাযত করে সঠিক ইসলাম জানার তওফিক দান করুন.......!!

লেখাটি আপনার নিকটতম বন্ধুরদের কাছে শেয়ার করুন । (COLLECTED)

●●মিয়ানমারে নির্বিচারে চলছে মুসলিম নিধন, আওয়াজ তুলুন●● দৈনিক প্রথম আলো বর্জন করুন ।

মুসলিম ভাই বোনেরা আর কত দিন চুপ থাকবেন ??? শেয়ার করে ঝড় তুলে দেন

●●মিয়ানমারে নির্বিচারে চলছে মুসলিম নিধন, আওয়াজ তুলুন●●

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা অহিংসতার কথা বলে! তাদের তো এরকম করার কথা না?
’৯০ এর দশকের শুরুতেই সেখানে মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু হলে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
রয়টার্স জানায়, ২৯শে মে রাখাইন প্রদেশের তাংগোকে শহরে বৌদ্ধদের হামলায় ১০ মুসলিম নিহত হয়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দোয়া মহফিলে আরও এক মুসলমানকে গুলি করে হত্যার পর এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বলে সূত্র দাবি করেছে। বৌদ্ধরা মুসলমানদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালালে আগুন দেয়া হচ্ছে। এতে মৃতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত হতে পারে তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেনি সূত্রটি। আকিয়াবের রাসেদং নামের এক গ্রামের ৪৭ পরিবারে সদস্যদের মেরে ফেলা হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্র দাবি করেছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক লোক মারা গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। আহতের সংখ্যা কয়েকশ’ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাতে মংডু, নয়াপাড়া , বুছিদং এলাকায় কারফিউ জারি করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপরও বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির মতো গোলাগুলি হয়েছে বলে খবর এসেছে।

ইসলাম আর মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে সকল কাফির মুশরিক ই একই হিংস্র চেতনা লালন করে, তার প্রমান দিচ্ছে রাখাইন-মগ বৌদ্ধরা! কোথায় জনাবা সূচী? তার শান্তির বাণী? - এই দাঙ্গা বন্ধ করুন!
আমার মুসলমান ভাই-মা-বোন আর নিষ্পাপ শিশুদের রক্তে আপনার মিয়ানমার ভিজে গেছে। বন্ধ করুন এই হত্যাযজ্ঞ!! আপনাদের বৌদ্ধদের অহিংসা নীতির আড়ালে লুকিয়ে থাকা হিংস্রতার দাঁতাল ভয়াল রূপটি বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচিত হয়ে গেছে! - বাংলাদেশের মুসলিমগন! যে যেখানে আছেন, বার্মাবাসী রোহিঙ্গা মুসলিম ভাই-বোনদের পাশে দাড়ান! আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এবং ইন্টারনেটের প্রতিটি সেক্টরে মিয়ানমারে মুসলিম হত্যাযজ্ঞের ঘটনাগুলো তুলে ধরুন!

আল্লাহ আমাদের মুসলিম ভাই বোনদের হেফাযত করুন, নিরাপদ ও শান্তি ফিরিয়ে আনুন

[বি:দ্র: প্রথম আলো মূল ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে রিপোর্ট করেছে-" মিয়ানমারে মুসলিমদের হামলায় ৪জন নিহত (http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-06-10/news/264574)" । চিন্তা করুন , মিয়ানমারে মুসলিমদের উপর এমন হত্যাযজ্ঞের ঘটনা প্রথম আলোর সম্পাদকের চোখে পড়েনি । অথচ আমাদের সময়.কম সহ বাংলাদেশের ও বিদেশের সকল রিপোর্টে বলেছে, এ ধাঙ্গায় ১৭জন মুসলমান নিহত হয়েছে(http://www.amadershomoy2.com/content/2012/06/10/news0297.htm)।
আর প্রথম আলো বলছে, "মুসলিমদের হামলায় ৪জন নিহত"।
এর আগেও সম্পাদক (মতিউর রহমান) ইসলাম সম্পর্কে কুটুক্তি করার অপরাধে বায়তুল মোকারম মসজিদের খতিবের (মরহুম মাওলানা উবায়দুল হক,আল্লাহ উনাকে জান্নাত নছিব করুন) কাছে (আল্লাহ'র দরবারে) এমন ক্ষমা অযোগ্য অপরাধ আর না করার শর্তে তওবা করে , কিন্তু তারপরও প্রথম আলো একের পর এক সুপরিকল্পিতভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করে যাচ্ছে , আমরা তাদের এমন ইসলাম বিরোধী কর্মের নিন্দা জানাই]

আপনি যদি মুসলিম পরিবারের সন্তান হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই এই পোষ্টটি সবার সাথে শেয়ার করবেন ।
Apne Jodi Musolman Porebar er Sontan Hoea Thaken, Tahole Obossoy ey Post te Sobar Sathe Share Korben.

সোমবার, ১৮ জুন, ২০১২

সাংবাদিকতা করে কোটিপতি মুন্নি সাহা ।

আমার কাছে একটি বিষয় খুব খারাপ লাগে তা হলো বাতির নিচে অন্ধকার। বাতি যখন তার আলো সব দিকে ছড়িয়ে পরে ঠিত তখনই দেখি তার নিচে অন্ধকারে আচ্চন্ন। যদি ইলেকট্রিক টিউব লাইটগুলোতে এখন এই ধারণাটি পাল্টিয়েছে। তবে মূল ধারা কিন্তু এখনো সমাজের চোখে রয়ে গেছে।
সমাজ উন্নয়ন আর পরবর্তনের বিপ্লব ঘটিয়েছে নারী পুরুষের অংশগ্রহণে। নজরুলের মতে জগতের অর্ধেক করেছে এই নারী আর অর্ধেক নর। কথাটি নজরুল পরবতীতে সময়ে নারীদের ব্যাপক উৎসাহ দিয়ে চলেছে।
নারীদের অন্যন্য পেশার মতো সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। নারীদের মূল ধারার সাংবাদিকতার বর্তমান কালে উল্লেখযোগ্য কিছু মুখের মধ্যে এটিএন নিউজের মুন্নি সাহা অনেকটাই আলোচিত আর পরিচিত একটি নাম।
২০০১ পরবর্তী জোট-সরকারের আমলে অনেকটা বাঘিনী কন্যার ভুমিকায় ছিল মুন্নি সাহা। মুন্নির অল্প সময়ে সাহসিকতা আর রিপোর্টং দেখে অনেক নারীই অনুপ্রাণিত হয়েছিল এই পেশাকে গ্রহণ করতে। আর সেই সময়ে এটিএন বাংলায় মুন্নির রির্পোট মানুষ অধির আগ্রহে শুনতে চাইতো। অনেকই বলতো এই দেখো বাঘিনী কন্যা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরকে কেমন তুলোধুনা করে দিলো তার প্রশ্নে।
আবার অনেক সময় দেখা যায় অগ্নি গর্ভে থেকে নিউজ উদ্ধার। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের সময় মুন্নি সাহা পিলখানায় যা দেখিয়েছিলেন তা সবাই মনে রেখেছে। পরবর্তীতে তা বিতর্ক জন্মিয়েছে।সাংবাদিকতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে কারও অন্যায় বা ক্ষতি না করে সত্য উদ্ধার করে পাঠক/দর্শককে জানিয়ে দেয়া। আমার মনে হয় সেই জ্ঞানটি প্রত্যেক ব্যক্তির ই আছে।
মাহফুজের দ্বিতীয় টেলিভিশন চ্যানেল েএটিএন নিউজের বার্তা প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন মিশুক মনির। তার প্রস্থানে মুন্নি সাহা হাল ধরেন চ্যানেলটির। তারপর থেকে তিনি সবচেয়ে বেশি বির্তকের তৈরি করেন। বিভিন্ন বিষয়ে স্বাক্ষাতকার দেয়া ব্যক্তিকে হেনেস্তা করার িএকটি চেষ্টা করেন বলে অনেক মহল মনে করেন। অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে হলুদ সাংবাদিকতার।
শুধূ তাই নয় সম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকান্ড নিয়ে এটিএন নিউজ ও মুন্নি সাহার ভুমিকা ছিল নাটকীয়। একজন টিভি রিপোটার হিসেবে হঠাৎ করে কোটিপতির বনে যান মুন্নি।
একটি সূত্র জানা গেছে মুন্নি সাহার ঢাকাতে ১২ ফ্ল্যাট রয়েছে। রয়েছে কারি কারি টাকা।
তাহলে সাধারন মানুষের প্রশ্ন তৈরি হেয়েছে তিনি কিভাবে েএগুলোর মালিক হলেন।:?
যেখানে সাংবাদিকরা ঠিকমতো বেতন পায় না সেখানে তিনি কিভাবে এতো সম্পদের মালিক হলেন।?
মন্ত্রী/ এমপি আর বিদেশীদের সাথে তাল মিলিয়ে অর্থ উপার্জণ অনেকটা হলুদ সাংবাদিকতায় পরে বলে জানি কিন্তু আমি জানি না মুন্নি সাহা বিষয়টি নিয়ে কি বলবেন? নাকি তিনিও এটিএন নিউজের নাম করে চাঁদাবাজী করছেন নীরবে?
আলোচিত সাগর-রুনি হত্যাকান্ড নিয়ে মাহফুজুর রহমানের বক্তব্য যখন তোলপাড় আর এটিএন বাংলার জ.ই মামুন মাহফুজের বক্তব্য যখন অরুচিশীল বলে মন্তব্য করেন ঠিক সেই সময় মুন্নি সাহার মুখে কোন বোল ফোটেনি। তাহলে কি তিনিই মাহফুজকে হত্যা পরিকল্পনায় সহযোগিতা করেছেন>>?
নাকি মাহফুজের স্টেশনে কাজ করছেন তাই চেপে আছেন?
একজন সাংবাদিক হিসেবে যখন সবাই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার ঠিক সেই সময়ে সময়ের সাহসী বাঘিনী কণ্যা কেন নিস্তব্ধ>?

হলুদ সাংবাদিকতার অভিযোগ তুলে ফেইসবুকে একটি ট্যাগ দেয়া হয়েছে সেখানে মুন্নি সাহাকে দেখানো হয়েছে এইভাবে?

েআমরা চাই মুন্নি সাহা তার সেই সাহসীকতা সাংবাদিকতার প্রতিফলন সময়ে পরিক্রমায় আবার দেখাক। তার হলুদ সাংবাদিকতার বিষয়টি নিয়ে তিনি কিংবা উনার কোন সাগরেদ এই পোষ্টে কমেন্ট করেন।
পরিশেষে প্রত্যেক সাংবাদিককে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সংবাদ পরিবেশনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি.....