Translate

সোমবার, ১৮ জুন, ২০১২

সাংবাদিকতা করে কোটিপতি মুন্নি সাহা ।

আমার কাছে একটি বিষয় খুব খারাপ লাগে তা হলো বাতির নিচে অন্ধকার। বাতি যখন তার আলো সব দিকে ছড়িয়ে পরে ঠিত তখনই দেখি তার নিচে অন্ধকারে আচ্চন্ন। যদি ইলেকট্রিক টিউব লাইটগুলোতে এখন এই ধারণাটি পাল্টিয়েছে। তবে মূল ধারা কিন্তু এখনো সমাজের চোখে রয়ে গেছে।
সমাজ উন্নয়ন আর পরবর্তনের বিপ্লব ঘটিয়েছে নারী পুরুষের অংশগ্রহণে। নজরুলের মতে জগতের অর্ধেক করেছে এই নারী আর অর্ধেক নর। কথাটি নজরুল পরবতীতে সময়ে নারীদের ব্যাপক উৎসাহ দিয়ে চলেছে।
নারীদের অন্যন্য পেশার মতো সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। নারীদের মূল ধারার সাংবাদিকতার বর্তমান কালে উল্লেখযোগ্য কিছু মুখের মধ্যে এটিএন নিউজের মুন্নি সাহা অনেকটাই আলোচিত আর পরিচিত একটি নাম।
২০০১ পরবর্তী জোট-সরকারের আমলে অনেকটা বাঘিনী কন্যার ভুমিকায় ছিল মুন্নি সাহা। মুন্নির অল্প সময়ে সাহসিকতা আর রিপোর্টং দেখে অনেক নারীই অনুপ্রাণিত হয়েছিল এই পেশাকে গ্রহণ করতে। আর সেই সময়ে এটিএন বাংলায় মুন্নির রির্পোট মানুষ অধির আগ্রহে শুনতে চাইতো। অনেকই বলতো এই দেখো বাঘিনী কন্যা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরকে কেমন তুলোধুনা করে দিলো তার প্রশ্নে।
আবার অনেক সময় দেখা যায় অগ্নি গর্ভে থেকে নিউজ উদ্ধার। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের সময় মুন্নি সাহা পিলখানায় যা দেখিয়েছিলেন তা সবাই মনে রেখেছে। পরবর্তীতে তা বিতর্ক জন্মিয়েছে।সাংবাদিকতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে কারও অন্যায় বা ক্ষতি না করে সত্য উদ্ধার করে পাঠক/দর্শককে জানিয়ে দেয়া। আমার মনে হয় সেই জ্ঞানটি প্রত্যেক ব্যক্তির ই আছে।
মাহফুজের দ্বিতীয় টেলিভিশন চ্যানেল েএটিএন নিউজের বার্তা প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন মিশুক মনির। তার প্রস্থানে মুন্নি সাহা হাল ধরেন চ্যানেলটির। তারপর থেকে তিনি সবচেয়ে বেশি বির্তকের তৈরি করেন। বিভিন্ন বিষয়ে স্বাক্ষাতকার দেয়া ব্যক্তিকে হেনেস্তা করার িএকটি চেষ্টা করেন বলে অনেক মহল মনে করেন। অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে হলুদ সাংবাদিকতার।
শুধূ তাই নয় সম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকান্ড নিয়ে এটিএন নিউজ ও মুন্নি সাহার ভুমিকা ছিল নাটকীয়। একজন টিভি রিপোটার হিসেবে হঠাৎ করে কোটিপতির বনে যান মুন্নি।
একটি সূত্র জানা গেছে মুন্নি সাহার ঢাকাতে ১২ ফ্ল্যাট রয়েছে। রয়েছে কারি কারি টাকা।
তাহলে সাধারন মানুষের প্রশ্ন তৈরি হেয়েছে তিনি কিভাবে েএগুলোর মালিক হলেন।:?
যেখানে সাংবাদিকরা ঠিকমতো বেতন পায় না সেখানে তিনি কিভাবে এতো সম্পদের মালিক হলেন।?
মন্ত্রী/ এমপি আর বিদেশীদের সাথে তাল মিলিয়ে অর্থ উপার্জণ অনেকটা হলুদ সাংবাদিকতায় পরে বলে জানি কিন্তু আমি জানি না মুন্নি সাহা বিষয়টি নিয়ে কি বলবেন? নাকি তিনিও এটিএন নিউজের নাম করে চাঁদাবাজী করছেন নীরবে?
আলোচিত সাগর-রুনি হত্যাকান্ড নিয়ে মাহফুজুর রহমানের বক্তব্য যখন তোলপাড় আর এটিএন বাংলার জ.ই মামুন মাহফুজের বক্তব্য যখন অরুচিশীল বলে মন্তব্য করেন ঠিক সেই সময় মুন্নি সাহার মুখে কোন বোল ফোটেনি। তাহলে কি তিনিই মাহফুজকে হত্যা পরিকল্পনায় সহযোগিতা করেছেন>>?
নাকি মাহফুজের স্টেশনে কাজ করছেন তাই চেপে আছেন?
একজন সাংবাদিক হিসেবে যখন সবাই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার ঠিক সেই সময়ে সময়ের সাহসী বাঘিনী কণ্যা কেন নিস্তব্ধ>?

হলুদ সাংবাদিকতার অভিযোগ তুলে ফেইসবুকে একটি ট্যাগ দেয়া হয়েছে সেখানে মুন্নি সাহাকে দেখানো হয়েছে এইভাবে?

েআমরা চাই মুন্নি সাহা তার সেই সাহসীকতা সাংবাদিকতার প্রতিফলন সময়ে পরিক্রমায় আবার দেখাক। তার হলুদ সাংবাদিকতার বিষয়টি নিয়ে তিনি কিংবা উনার কোন সাগরেদ এই পোষ্টে কমেন্ট করেন।
পরিশেষে প্রত্যেক সাংবাদিককে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সংবাদ পরিবেশনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি.....

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন