Translate

সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১২

আমাদের শিক্ষার হার বাড়ছে কিন্তু মনুষত্ব্যের আকার ছোট হয়ে আসছে

সেই কবে আদর্শ লিপিতে পড়েছিলাম- ‘লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে।’ এটা এ অঞ্চলে গরিব জনতার জন্য বড়ই আনন্দের বুলি। লেখা পড়া এখন গাড়ি, ঘোড়া অর্জনের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। এই দেখুন ১৯২৩ সালের আগে এ অঞ্চলে ১টি বিশ্ববিদ্যালয়ও ছিল না। কিন্তু আজ এ সংখ্যাটি তিন সংখ্যা ছুই ছুই করছে অর্থাৎ ১০০ এর কাছে পৌঁছেছে। শিক্ষার হারও বেড়েছে অনেকগুণ কিন্তু এই শিক্ষা শুধুই গাড়ি ঘোড়া অর্জনের মাধ্যম সেজেছে। মানুষের নৈতিকতা, মানবতা, শিষ্টাচার ভদ্রতা একত্রে ডুবতে বসেছে। আর ধর্মজ্ঞান অর্জন শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। যেখানে প্রতিযোগিতা শুধুই অর্থের সেখানে ধর্ম স্থান পায় কোথায়? ধর্ম সিলেবাস থেকে একদম উধাও। নীতিটা হলো- বর্তমানের পৃথিবীটা ভোগ না করে অদৃশ্য ভবিষ্যৎ নিয়ে কে ভাবে! ফলে যা হবার তাই হয়েছে। নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ সব গোল্লায় গিয়েছে। সত্যিকারে শিক্ষানীতি আজও তৈরি হয়নি। কে তৈরি করবে? সবতো ইহুদী-নাছারাদের শিক্ষা। নিজস্ব সম্পদ হারিয়ে পর দ্বারে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বিদ্যানরা সব হাজির। মুসলমান বিশ্বকে আলোকিত করল। আজ তারাই নিজের গৃহ ছেড়ে আলোর সন্ধানে মূর্খদের কাছে। নৈতিকতা, মানবতা কোথায় পাবে?


 




 দৈনিক আল-ইহসান----১৬/১২

বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১২

"হরতাল" ‘কাইল কাম র্কতারি নাই; আইজ ঘরে খাওন নাই’

ষাটোর্ধ্ব দিনমজুর অলি মিয়া। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলবে। বর্তমানে রাজধানীর লালবাগের শহীদ নগরের ৬নং গলিতে একটি খুপড়ি ঘরে বৃদ্ধা স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থেকে দিনমজুরের কাজ করেন।
ছয় সন্তানের জনক অলি মিয়ার ছেলেরা বৃদ্ধ মাতা-পিতার খোঁজখবর রাখেন সামান্যই। শেষ বয়সে জীবন বাঁচানোর তাগিদে তাই রোজ কোদাল-খুন্তি নিয়ে শ্রম বিক্রির হাটে ছুটেন সামান্য রোজগারের আশায়।
গতকাল ইয়াওমুল খামীসি বা বৃহস্পতিবার আঠার দলের দেশব্যাপী হরতালের দিনেও প্রতিদিনকার মতোই শীতের সকালে এসেছিলেন আজিমপুর মোড়ের ‘কামলার হাটে’। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হরতাল সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়ে আজিমপুর মোড়ে আসে। এসময় পুলিশের সঙ্গে পিকেটারদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পিকেটাররা এসময় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পিকেটারদের ছোঁড়া একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয় হতভাগ্য দিনমজুর অলির পায়ে। তার দুটি পা জখম হয়।
এসময় অলি মিয়ার সঙ্গে কাজ করা শ্রমিকরা পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে হাসপাতালে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়। তারা অলি মিয়াকে বলে, হাসপাতালে গেলে তোমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যেতে পারে। এই ভয়ে অলি মিয়া বহুকষ্টে দুই পথচারীর সহযোগিতায় রক্তাক্ত শরীর নিয়েই বাড়িতে পৌঁছায়।
পরে অলি মিয়ার ছোট ছেলে জোর করে সকাল ১০টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অলি মিয়া বলেন, ‘‘গতকাইল (বুধবার) ঠিক মতো কাম করতারি নাই। আইজ ঘরে কোনো খাওন নাই। পেটে তো আর হরতাল মানে না, তাই আইছিলাম খাওনের যোগাড় করবার লাইগ্যা।’’

জেগে ওঠো বাংলাদেশ এই অসহায় মানুষের জন্য..............................।।