Translate

সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১২

ছিনতাই !!! মেয়েরা সাবধান !!! নিজে সতর্ক্ব থাকি অন্যকে সতর্ক করি...।।

Important Note For Girls: কারা, কখন, কীভাবে ছিনতাই করে।
রিকশায় যাচ্ছেন, হঠাৎই পাশের মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেট কার বা ট্যাক্সিক্যাব থেকে টান অনুভব করলেন। ব্যাগ ছিনতাই করার টান। ব্যাগ তো গেলই, আপনিও হয়তো পড়ে গেলেন রাজপথে; পেছনে আসছে ধেয়ে দ্রুতবেগে বাসটি। বছর বছর ধরে এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই ধরনের ছিনতাইয়ের শিকার সব সময় নারী...


আমার এক বন্ধুর ঘটনা....

সপ্তাহ খানেক আগের ঘটনা। ঘড়ির কাঁটা রাত ১০টার কাছাকাছি হবে। মাকে চিকিৎসক দেখিয়ে ফিরছিলাম। আমাদের রিকশাটা তখন মিরপুর রোডের সিটি কলেজের সামনে। দ্রুতগতিতে সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কার আসছিল। সেটি দেখে রিকশাওয়ালাকে বললাম সাবধান হতে। রিকশার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রাইভেট কার থেকে কেউ একজন আমার ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিছু বোঝার আগেই রিকশা থেকে পড়ে যাই ব্যস্ত রাস্তার ওপর। এ সময় গাড়ি চলাচল করছে। চারপাশে মানুষও রয়েছে। পড়ে গিয়েই পেছনে ঘুরে দেখি, দ্রুতবেগে একটি বাস আসছে। বাস দেখে আর্তচিৎকার করতে থাকি। সৌভাগ্যক্রমে বাসচালক আমাকে দেখতে পেলেন এবং বাসটি থামাতে সক্ষম হলেন। তখন বাস থেকে আমার দূরত্ব মাত্র এক হাত সমান। অশেষ ধন্যবাদ সেই বাসচালককে। শারীরিকভাবে আহত হলেও মনে হয়েছে বেঁচে তো আছি। তবে পাশ দিয়ে কোনো গাড়ি গেলেই আতঙ্কিত হয়ে উঠি। ভয়ে বুকটা ঢিপঢিপ করে। এভাবে ভয় নিয়ে কত দিন চলবে?
এই অভিজ্ঞতার কথা শুনে অনেকেই বলেছেন তাঁদের কথা। কারও পরিচিত, কারও বন্ধু কিংবা কারও কাছের কেউ। একটি বিষয়ে মিল হলো, এ ছিনতাইয়ের শিকার মূলত নারীরাই হন। বিষয়টা শুধু ছিনতাইয়ে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর থেকে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এ রকম কয়েক জনের অভিজ্ঞতার কথা শোনা যাক।

মাঝে মাঝে কিছু মনে রাখতে পারি নাঃ
মোসফেয়ারা খানম
একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত
গত রমজান মাসের কথা। সকাল সাতটার দিকে আমি বাসার কাজের লোককে দিতে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলাম। রিকশা নিয়েছিলাম বাসার সামনে থেকে। আমাদের রিকশা সায়েন্স ল্যাবরেটরি পার হয়ে এলিফ্যান্ট রোডের দিকে যাচ্ছিল। এরপর আর আমার কিছু মনে নেই। যখন জ্ঞান ফেরে, তখন আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজে। আসল ঘটনা পরে জানতে পেরেছি। একটি মাইক্রোবাস থেকে একজন আমার ব্যাগ টান দেয়। আমি পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। রাস্তার এক ঝাড়ুদার ও রিকশাওয়ালা আমাকে বাসায় পৌঁছে দেন। তারপর হাসপাতাল। শরীরের একটা পাশ গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চোখে রক্ত জমে যায়। মাথায় অনেক আঘাত পাই। প্রায় দুই মাস শয্যাশায়ী ছিলাম। থানায় জিডি করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এখনো চোখে ব্যথা অনুভূত হয়। মাঝে মাঝে কিছু মনে রাখতে পারি না।

অসহায় আমরাঃ আলো কম থাকলে, ফাঁকা বা নির্জন রাস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটে। তবে কয়েক জনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, ব্যস্ত রাজপথে দিনের বেলায়ও এমন ঘটনার শিকার হন নারীরা। ব্যাগ তো চলে যায়ই সঙ্গে বিপন্ন হয়ে পড়ে জীবন। অনেকেই অভিযোগ করেছেন পুলিশের কাছে। কোনো প্রতিকার হয়নি। ধরা পড়েনি অপরাধী। ছাত্রী, কর্মজীবী নারী বা সাধারণ গৃহিণীও বাইরে বের হলে একটি ব্যাগ নেন। তাতে হয়তো মুঠোফোনসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকে। তাহলে একটি ব্যাগই কি জীবনের গতি থামিয়ে দেবে?

একটা দেশের সব জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা সম্ভব নয়। আমাদেরকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাস্তায় কারও বিপদ দেখলে পাশ কাটিয়ে চলে গেলে ছিনতাইকারীদের উৎসাহ দেওয়া হবে। একে অপরকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের কে প্রতিবাদী হতে হবে; তাহলেই সমাজ থেকে সকল অন্যায়-অবিচার দূর হবে।

রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১২

নিখোঁজ ইলিয়াস ।। -জিম্মি সারা দেশ।। কোটি কোটি টাকা লস।। দুর্ভোগে সারা দেশের মানুষ।। ।।


ইলিয়াসের খোঁজ মেলেনি, আজ ও কাল হরতাল। মানুষ হরতাল চায় না। এটা রাজনৈতিক দলগুলোকে বহুবার জানানো হলেও তাদের কর্ণপাত হয়নি। যখন যে দল ক্ষমতায় যায় তখন সে দলই হরতালের বিরুদ্ধে বলে। কিন্তু ওই বিরোধী দল যখন ক্ষমতায় যায় তখন তারাও হরতালের  বিরুদ্ধে বলে। কিন্তু কেউ কথা রাখে না। এসব মন্তব্য খোদ পাঠকদের। পাঠক ইমরান হোসেন জানালেন, গুম একজন আর জিম্মি পুরো দেশ ও দেশের মানুষ। আহা কী সুন্দর দেশ, কী সুন্দর বিচার!
বিএনপি জানায়, বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে ফেরত পায়নি তারা। প্রতিবাদে আজ রোববার ও কাল সোমবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। গতকাল শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ইলিয়াস আলীকে ফেরত দিতে বিএনপির চার দিনের বেঁধে দেয়া সময় গতকাল শেষ হয়। তবে এ সময়ের মধ্যে ইলিয়াস আলীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২৪ এপ্রিল তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির নিখোঁজ হওয়া সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস আলীকে ফেরত দিতে শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। এর আগে ২২, ২৩ ও ২৪ এপ্রিল দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি। ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর বনানী থেকে নিখোঁজ হন। বিএনপির অভিযোগ, সরকারই ইলিয়াসকে গুম করেছে।
হরতাল সম্পর্কে পাঠক মন্তব্য
মো.  নুরুজ্জামান : দেশটাকে হরতালের হাত থেকে বাঁচান।
রুহুল আমিন রুবেল : গুম মানি না, আন্দোলন চলব।
জাহাঙ্গীর হোসেন :  হরতাল দিক আর যাই করুক বিএনপি প্রয়োজনে সরকারি মন্ত্রী-এমপিদের জবাই করে হত্যা করুক তাতে আমাদের কিছুই হবে না। কিন্তু আমরা দেশের সাধারণ জনগণ কোনো দলের হরতালের কারণে যদি একজনও মারা যাই বা কাজের অভাবে পরিবারের ছেলেসন্তানসহ না খেয়ে উপবাস করতে হয়, যাদের কারণে এরকম হবে তাদের গলায় জুতার মালা দিয়ে কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রতিবাদ করা হবে।
ফরহাদ : বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনকে গুম করে হত্যা করে। সেই চট্টগ্রামেই ২১ ট্রাক অস্ত্র আনে, আপনাদের আগামী দিনের নেতার বাড়ি বগুড়ায়, ১০ ট্রাক গুলি ধরা পড়ল, ৬৪ জেলায় একযোগে বোমা ফাটল। ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য শিক্ষককে খুন করা হয়। এখন বলুন কোনো গ্যারান্টি আছে বা দেবেন কী আপনারা ক্ষমতায় গেলে আজকে যে বিষয়গুলো নিয়ে অতি উৎসাহে লাগাতার হরতাল করার জন্য উৎসাহী, আপনারা সেই অপরাধ হতে দেবেন না। বিএনপি আজ পর্যন্ত কোনো সমাবেশে ঘোষণা দেয়নি আমরা আজ যে বিষয়গুলো নিয়ে আন্দোলন করছি ক্ষমতায় গেলে তা হতে দেব না বা করব না।
কামরুল : দাও দাও যত দিন যত মাস ইচ্ছা দাও। সাধারণ জনগণ মরলে তোমাদের কী।
ফরহাদ : বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যিনি বহিষ্কার হয়ে বিএনপির নেতা হয়েছেন এবং তার জন্য বিএনপি দেশকে অস্থিতিশিল করবে তা মোটেই উচিত নয়।
মনু : হরতালই বিএনপির শেষ ভরসা।
মো. কাওসার আলী :  আল্লাহ আমরা আমাদের ইলিয়াস আলীকে চাই যে কোনো কিছুর বিনিময়ে। তাই বিএনপিকে বলছি, বিএনপির সব সিনিয়র নেতাকে মাঠে থাকতে হবে এবং খালেদা জিয়াকে স্বয়ং মাঠে থাকতে হবে। তা না হলে ধিক এ হরতাল।
রিংকু : দেশটাকে হরতালের হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে হবে, আমরা সবাই দলবদ্ধ হব। ১৮ দল দেশকে অস্থিতিশীল করবে তা মোটেই উচিত নয়।
স্বগতা : ব্যক্তির চেয়ে দল ও দেশ অনেক বড়। তাই শুধু ইলিয়াস আলীকে ইস্যু করে হরতাল না দিয়ে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে হরতাল ঘোষণা করা উচিত।
মো. লোকমান হোসেন :  কেউ জনগণের জন্য আন্দোলন করে না, সবাই ক্ষমতার জন্যই আন্দোলন করে। সবই প্রতিহিংসার রাজনীতি করে।
ইফতেখার : আমি ইলিয়াসকে নিয়ে তেমন একটা চিন্তিত নই, কারণ তারা রাজনীতির নামে অনেক অর্থবিত্ত বানিয়েছে। তার অবর্তমানে আপনজন শোক ব্যতিত তার বিধবা স্ত্রী, সন্তান ভালো জীবনযাপন করবেন। তবে তার ড্রাইভার তো ওইরকম অর্থবিত্তের মালিক না, একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটি হারিয়েছে, ওই পরিবারের কথা ভাবলে খুব খারাপ লাগে। ব্যতিত সাগর-রুনি কিংবা সুরঞ্জিতের বীর ড্রাইভার আজমের কথা ভেবে। কারণ এ অখ্যাত মানুষগুলোই প্রকৃত মানুষ। আর যাদের নিয়ে দেশে অযথা হইচই পড়ছে, ওরা তো স্বীয় কর্মের আপন ঘাতক মাত্র।
এএফ কাশেমি : দেশের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে নেতা বড়!!!(?) কী বিচিত্র এ দেশ! বলি একটা করি একটা।
শফিক  পাকুন্দিয়া : বিএনপির হরতাল চাই না, বিকল্প কর্মসূচি দিন।
সাদ্দামুল আনোয়ার খান ইভান : একজন ইলিয়াসের জন্য সারা দেশের মানুষকে কষ্ট দেয়া অমানুষের কাজ।
ইফতেখার : আওয়ামী লীগের নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হলো, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া সিলেটের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছোড়া অসংখ্য গ্রেনেডের হামলায় শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও বর্তমান রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২২ জন নিহত হলেন। তারপর কী হলো? বিএনপি এক ইলিয়াস আলীর জন্য যেভাবে দেশ অচল করে দিল, তার ছিটেফোঁটাও তো আওয়ামী লীগ তখন করতে পারল না। সম্ভবত তারা কেউই ইলিয়াস আলীর মতো তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন না! ইলিয়াস আলী উদ্ধারে সরকারের ব্যর্থতা ক্ষমার অযোগ্য, তবে মানুষ মারার হরতাল সমর্থন করি না।
Bookmark and Share    

শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১২

‘চোখ বন্ধ কর, গহনা পরাবো’-বলেই স্ত্রীর কব্জি কেটে ফেলল স্বামী



তিন বছর আগে জুঁইয়ের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার নুরজাহানপুর গ্রামের বাসিন্দা বাতেন মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিকের সঙ্গে বিয়ে হয়। তখন জুই মাত্র এসএসসি পাশ করেছে। বিয়ের পরপরই রফিক সাফ জানিয়ে দেয় আর লেখাপাড়া করা যাবে না । এর কিছুদিন পরই রফিক চলে যায় আবুধাবি। জুঁইয়ের বাবা ইউসুফ মিয়া একজন তাঁতশ্রমিক। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে জুঁইয়ের ছেলেবেলা থেকেই লেখা পড়ার করার স্বপ্ন। মেয়ের লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহের কথা জানতেন ইউসুফ মিয়া। আর্থিক দৈন্যদশার মধ্যেও মেয়ের পড়াশোনার খরচ যুগিয়েছেন তিনি।

স্বামীর সংসারে এসে লেখাপড়ার নেশায় জুঁই নরসিংদী সরকারি কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হয় মানবিক বিভাগে। বর্তমানে সে শেষ বর্ষের ছাত্রী। অশিক্ষিত রফিক স্ত্রীর কলেজে ভর্তির সংবাদ শুনেই মারাত্মক ক্ষিপ্ত হয়। রফিকের আত্নীয় স্বজনও বিষয়টি ভালচোখে দেখেননি। টেস্ট পরীক্ষার আগে রফিক তার শ্বাশুড়ি পারভীন বেগমকে জানিয়ে দেয় টেস্ট পরীক্ষা অংশ গ্রহণ করলে জুঁইকে পুড়িয়ে হত্যা করা হবে। এতো প্রতিকূলতার মধ্যেও টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নেয় জুঁই। স্বামী যখন তাকে মানা করতো আর পড়াশোনা করা যাবে না তখন জুই স্বামীকে বলতো, তুমি ভয় পেয়ো না। মেয়েদের স্বামী একজনই। আমি এইচএসসি পর্যন্ত পড়বো। তবুও মন গলেনি পাষণ্ড রফিকের।

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জুঁইকে তার ননদ নাইমা জানায়, তোমার স্বামী বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও কসমেটিকস পাঠিয়েছে। তুমি বাসায় এসে নিয়ে যাও। ননদের স্বামী সেনাবাহিনীর কর্পোরাল মো. শফিকুল ইসলামও অনুরূপ সংবাদ জুঁইকে দেয়।

১ ডিসেম্বর জুঁই নরসিংদী থেকে স্বামীর পাঠানো জিনিসপত্র নিতে জিয়া কলোনীর ননদের বাসায় যায়। তিন দিন অতিবাহিত হলেও জুঁইকে কোন জিনিসপত্র দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে সে ননদের কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আর একদিন পরই তোমার জিনিসপত্র দিয়ে দিবো।

৪ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠে দেখি বিছানার সামনে রফিক দাঁড়ানো। জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কখন আসছো। উত্তরে রফিক বলে, এইতো কিছুক্ষণ আগে আবুধাবি থেকে আসলাম। তোমার সঙ্গে একা কথা আছে বলে রফিক তাকে একটি কক্ষে নিয়ে যায়।'

অনেক দিন পর স্বামীকে দেখে আনন্দে ভরে উঠে জুঁইয়ের মন। চরম আবেগে পাশের কক্ষে দুইজনে গিয়ে বসে। এ সময় নাইমা ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামসহ পরিবারের অন্য কক্ষে ছিল। রফিক কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়। রফিক জুঁইকে বলে তুমি তাহলে ঠিকই পরীক্ষা দিয়েছো। চোখ বন্ধ করো, তোমাকে এমন পুরস্কার দিবো, যা তুমি কখনো কল্পনা করতে পারবে না। স্বামীর এমন মধুর কথা শুনে আবেগে জুঁই চোখ বন্ধ করে ফেলে। এ সুযোগে ওড়না দিয়ে জুইয়ের দুই চোখ টাইট করে বেঁধে ফেলে রফিক। স্কচটেপ দিয়ে বন্ধ করে দেয় মুখ। এরপর রফিক জুঁইকে বলে, তুমি ডান হাত লম্বা করো। জুই ডান হাত লম্বা করার সঙ্গে সঙ্গে ধারাল চাপাতি দিয়ে কোপ দেয় রফিক। এক কোপেই জুঁইয়ের কব্জি হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মুখে স্কচটেপ থাকায় জুঁই চিত্কার করতে পারেনি। মেঝে ভেসে যায় রক্তে। রক্তাক্ত জুঁইকে ঐ কক্ষের বারান্দায় ফেলে রাখে রফিক। কিছুক্ষণ পর ননদ ও তার স্বামী এসে রক্ত পরিস্কার করে। জুঁইকে পরে উত্তরার একটি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় তারা। সেখানে ডাক্তার ডান হাতে কবজি কিভাবে কেটেছে জুঁইয়ের কাছে জানতে চাইলে সে পুরো ঘটনা প্রকাশ করে। এ সময় ননদ ও তার স্বামী দ্রুত হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। জুইকে ডাক্তার দ্রুত পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ রকম আর কত ঘটনা ঘটবে এ বাংলায় ?????? এ রাকি কখন মানুষ হবে না ??? এরা কি আজীবনই পশু হয়ে অত্ত্যাচার করবে ?????


আর হতে দেওয়া যায় না এ মন...। সবাই গর্জে ওঠি...। নারী নিরযাতন কে না বলি...। সবাই এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাই...। এবং রফিকের উচিৎ বিচার চাই...............।।

শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১২

।। The Ghost Nebula ।।


পৃথিবী থেকে ২২০০ আলোকবর্ষ দূরে গোলাকার ও গ্রহ সদৃশ এই planetary nebula-টি সর্পধারী তারকামণ্ডলে (Constellation of Ophiuchus) অবস্থিত। এই নেবুলাটির অন্যনাম NGC 6369। ১৮৩৪ সালে বৃটিশ জ্যোতির্বিদ Sir John Frederick William Herschel প্রথম Milky Way গ্যালাক্সিতে এই নেবুলাটির সন্ধান পান। এই নেবুলাটির কেন্দ্রের কাছাকাছি রয়েছে একটি নতুন সাদা বামন (white dwarf) নক্ষত্র।যেটি থেকে নির্গত হচ্ছে শক্তিশালী অতিবেগুনী রশ্মি! এই নেবুলার প্রধান চাকতিটির ব্যাস প্রায় এক আলোকবর্ষ। যেটি ক্রমাগত বিকিরণ করছে আয়োনাইজড oxygen, hydrogen এবং nitrogen গ্যাস। এই Ghost Nebula-কে ডাকা হয় One of the Largest Spheres of the Milky Way নামে

বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১২

ক্রিকেটারদের বেতন বন্ধের হুমকি দিচ্ছেন কামাল !


পাকিস্তানে ক্রিকেটারদের পাঠানোর জন্য সবরকম প্রচেষ্টাই চালাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল। যদিও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেন সিরিজ সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যাপারে জোর করবে না ক্রিকেট বোর্ড।
“প্রত্যেক ক্রিকেটারেরেই নিজের সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার রয়েছে। তারা পাকিস্তানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। এক্ষেত্রে তাদের আমরা জোর করে পাকিস্তানে পাঠাবো না”।

কিন্তু জাতীয় দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর ব্যাপারে প্রচেষ্টার কমতি নেই বিসিবি প্রেসিডেন্ট কামালের। কোনো ক্রিকেটার পাকিস্তানে না গেলে তাকে বোর্ডের সাথে করা কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন কামাল। সম্প্রতি বোর্ডের সাথে এক বছর মেয়াদী চুক্তি হয়েছে ক্রিকেটারদের। কোন ক্রিকেটার পাকিস্তানে না গেলে তার বেতন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন কামাল !

নিরাপত্তা ইস্যুতে যখন কেউই পাকিস্তানে খেলতে যেতে চাইছে না তখন সবাইকে অবাক করে দিয়ে বোর্ডের কারো সাথে আলোচনা না করেই পাকিস্তান সফরের তারিখ চূড়ান্ত করে এসেছেন বিসিবি প্রধান কামাল। ব্যাক্তিগত স্বার্থের খাতিরেই কামাল এমনটি করেছেন তা সকলেরই জানা। কামালের এমন সিদ্ধান্তে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে খুশির বন্যা বয়ে গেলেও বিসিবির কর্মকর্তারা বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।


লোটাস কামাল এখন যেসব ক্রিকেটার পাকিস্তান যাবে না তাদের বেতন বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। লোকটা আইসিসির সভাপতির পদের জন্য দেশের ক্রিকেটারদের আগুনের সামনে ঠেলে দিতেও পিছপা হচ্ছেন না, তার দরকার আইসিসির সভাপতির ঐ চেয়ার। সবার নিজ নিজ মতামত আছে, আপনি জোর করে কাউকে পাঠাতে পারেন না।এই কামাল সেই কামাল যে সাকিবকে পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করেছিল,যে তামিমকে নিজ হাতে বাদ দিয়েছিল,মুসফিককে সবার সামনে শাসিয়েছেন। এইসব টাকালোভী শয়তানকে অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি, তাহলে দেশের ক্রিকেটের আরও ভালো হবে। যারা একমত প্লিজ লাইক দিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করুন।।

মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১২

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঘড়ী Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA

পবিত্র মক্কা নগরীতে বসানো হয়েছে অভূতপূর্ব এক ঘড়ি। এটি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘড়ি। এমনকি লন্ডনের বিগবেনের চেয়েও ৫ গুণ বড়। সারা বিশ্বের মুসলমানদের নতুন একটি সময় উপহার দেয়ার জন্য মক্কার সর্বোচ্চ ভবন আবরাজ আল-বাইত কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয়েছে এটি।

আর তা দেখা যাবে ৩০ কিলোমিটার দূর থেকেও। সৌদি আরব আশা করছে, চতুর্মুখী এ নতুন ঘড়ি মক্কাকে গ্রিনিচ মান সময়ের বিকল্প সময় প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।

এসপিএ জানিয়েছে, সৌদি আরবের সর্বোচ্চ এ ভবনটির উচ্চতা হবে ৬০১ মিটার (১৯৮৩ ফিট), এর ফলে তাইওয়ানের ৫০৯ মিটার উচু তাইপে ১০১কে ছাড়িয়ে এ ভবনটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।

তবে এটি থেকে দুবাইয়ে নির্মিত বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ খলিফা (৮২৮ মিটার)’র উচ্চতা অনেক বেশি। ২৫০ জন উচ্চ প্রশিক্ষিত মুসলিম কর্মী ঘড়িটির ফ্রেমের কাজ করেছেন।

লন্ডনের বিখ্যাত বিগবেন ঘড়ির ব্যাসের চেয়ে এ ঘড়িটির ব্যাস ছয়গুণ বড়। এর সামনে আরবি হরফে লেখা থাকবে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’, এর নিচে স্থাপন করা হচ্ছে ২০ লাখ উজ্জ্বল আলোর বাতি।
 

 Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA
Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA
Saudi Arabia will test what it is billing as the world’s largest clock in the holy city of Mecca during the Muslim fasting month of Ramadan, the official news agency reported Tuesday.
World's Largest Clock - Abraj al-Bait  Clocks
The four-faced clock tower will top a massive skyscraper that when completed will be around 1,970 feet (600 meters) tall, the second tallest in the world after Dubai’s Burj Khalifa.
Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA
The clock will dwarf London’s Big Ben, once the largest four-faced clock in the world, with dials more than five times greater in area.
The around 130 foot (40 meter) diameter Saudi clock dials are also bigger than the current world champion at the Cevahir Mall clock in Istanbul, which has a 36 meter face set in the transparent roof of the shopping complex.
Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA
Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA
Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA
Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA
Makkah Worlds Largest Clock in Saudia Arabia, Big Clock in KSA

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

রবিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১২

কবে রেহাই পাবে অরা...।। তাদের কি দেখার কেউ নেই...।।

দশ টাকা সের চাল খাব, এই খুশিতে,
ভোট দিলাম বাক্স ভরে নিজের অমতে।
বস্তা ভরা টাকা দিল, বুবুর দাদারা,
তাই পেয়েইতো করল ভুল, পাবলিক বেচারা।
সার নাকি দিবে বুবু, কোন পয়সা ছাড়া,
এ কথাটি বললে এখন, খেতে হয় তাড়া।

কুইক রেন্টালে হবে নাকি, কুইক বিদ্যুৎ উৎপাদন,
লোডশেডিংয়ের হবে নাকি, আর কভু আগমন।
বিদ্যুৎ এখন যায়না তবে, মাঝে মাঝে আসে,
তাইনা দেখে বুবু আমার, মিটমিটিয়ে হাসে।
মারব এবার লোডশেডিংয়ে, বল যদি বেশি কথা,
বুঝবে ঠ্যালা এবার তবে, বুঝবে কত ব্যথা।
কুইক ধ্বংস হচ্ছে দেশ, কুইক রেন্টাল এর ফাঁদে,
করের বোঝা বাড়ছে তবু, জনগণের কাঁদে।

নির্মূল নাকি হবে যত, অনিয়ম আর দূর্নীতি,
অনিয়মই নিয়ম এখন, হোক যতই দেশের ক্ষতি।
দূরীভূত হবে যত, বিশৃঙ্খলা আর সন্ত্রাস,
বুবুর সোনার ছেলেরাই এখন, মূর্তিমান এক ত্রাস।
শতটা খুন হয় দিনে এখন, নেই কোন শান্তি,
পুলিশে যদি যেতে চাও, হবে বড় ভ্রান্তি।

পদ্মা সেতু হবেই এবার, সে কিরে ভাই দাপট,
কাজ শুরুর আগেই হল, হাজার কোটি লোপাট।
লুটেরা নিল শেয়ার বাজার হতে, হাজার কোটি টাকা,
কেঁদে মরে বিনিয়োগকারীরা, পকেট হল ফাঁকা।

রেলওয়ের কালো বিড়াল, ধরতে গিয়ে এক মন্ত্রী,
চালান একটা ধরা খেয়ে, বাধলো যত বিপত্তি।

হীরক রাজার দেশ, আছি মোর বেশ,
এভাবেই থাকতে হবে, সন্দেহ নেই লেশ।

শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১২

ফেসবুকে মুন্নী সাহার প্রতি খোলা চিঠি চিঠি মুন্নী সাহাকেও মেসেজ হিসেবে পাঠানো হয়েছে

চিঠি মুন্নী সাহাকেও মেসেজ হিসেবে পাঠানো হয়েছে

মাহমুদ সোহাগ
আমার এই লেখা গতকাল ৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখ রাতে আপনার টকশো নিয়ে। আপনাকে আগে খুবই শ্রদ্ধা করতাম কিন্তু গত রাতের পরে কেমন যেন একটা মানসিকতা চলে এসেছে আপনাকে ঠিক বোঝাতে পারব না।
আমি বর্তমানে মালয়েশিয়া প্রবাসী। দেশের প্রতি টান থেকেই দেশের খবরাখবর জানার জন্য আপনাদের চ্যানেলটা দেখি। প্রতি মাসে শুধুমাত্র আপনাদের চ্যানেলটার জন্যই বাংলাদেশি টাকায় ৬০০ টাকা পে করতে হয় আমাকে।
না, আমি ডেসটিনির ডিস্ট্রিবিউটর না। তবে আমি এমএলএম এই সাবজেক্টের ওপর ক্যালির্ফোনিয়া থেকে এমবিএ করেছি। তা ছাড়াও আমি যখন দেশে গিয়েছিলাম তখন থেকেই ডেসটিনি সম্মন্ধে অনেক কিছু জানি। কিন্তু দেশে থাকি না শুধু এই কারণেই আমি ডেসটিনিতে জয়েন করিনি।
আপনি মোহাম্মদ রফিকুল আমীন সাহেবকে বলেছেন, আমি এমএলএম হোয়াটএভার বুঝি না আর বুঝতেও চাই না। বাংলাদেশের মানুষ বোকা...স্টুপিড। সো এভাবেই এত রাতারাতি আলাদিনের চেরাগ পেয়ে গেছেন_ আপনি বাংলাদেশের মানুষকে কিভাবে বোকা বা স্টুপিড বলতে পারেন!!! আপনার এই কথা শুনে সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হয়েছে আমার বন্ধু (ও আমেরিকান)। ও সঙ্গে সঙ্গেই আমাকে বলল, তোমরা না নয় মাস যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছ, তোমরা না রক্ত দিয়ে ভাষার অধিকার পেয়েছে! তাহলে কিভাবে একটা গর্বিত জাতীকে একটা রিপোর্টার বোকা বা স্টুপিড বলতে পারে!!!। মুনি্ন আপা, আপনার মনে রাখা উচিত ছিল, এই অনুষ্ঠানটা আপনার ভাষায় বোকা বা স্টুপিড বাংলাদেশিরাই শুধু দেখছে না সারাবিশ্বের বিদেশিরাও দেখছে আর এখন অনেক বিদেশিই কিন্তু বাংলা জানে। আপনাদের মতো এরকম তথাকথিত বাংলাদেশিদের জন্যই বিদেশে বসে আমাদের লজ্জিত হতে হয়, মাথা নিচু করে থাকতে হয়। আপনাদের চেয়ে আমরা বাংলাদেশকে কম ভালোবাসি না, আমাদের মনে হয় বেশিই ভালোবাসি। কারণ, বিদেশে বসেই বোঝা যায় দেশের প্রতি আমাদের টান। তাই বিদেশে বসে সহ্য করতে পারি না বাংলাদেশ বা বাঙালি সম্পর্কে কোনো অযৌক্তিক বা অর্বাচীন কোনো মন্তব্য।
আর আপনি বলেছেন, আমি এমএলএম হোয়াটএভার বুঝি না আর বুঝতেও চাই না। আপনি বুঝবেন কিভাবে!!! আপনার তো এই সাবজেক্ট সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। আর যাদের অল্প বিদ্যা, তারা ভয়ঙ্কর তারাই শুধু একটা বিষয় সম্পর্কে না জেনে এরকম মন্তব্য করতে পারে। আপনি কি জানেন, ইউএসএ, ইউকেসহ বিশ্বের প্রায় ১৩০টি দেশে এই ব্যবস্যা আইন দ্বারা স্বীকৃত? আপনি কি জানেন, এই সাবজেক্টের ওপর বিবিএ, এমবিএসহ ডক্টরেট ডিগ্রি পর্যন্ত চালু আছে? বাংলাদেশে নীতিমালা না থাকতে পারে কিন্তু তাই বলে আপনি পুরো ডিরেক্ট মার্কেটিং সিস্টেম সম্পর্কে এই মনোভাব পোষণ করতে পারেন না। এটা আপনার বোকামীরই পরিচায়ক।
আপনার এই ব্যবসা সম্পর্কে বিরূপ ধারণা থাকতে পারে কিন্তু আপনি একজন হোস্ট হিসেবে এরকম কমেন্টস করতে পারেন না। একজন হোস্ট থাকবে নিরপেক্ষ কিন্তু আপনার ওই বিরূপ ধারণার জন্যই বোধহয় পুরো অনুষ্ঠানেই দেখা আপনাকে গেল আক্রমণাত্মক। হ্যাঁ, এই আক্রমণাত্মক মনোভাবের জন্যই আপনাকে পছন্দ করতাম কিন্তু দেখলাম আপনি অনুষ্ঠান শুরুই করলেন নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে। আপনি ডেসটিনি পছন্দ করেন না তাই সবই আপনার অপছন্দ। তারপর আপনি একটা প্রশ্ন করে অতিথিকে উত্তর দিতে না দিয়েই আপনি দুচার কথার পরেই বারবার ইন্টারআপ করে আপনার কথাই দর্শকদের শোনাচ্ছেন। অতিথির উত্তরই যদি না শুনতে পারি তাহলে তাকে আমন্ত্রণ করলেন কেন! আপনি কি জানেন, এটাকে বিদেশে খুবই অসৌজন্যতা বলে গণ্য করা হয়। বিদেশের ভালো ভালো চ্যানেলের কিছু টকশো দেখলে মনে হয় আপনার এই বদ অভ্যাসটা কাটতে পারে।
পত্রিকার সমস্ত খবর এবং ডেসটিনির ম্যানেজমেন্টের কথা শুনে আমার নিরপেক্ষ ধারণা হল_ ডেসটিনির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু অভিযোগ করেছে তাই নিয়ে পত্রিকাগুলো ফুঁঁলিয়ে ফাঁপিয়ে এত প্রচার করছে। কিন্তু ডেসটিনির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণিত নয় এবং ডেসটিনির কোনো ডিস্ট্রিবিউটরেরও ডেসটিনির বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই তাহলে আপনিসহ কিভাবে পত্রিকাগুলো এভাবে ঢালাও অভিযোগ করে। এমনকি অন্যান্য যেসব কোম্পানি প্রতারণা করেছে তাদের সেই প্রতারণার দায়ও ডেসটিনির ঘাড়ে চাঁপাতে পারে? আসলে বাংলাদেশে পত্রিকাগুলোর বাক-স্বাধীনতার নামে যা চলছে তা আর াক বলব। বোধ হয় এজন্যই আপনারা এভাবে নিউজ বা আপনাদের কাটতির জন্য প্রচারণা চালাতে পারেন। বিদেশে এরকম হলে মানহানীর মামলায় ক্ষতিপূরণ দিয়ে এতদিনে দেউলিয়া হয়ে যেতেন।
আপনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এটা গ্রহণ করত না। হা হা হা .... আপনি কি জানেন, ইন্ডিয়াতে এমএলএম অ্যাক্ট আছে? সেখানে বেশ কয়েকটা কোম্পানি কাজ করছে? এমনকি বিশ্ববিখ্যাত এমএলএম কোম্পানি 'এমওয়ে'ও ইন্ডিয়াতে শাখা ওপেন করেছে।
শেষে দেখলাম উপসংহারে ডেসটিনির চেয়ারম্যান একটা টিভি কমার্স শোর উদাহরণ দিয়ে বললেন যে, তারা এটা অতিরঞ্জিত করছে। ... কিন্তু আপনি সেটাই টেনে নিয়ে বললেন, ডেসটিনির চেয়ারম্যান স্বীকার করেছেন যে তারা অতিরঞ্জিত কথা বলে লোভ দেখান! আসলে আপনি ডেসটিনি তথা এলএমএল বিজনেস সম্পর্কে কিছুই জানে না আর আপনি সেটা স্বীকারও করেছেন। আমার মনে হয় একটা জিনিস সম্পর্কে আগে জেনে তারপর সেটা সম্পর্কে কথা বলাই বুদ্ধিমানের পরিচয়।
গত ৯ এপ্রিল আপনাদের প্রচারিত নিউজগুলোও আপনার মনোভাবের পরিচয় দিয়েই সংবাদ প্রচার করছে দেখলাম। দুদকসহ অন্যরা তো তদন্ত করছে। তাই আগেই ডেসটিনিকে দোষী না বানিয়ে তদন্ত রিপোর্টটা প্রকাশ হোক_ তারপর ডেসটিনি যদি দোষী হয় তাহলে ছিঁড়ে খুঁড়ে ফেলুন।