Translate

রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১২

নিখোঁজ ইলিয়াস ।। -জিম্মি সারা দেশ।। কোটি কোটি টাকা লস।। দুর্ভোগে সারা দেশের মানুষ।। ।।


ইলিয়াসের খোঁজ মেলেনি, আজ ও কাল হরতাল। মানুষ হরতাল চায় না। এটা রাজনৈতিক দলগুলোকে বহুবার জানানো হলেও তাদের কর্ণপাত হয়নি। যখন যে দল ক্ষমতায় যায় তখন সে দলই হরতালের বিরুদ্ধে বলে। কিন্তু ওই বিরোধী দল যখন ক্ষমতায় যায় তখন তারাও হরতালের  বিরুদ্ধে বলে। কিন্তু কেউ কথা রাখে না। এসব মন্তব্য খোদ পাঠকদের। পাঠক ইমরান হোসেন জানালেন, গুম একজন আর জিম্মি পুরো দেশ ও দেশের মানুষ। আহা কী সুন্দর দেশ, কী সুন্দর বিচার!
বিএনপি জানায়, বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে ফেরত পায়নি তারা। প্রতিবাদে আজ রোববার ও কাল সোমবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। গতকাল শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ইলিয়াস আলীকে ফেরত দিতে বিএনপির চার দিনের বেঁধে দেয়া সময় গতকাল শেষ হয়। তবে এ সময়ের মধ্যে ইলিয়াস আলীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২৪ এপ্রিল তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির নিখোঁজ হওয়া সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস আলীকে ফেরত দিতে শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। এর আগে ২২, ২৩ ও ২৪ এপ্রিল দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি। ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর বনানী থেকে নিখোঁজ হন। বিএনপির অভিযোগ, সরকারই ইলিয়াসকে গুম করেছে।
হরতাল সম্পর্কে পাঠক মন্তব্য
মো.  নুরুজ্জামান : দেশটাকে হরতালের হাত থেকে বাঁচান।
রুহুল আমিন রুবেল : গুম মানি না, আন্দোলন চলব।
জাহাঙ্গীর হোসেন :  হরতাল দিক আর যাই করুক বিএনপি প্রয়োজনে সরকারি মন্ত্রী-এমপিদের জবাই করে হত্যা করুক তাতে আমাদের কিছুই হবে না। কিন্তু আমরা দেশের সাধারণ জনগণ কোনো দলের হরতালের কারণে যদি একজনও মারা যাই বা কাজের অভাবে পরিবারের ছেলেসন্তানসহ না খেয়ে উপবাস করতে হয়, যাদের কারণে এরকম হবে তাদের গলায় জুতার মালা দিয়ে কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রতিবাদ করা হবে।
ফরহাদ : বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনকে গুম করে হত্যা করে। সেই চট্টগ্রামেই ২১ ট্রাক অস্ত্র আনে, আপনাদের আগামী দিনের নেতার বাড়ি বগুড়ায়, ১০ ট্রাক গুলি ধরা পড়ল, ৬৪ জেলায় একযোগে বোমা ফাটল। ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য শিক্ষককে খুন করা হয়। এখন বলুন কোনো গ্যারান্টি আছে বা দেবেন কী আপনারা ক্ষমতায় গেলে আজকে যে বিষয়গুলো নিয়ে অতি উৎসাহে লাগাতার হরতাল করার জন্য উৎসাহী, আপনারা সেই অপরাধ হতে দেবেন না। বিএনপি আজ পর্যন্ত কোনো সমাবেশে ঘোষণা দেয়নি আমরা আজ যে বিষয়গুলো নিয়ে আন্দোলন করছি ক্ষমতায় গেলে তা হতে দেব না বা করব না।
কামরুল : দাও দাও যত দিন যত মাস ইচ্ছা দাও। সাধারণ জনগণ মরলে তোমাদের কী।
ফরহাদ : বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যিনি বহিষ্কার হয়ে বিএনপির নেতা হয়েছেন এবং তার জন্য বিএনপি দেশকে অস্থিতিশিল করবে তা মোটেই উচিত নয়।
মনু : হরতালই বিএনপির শেষ ভরসা।
মো. কাওসার আলী :  আল্লাহ আমরা আমাদের ইলিয়াস আলীকে চাই যে কোনো কিছুর বিনিময়ে। তাই বিএনপিকে বলছি, বিএনপির সব সিনিয়র নেতাকে মাঠে থাকতে হবে এবং খালেদা জিয়াকে স্বয়ং মাঠে থাকতে হবে। তা না হলে ধিক এ হরতাল।
রিংকু : দেশটাকে হরতালের হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে হবে, আমরা সবাই দলবদ্ধ হব। ১৮ দল দেশকে অস্থিতিশীল করবে তা মোটেই উচিত নয়।
স্বগতা : ব্যক্তির চেয়ে দল ও দেশ অনেক বড়। তাই শুধু ইলিয়াস আলীকে ইস্যু করে হরতাল না দিয়ে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে হরতাল ঘোষণা করা উচিত।
মো. লোকমান হোসেন :  কেউ জনগণের জন্য আন্দোলন করে না, সবাই ক্ষমতার জন্যই আন্দোলন করে। সবই প্রতিহিংসার রাজনীতি করে।
ইফতেখার : আমি ইলিয়াসকে নিয়ে তেমন একটা চিন্তিত নই, কারণ তারা রাজনীতির নামে অনেক অর্থবিত্ত বানিয়েছে। তার অবর্তমানে আপনজন শোক ব্যতিত তার বিধবা স্ত্রী, সন্তান ভালো জীবনযাপন করবেন। তবে তার ড্রাইভার তো ওইরকম অর্থবিত্তের মালিক না, একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটি হারিয়েছে, ওই পরিবারের কথা ভাবলে খুব খারাপ লাগে। ব্যতিত সাগর-রুনি কিংবা সুরঞ্জিতের বীর ড্রাইভার আজমের কথা ভেবে। কারণ এ অখ্যাত মানুষগুলোই প্রকৃত মানুষ। আর যাদের নিয়ে দেশে অযথা হইচই পড়ছে, ওরা তো স্বীয় কর্মের আপন ঘাতক মাত্র।
এএফ কাশেমি : দেশের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে নেতা বড়!!!(?) কী বিচিত্র এ দেশ! বলি একটা করি একটা।
শফিক  পাকুন্দিয়া : বিএনপির হরতাল চাই না, বিকল্প কর্মসূচি দিন।
সাদ্দামুল আনোয়ার খান ইভান : একজন ইলিয়াসের জন্য সারা দেশের মানুষকে কষ্ট দেয়া অমানুষের কাজ।
ইফতেখার : আওয়ামী লীগের নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হলো, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া সিলেটের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছোড়া অসংখ্য গ্রেনেডের হামলায় শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও বর্তমান রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২২ জন নিহত হলেন। তারপর কী হলো? বিএনপি এক ইলিয়াস আলীর জন্য যেভাবে দেশ অচল করে দিল, তার ছিটেফোঁটাও তো আওয়ামী লীগ তখন করতে পারল না। সম্ভবত তারা কেউই ইলিয়াস আলীর মতো তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন না! ইলিয়াস আলী উদ্ধারে সরকারের ব্যর্থতা ক্ষমার অযোগ্য, তবে মানুষ মারার হরতাল সমর্থন করি না।
Bookmark and Share    

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন